স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ উত্তরাঞ্চলের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে সীমান্তবর্তি জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। প্রবাসে সবচেয়ে বেশী এ জেলার মানুষের বাস হলেও রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে কম আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তরে মৃত্যুহারে দ্বিতীয় অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ নিয়ে এ জেলাবাসীর মধ্যে শঙ্কাও রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ পর্যন্ত এ বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৩ জনে। মারা গেছেন ২৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৫১ জন।
রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৫ হাজার ৯৩৯ জন। এছাড়াও রাজশাহীতে ৪ হাজার ১৪৬ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৪৬ জন, নওগাঁয় একহাজার ৮৭ জন, নাটোরে ৭৩৯ জন, জয়পুরহাটে ৮৮৩ জন, সিরাজগঞ্জে একহাজার ৭৭৩ জন ও পাবনায় ৯১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি, জেলাবাসীর সচেতনতা ও প্রবাসীদের ফিরে না আসায় সংক্রমণ কমের প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন জেলা স্বাচিপ সাধারন সম্পাদক ডা. নাহিদ ইসলাম মুনসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এদিকে জেলায় সংক্রমণ কম হলেও অধিক মৃত্যুহারে দ্বিতীয় অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলায় মৃত্যুহার এখন ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
আক্রান্ত কম হলেও অধিক মৃত্যুহারের কারণ জানতে চাইলে চাপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা কম হওয়ায় সংক্রমণও অনেক কম। তবে অন্যান্য জেলার তুলনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রান্ত কম হওয়া পেছনে ভূমিকা রেখেছে প্রশাসনের নজরদারি ও স্থানীয় জনসাধারণের সচেতনতা। এছাড়া এ পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের বয়সের একটা ব্যাপার রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য রোগেও বাসাবাধা মানুষ করোনাযুদ্ধে হেরে গেছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্র্রাপ্ত তথ্য মতে, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৬ হাজার ১৫৪ জন। এছাড়াও রাজশাহী নগরীতে ৩ হাজার ১৫৪ জনসহ রাজশাহী জেলায় ৪ হাজার ২৭৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬৪৩ জন, নওগাঁয় ১ হাজার ১০৯ জন, নাটোরে ৭৭১ জন, জয়পুরহাটে ৮৯৭ জন, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ৮২৮ জন ও পাবনায় ৯৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিভাগে সুস্থতার হারের দিক থেকে মাঝামাঝি অবস্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ৩'শ ৯৭ জন সুস্থ হয়ে ৬৬ দশমিক ৫০ শতাংশ নিয়ে সর্বোচ্চ সুস্থতার হারের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে এই জেলা।
অন্যদিকে মৃত্যুহার তৃতীয় সর্বোচ্চ হলেও সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি নওগাঁয় ৮৭ দশমিক ৪০ শতাংশ। সেখানে ১০৫৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৯২২ জনই সুস্থ হয়েছেন। বিপরীতে ৪ মৃত্যু নিয়ে কম মৃত্যুহারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জয়পুরহাটে সুস্থতার হার মাত্র ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।