নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর ॥ মির্জাপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে আসন বিন্যাসে অনিয়ম ও পরীক্ষার হলে স্মার্ট ফোন ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্র সচিব ও এক সহকারী শিক্ষককে ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এই অভিযোগের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে দুই পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ মঙ্গলবার মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল কেন্দ্রে এসএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন বাঁশতৈল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও বাঁশতৈল মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন ও সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম। বহিস্কৃত দুই পরীক্ষার্থী হলো মমিত ও সবুজ আল মামুন। তারা বাঁশতৈল মনসুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, বাঁশতৈল এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ইমরান হোসেন ও সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী যোগসাজশ করে ইচ্ছেমত আসন বিন্যাস এবং এক কক্ষের পরীক্ষার্থী অন্য কক্ষে পরীক্ষা দেয়া, স্মার্ট ফোন ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম করছিলেন। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল বাঁশতৈল কেন্দ্রে যান। সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগের দুই পরীক্ষার্থী মমিত ও সবুজ আল মামুনকে বহিস্কার করেন। অপরদিকে এই অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে কেন্দ্র সচিব ইমরান হোসেন এবং ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং ১৫ দিনের বিনাশ্রম জেল দেন বলে জানা গেছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, প্রথমে অভিযোগটি পান টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহোদয়। তার নির্দেশে আমি এবং ইউএনও স্যার ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেয়া হবেনা। সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যা যা করণীয় তার সব পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।