আন্ধারমানিক নদী।
এখনও স্বাভাবিক জোয়ারে কোমর সমান পানিতে প্লাবিত হয়। আশপাশে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বনাঞ্চল রয়েছে। অথচ আন্ধারমানিক নদী তীর এলাকা দখল করে করা হয়েছে মাছের ঘের ও পুকুর। কোন রাখ-ঢাক নেই। এসব চলছে ফ্রি-স্টাইলে।
কলাপাড়া পৌর শহরের উল্টোদিকে শেখ কামাল সেতুর পূর্বদিকে সলিমপুরে আন্ধারমানিক নদীর তীর এভাবে দখল চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল নদী তীরের বিশাল এলাকা দখল করে এসব করছে। ইলিশের অভয়াশ্রম আন্ধারমানিক নদী তীরে এমন দখল তান্ডব চললেও উপজেলা ভূমি প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার।
নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে নদী তীরের বিরাট এলাক দখল করে মাছ চাষ করছে। এখন আরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। এমনিতেই আন্ধারমানিক নদীতে দখল-দূষণ চলছে ফ্রি-স্টাইলে। এখন আবার তীর দখল করার তান্ডব চলছে।
প্রাকৃতিকভাবে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তনজনিত কারণে এ নদীটি পলির আস্তরণে ভরাট হয়ে গেছে। এখন দুই তীরের ভাঁটার সময় জেগে ওঠা চর এলাকায় চলছে দখল তান্ডব। এভাবে দখলদারিত্ব চলে আসলে ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীটি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। বর্তমানে খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানান, নদীকে বহু আগে চাষযোগ্য কৃষিজমি দেখিয়ে জনৈক ব্যক্তিকে বন্দোবস্ত দেয়ার কথা তাঁরা শুনেছেন। পরিবেশবাদী কর্মীদের দাবি দখলদার উচ্ছেদের পাশাপাশি বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা চালিয়ে নদীটি খনন করা দরকার। কারণ জোয়ারের পানি যতদুর প্রবাহিত হয় ততদুর নদীর সীমানা। যা চিহ্নিত করে দখলকাজ বন্ধ করা প্রয়োজন।
এসআর