স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ উৎসব মুখোর পরিবেশে নীলফামারীতে প্রথম করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা নিয়েছেন জেলা সদর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন নাহার সেতু। আজ রবিবার সারা দেশে করোনা টিকা প্রদানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উদ্বোধনের পর নীলফামারীতে করোনা টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের শুরুর প্রথম টিকিটি গ্রহণ করেন নার্স জেসমিন নাহার সেতু। টিকা নেয়ার পর তিনি ভি-চিহৃতি দেখিয়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দেন।
সেতুর টিকা প্রদানের পর দ্বিতীয় ব্যাক্তি হিসাবে টিকা গ্রহণ করেন গণমাধ্যম কর্মী মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক ও ভুবন রায় নিখিল। এরপর একে একে টিকা নেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী, সিভিল সার্জান ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ অমল রায়, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপর পরিচালক ডাঃ মোঃ শাহজাহান, সহকারী পরিচালক খাদিজা নাহিদ ইভা।
অপর দিকে ডিমলা উপজেলায় টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
এরপর চলতে থাকে প্রথমসারির যোদ্ধাদের টিকা গ্রহণ উৎসব। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত জেলা সদর সহ ৫ উপজেলায় দুইশতজন টিকা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি টিকা প্রদান অব্যহত ছিল।
টিকা গ্রহণের প্রায় ১ ঘন্টা পর সকল টিকাগ্রহনকারীরা জানান, টিকা নেয়ার পর তাদের কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। তারা নিজেদের স্বাভাবিক মনে করছেন।
টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।
নীলফামারী জেলায় প্রথম টিকা গ্রহনকারী হিসাবে সিনিয়র নার্স জেসমিন নাহার সেতু বলেন, জেলার প্রথম টিকা গ্রহণকারি হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
সিভিল সার্জন জানান, প্রথম ধাপে জেলায় ৬০ হাজার ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। যা জেলার প্রথম সারির ১৫ ক্যাটাগরির ৩০ হাজার ব্যক্তিকে দুই ডোজ করে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা প্রদানে জেলায় ২৪টি বুথ খোলা হয়েছে। তিনি জানান, দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টিকা গ্রহণের জন্য এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৬ উপজেলার প্রায় ৮ হাজার জন। যা চলমান রয়েছে।