টঙ্গী পূর্ব থানা
পরকীয়া প্রেমিক বিয়ে না করে সম্পর্ক অব্যাহত রাখায় প্রেমিক ও তার অন্য দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করেছে পরকীয়া প্রেমিকা। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তদের পরিবার। ঘটনাটি সোমবার টঙ্গী পাগাড় মিরাশপাড়া নদী বন্দর এলাকায় ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর টঙ্গী পূর্ব থানায় প্রেমিকা গণধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পরকীয়া প্রেমিকসহ ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য প্রেমিকাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরকীয়া প্রেমিকের নাম শাওন (২২)। বন্ধু নাদিম হোসেন (২৪) ও গাজী সাকিবুজ্জামান সিয়াম (২৩)। পরকীয়া প্রেমিকার বয়স ২০ বছর।
ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করে প্রেমিক শাওনের পরিবার বলছে, তাঁদেরকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য শাওনের পরকীয়া প্রেমিকা ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছে শাওন ও তাঁর বন্ধুর পরিবার।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই সাব্বির হোসেন থানায় করা মামলার উদ্বৃতি দিয়ে জানান, অভিযুক্ত শাওনের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ের আগে থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক শাওন সোমবার সকালে প্রেমিকাকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ আনে পুলিশের কাছে। ওই নারী তার বাসা থেকে প্রথমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনার একদিন পর প্রেমিক শাওন ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত শাওন ও তার বন্ধুরা পূর্বপরিচিত বন্ধু ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন কয়েক মাস আগে প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে প্রেমিকের বাসার কাছাকাছি মিরাশপাড়া এলাকার বাসায় স্বামী নিয়ে বসবাস করতে থাকে ওই নারী। এ অবস্হায় তাদের মধ্যে গোপন যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ঘটনার দিন ফোন করে শাওন তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে শাওনের কথামতো দেখা করতে যায় ওই নারী। সেখানে যাবার পর শাওন তাকে একটি ঘরে নিয়ে অপর দুই বন্ধু মিলে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ আনে।
টিএস