নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক প্রতারক চক্র (এম.এল.এম) হাই.হাই কোম্পানীর হাত থেকে বৃদ্ধ অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল বাতেন (৮০) কে বাঁচাতে ভাই ও সন্তানরা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকু- প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড় মেয়ে শারমিন আক্তার। এতে উপস্থিত ছিলেন আবদুল বাতেনের বড় ছোট ভাই জয়নাল আবেদিন ও তার স্ত্রী আনোয়ার বেগম, সন্তান আইরিন খাদিজা, মো.বেলাল ও আব্দুর রহিম।
লিখিত বক্তব্য বলেন,“উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আবুল বাতেন আমাদের পিতা-মাতা নিয়ে দীর্ঘ ৩ যুগের বেশি সময় ধরে সন্দ্বীপ থেকে এসে এই এলাকায় সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছি। গত চার বছর আগে অসুস্থজনিত কারণে আমাদের মা মৃত্যুবরণ করেন। আমরা সকলে পিতা সাথে নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করে আসছি। মাতার মৃত্যুর আমাদের পিতা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রতারক চক্রের কয়েক সদস্য জানতে পেরে প্রথমে ফটিকছড়ি জেলার আয়শা আক্তার নামে এক প্রতারক মহিলাকে গত ৬ মাস আগে পরিকল্পিতভাবে আমাদের সকলের অনুপস্থিতের সুযোগ নিয়ে বাসা আসেন। পরে আমার বাবাকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত করার কথা বলে ঔষধ-পত্র খাওয়ান এবং আমাদের অজান্তে পিতাকে বাসা থেকে বাহিরে প্রতারক চক্রের আস্তানায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে আমার আব্বাকে তারা যৌন উত্তেযক ট্যাবলেট খাওয়ায়। সম্প্রতি আমার একদিন দেখি ঐ মহিলা আমার আব্বার ঘরে রাত-যাপন করছে। এরপর আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রতিনিধিকে জানালে ঐ প্রতারক মহিলা আমার বাবার স্ত্রী দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই প্রতারক মহিলা প্রতারক চক্রের সহযোগিতায় আরো কয়েকটি বিবাহ বানিজ্য সাজিয়ে এ রকম অসহায় অনেক লোকদের সর্বশান্ত করেছে। আমার আব্বার আগে এই মহিলা অত্যাচারে এক অসহায় বৃদ্ধ সর্বস্ব হারিয়ে ভারতে চলে যায়। ইতিমধে, এই প্রতারক মহিলা আমার আব্বার ব্যাংকে জমানো টাকা হাতিয়ে নেয়, কোটি টাকার বসতঘর বিক্রির জন্য তিনবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আমরা ধারণা করছি, প্রতারক চক্রের সদস্য ও এই মহিলা মিলে কোটি টাকার জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি করিয়া আমার আব্বাকে হত্যা পরবর্তী লাশ গুম করতে পারে। আমরা এই প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।