স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর যেভাবে নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশকে একই সুতোয় বেঁধেছে তেমনি ভবিষ্যতে এই চারটি দেশ রেলের সুবিধা পাবে। যা চারদেশীয় রেল যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষের স্বল্প খরচে নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধার পাশাপাশি আন্তঃদেশীয় ব্যবসা-বানিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড়-রাজশাহী রুটে আন্তঃনগর ট্রেন বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস উদ্বোধনকালে রেলপথ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রংপুর থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদ, রাজশাহী থেকে সরাসরি পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির ওপর দিয়ে নেপালে এই ট্রেনটি যাবে। মন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যে ভারত সরকারের সংগে কথা হয়েছে। তারা পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খুব শীঘ্রই পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আরেকটি রেল সেতু হচ্ছে ডুয়েল গেজের। এটা হবে ডবল লাইন। আগামী ২৫ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রী নতুন এই রেল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করবেন।
মন্ত্রী বলেন, খুলনা পর্যন্ত আমাদের এই অঞ্চলের রেল যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু মংলা বন্দর পর্যন্ত কোন রেল যোগাযোগ ছিল না। ২০২২ সালের মধ্যে মংলা বন্দরের সংগে এই অঞ্চলের রেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, এই ট্রেনটি আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো। সেটায় আজকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর এলাকার মানুষের আজ সেটা পুরণ হলো। পঞ্চগড়-রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেনটি চালুর ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ এই অঞ্চলের মানুষ অনেক উপকৃত হবে।
রেলওয়ে রাজশাহী (পশ্চিমাঞ্চল) এর মহা ব্যাবস্থাপক মিহির কান্তি গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, রেলপথ সচিব সেলিম রেজা, পঞ্চগড় প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ।