৫নারী খেলোয়াড়কে সংবর্ধনা
রাঙ্গামাটিতে বৃহস্পতিবার বিকালে সাফ ফুটবলে বিজয়ী পাহাড়ের ৫ বীর কন্যাকে বীরোচিত সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়া সাফ ফুটবল জয় করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পাহাড় তথা দেশের জন্য বিরল সন্মান বয়ে আনে বিধায় রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন যৌথ ভাবে পাহাড়ের ৫ বীর কন্যাকে সন্মাননা প্রদান করেছে।
রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে রাঙ্গামাটি জেলার সর্বস্তরের জনসাধরণের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এর আগে সকালে রাঙ্গামাটি এই বীর খেলোয়ারদেরকে রাঙ্গামাটি প্রবেশ মুখে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে গ্রামবাসীরা স্বাগত জানান। এর পর এই বীর সন্তানদের খেলার সুতিকাগার হিসাবে খ্যাত ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ে তাদেরকে সংবর্ধনা দেন।
নেপালে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতে বাংলাদেশ দলের যে মেয়েরা শিরোপা জয় করে সকলকে তাক লাগিয়েছিল তারা পাঁচজনই রাঙ্গামাটির কাউখালীর ঘাগড়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। সেখান থেকে তারা খোলা ট্রাকে করে বিকালে রাঙ্গামাটি মারি স্টেডিয়ামে সংবর্ধনার স্থলে আসেন।
সেখানে নারী পুরুষ ও বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাদেরকে অভ্যার্থনা জানান। অভ্যার্থনা শেষে ঋতু পূর্ণা চাকমা তার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। এর পর খাদ্য মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রেখেছেন।
সংর্বধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতি খেলোয়াড়কে ২ লাখ টাকার চেক তুলে দেন পরিষদ চেয়ারম্যান। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে প্রতিজনকে আরও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। জোন থেকেও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক ,বিজিবি, রাঙ্গামাটি পৌরসভা ,জেলা ক্রীড়া সংস্থা ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মহিলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বহু সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন।
এদের কোচ শান্তি মনি চাকমা ও বীরসেন চাকমাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা রাঙ্গামাটির মেয়ে।
অপরদিকে জাতীয় দলের অন্যতম সেরা এই পাঁচ নারী ফুটবলারের মধ্যে আনাই মগিনি, আনুচিং মগিনি ও মনিকা চাকমা এরা খাগড়াছড়ি সদর ও লক্ষ্মীছড়ির মেয়ে।
এমএস