ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

নষ্ট ফ্রিজ নিয়ে ভোগান্তিতে কুবি'র নারী হলের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৩ মার্চ ২০২২

নষ্ট ফ্রিজ নিয়ে ভোগান্তিতে কুবি'র নারী হলের শিক্ষার্থীরা

কুবি প্রতিনিধি ॥ দৈনিক ৫ টাকা, মাসিক ১০০ টাকা ভাড়া দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) একমাত্র মেয়েদের হল নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল সংলগ্ন দোকানগুলোতে মাছ, মাংস রাখছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেয়েদের হলের একমাত্র ফ্রিজটি এক বছরের অধিক সময় ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার কারনে হলের মিল সিস্টেমে যারা খাচ্ছেন না তারা নিজেরাই রান্না করে খাচ্ছেন। রান্নার ক্ষেত্রে তারা হলের পাশ থেকে প্রতিদিনের শাকসবজি কিনে খেলেও মাছ-মাংস প্রতিদিন কিনে খেতে পারছেন না। ফলে রান্না করা শিক্ষার্থীদের অনেকেই হয়ে পড়ছেন নিরামিষ ভোজী কিংবা মাসিক ভাড়া দিয়ে ফ্রিজে রেখে খাচ্ছেন মাছ-মাংস সহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, এ হলে প্রায় ২০০-২৫০ জন শিক্ষার্থী থাকছেন। চলতি মাসে হলের মিল সিস্টেমে ৪০ জনের মতো শিক্ষার্থী খাচ্ছেন। আর বাকিদের অধিকাংশ রান্না করেই খাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, হলে আমরা যারা থাকি তাদের খাবারে এমনিতেই কষ্ট তার মধ্যে হলের ফ্রিজ অনেকদিন ধরেই নষ্ট। ফ্রিজ নষ্ট হওয়ার কারণে আমাদেরকে কাঁচা মাছ-মাংস বাইরে দোকানে রাখতে হয়। যাতে অনেক টাকা খরচ হয়। এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, একটা ফ্রিজ ঠিক করতে এতদিন কেন লাগছে সেটা বোধগম্য নয়। কিছু বলতে গেলেই শুধু নিয়ম আর নিয়ম! আমাদের হলের ফ্রিজ নষ্ট থাকায় আমরা একবার বাইরে গিয়ে ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস আনি আবার রুমে এসে সেগুলো রান্না করি। পড়ালেখার পাশাপাশি রান্নাবান্না করা এমনি কঠিন সেটা আরো কঠিন বানিয়ে দিয়েছে ফ্রিজ নষ্ট হয়ে। এই কষ্ট থেকে বাঁচতে হলের অনেক মেয়ে মাছ-মাংস খাওয়াই বাদ দিয়ে দিয়েছে। শুধু শাকসবজি, ডিম এসব খাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় হল সংলগ্ন মুদি দোকানদার ইমতিয়াজ বলেন, হলের মেয়েদের ফ্রিজ নষ্ট তারা আমার এখানে মাছ-মাংস রাখে কথাটি সত্য। প্রথম দিকে কোন টাকা-পয়সা না নিলেও দীর্ঘদিন ধরে রাখার ফলে আমার ব্যবসারও অনেক সময় ক্ষতি হয়। তাই আমি চার্জ যোগ করে দিয়েছি। এখন দৈনিক ৫ টাকা দিয়ে কিংবা মাসিক ১০০ টাকা দিয়েও ফ্রিজে জিনিসপত্র রাখতে পারবে তারা। এ ব্যাপারে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। ব্যক্তিগতভাবে আমি মেকানিক এনে দেখিয়েছি। তারা বলেছে নতুন ফ্রিজ লাগবে। পরবর্তীতে আমি হলের ফ্রিজের চাহিদার ব্যাপারটি কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। অফিস সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয় কমিটির সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সবুজ বড়ুয়া বলেন, আমরা চাহিদার ব্যাপারটি জানতে পেরেছি। মেয়েদের হল মিলিয়ে মোট তিনটি ফ্রিজ কেনার চাহিদা পেয়েছি আমরা। দ্রুতই তারা ফ্রিজ পেয়ে যাবে।
×