দিন-রাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
এবার দূর্গা মায়ের আগমন ঘটবে গজে আর যাবে দোলায়। আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় উৎসব দূর্গাপূজা। শেষ হবে পাঁচ অক্টোবর। এ উপলক্ষে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দিন-রাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
এবার দাউদকান্দি উপজেলায় ৪৭টি মন্ডপে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ব-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল আচার্য্য। এদিকে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। ব্যয় বাড়লেও থেমে নেই রকমারি আলোকসজ্জার। বর্ণালী করে সাজানো হচ্ছে পুজা মন্ডপ। সব মিলে উৎসবের রংয়ে সাজছে উপজেলার প্রতিটি মন্ডপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিন-রাত প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই। প্রতিমা তৈরির মূল কাজ শেষ করে তারা এখন রংতুলিতে হাত দিচ্ছেন অঙ্গ সজ্জায়। মূলত এখান থেকে উপজেলাসহ আশ-পাশের কুমিল্লা, দেবিদ্বার, মুরাদনগর ও চান্দিনা এলাকায় প্রতিমা সরবারাহ করা হয়।
কথা হয় বংশ পরম্পরায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত মৃৎশিল্পী রঞ্জিত পালের আলাপচারিতায় তিনি জানান, বর্তমানে সব কিছুর দাম অনেক বেশি। কিন্ত দাম বাড়েনি প্রতিমার।
দাউদকান্দি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল আচার্য্য বলেন, আমরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা দেখেছি। উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎযাপন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কাদা মাটি, বাঁশ, খড় ও সুতলি দিয়ে তিলোত্তমা করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। তারা জানান, দূর্গাপূজা শুরুর ১০ থেকে ১৫ দিন আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজে হাত দিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজামন্ডপের প্রতিমা তৈরির মাটির প্রধান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে কারিগররা শুরু করবেন প্রতিমা রং করার কাজ। তবে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে মুজুরি নিয়ে অসস্তোষ ও আক্ষেপের কথা জানালেন প্রতিমা শিল্পীরা।
দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালনের জন্যই দশহস্তে দেবী দূর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আগমন করেছিলেন। দেবীদূর্গা অসুর দমনে শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। এরই ধারাহিকতায় হিন্দু সম্প্রপ্রদায়ের মানুষ প্রতি বছর শারদীয় উৎসব হিসেবে দূর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে।
এমএইচ