
ভোলার মনপুরায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ঘর বাড়ি।
বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট নিন্ম চাপ ও পূর্ণীমার প্রভাবে ভোলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরফ্যাসন উপজেলার সর্বদক্ষিন সাগর মোহনার ঢাল চর ইউনিয়নসহ মনপুরা ১০ গ্রাম অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে প্রায় ২২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে রয়েছে ওইসব এলাকার মানুষ।
চরফ্যাসনের ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্রায় দের হাজার মানুষ পানি বন্ধি অবস্থায় রয়েছে। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা জোয়ারের পানিতে ভাসতে হচ্ছে ঢাল চরের মানুষকে।
সেখানে গত তিন দিনের মধ্যে সব চাইতে বেশী পানি আজ বৃহস্পতিবার সকালে উঠেছে। জোয়ারের ৪ থেকে ৫ ফুট পানিতে মানুষের ঘর বাড়ি রাস্তাঘাট,ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান যায়। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বহু ঘর বাড়ি রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে। গবাদি পশুর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। চরম দুর্ভোগে রয়েছে সেখানকার বসবাসরত পরিবার গুলো।
অপরদিকে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার কাউয়ারটেকে ঢাকাগামী লঞ্চ ঘাট এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। ওই লঞ্চঘাট এলাকার ডিসি রোডের ওপর দিয়ে জোয়ারে পানি প্রবাহিত হয়।
এছাড়াও বেড়ীবাঁধহীন সদ্য ঘোষিত নতুন চর কলাতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় ৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন কলাতলী চরের ইউপি সদস্য মোঃ রহমান।
এছাড়াও বিচ্ছিন্ন চরনিজাম, বদনারচর, ঢালচর ও চর শামসুদ্দিনে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই সমস্ত চরে বসবাসরত ২০ হাজারের ওপরে মানুষ বুধবার ও বৃহস্পতিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে জানান চরে বসবাসরত বাসিন্দারা। উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক এলাকার বাসিন্দা মিজান, মিলন চন্দ্র সহ অনেকে জানান, জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ি সব ডুবে গেছে।
প্রতিদিন জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই ভয় হচ্ছে জলোচ্ছ্বাস হয় কিনা। রাতে বেলায় জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় খাটের ওপর নির্ঘুম কাটাতে হয়।
এই ব্যাপারে ১ নং মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানত উল্লা আলমগীর জানান, ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে ৫ গ্রামের বেড়ীর বাহিরে ও ভিতরে প্লাবিত হয়। এছাড়াও কাউয়ারটেক এলাকার ডিসি রোডের ওপর জোয়ারের পানি প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর ডিভিশন-২ এর উপসহকারি প্রকৌশলী আবদুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, মেঘনার পানি বুধবার বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ও বৃহস্পতিবার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়েছে।
জোয়ারের পানিতে চরাঞ্চলসহ বেড়ীর বাহিরে ৪ ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে।