ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে সাবাড়!

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে সাবাড়!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বন বিভাগের সৃজিত সবুজ বেষ্টুনীর গাছ কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। রাতের আধারে গাছ কেটে নিলেও স্থানীয়রা প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। জানাগেছে, ১৯৬৭ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নকে বন্যা জলোচ্ছাস ও পায়রা নদীর ভাঙ্গণ থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করে। ওই সময়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বসতি ছিল না। ধীরে ধীরে ওই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে মানুষ বসতি গড়ে তোলে। ১৯৮৮ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দুই পাশে বন বিভাগ সবুজ বেষ্টনীর প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে । ওই গাছ বর্তমানে বৃহৎ গাছে পরিনত হয়েছে। গত ১০ দিন ধরে ওই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের সবুজ বেষ্টনীর গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল। স্থানীয়রা প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। রাতের আধারে প্রভাবশালীরা গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। গত ১০ দিনে মধ্যআড়পাঙ্গাশিয়া, যুগিয়া স্লুইজ ও ডাঙ্গার খাল এলাকা থেকে আকাশমনি,শিশু, জিলাপি ও বাবলসহ শতাধিক গাছ কেটে নিয়ে গেছে প্রভাবশালীরা। সোমবার মধ্য আড়পাঙ্গাশিয়া, যুগিয়া স্লুইজ ও ডাঙ্গার খাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রনের বাঁধের পাশের সবুজ বেষ্টনীর পরিপক্ক গাছ কেটে নিয়ে গেছে। গাছের গোড়ালি ও ডালপালা পড়ে আছে। স্থানীয় আনোয়ার গাজী বলেন, প্রভাবশালীরা গাছ কেটে নিয়ে গেছে। দিনে গাছ খাড়া দেখলেও সকালে ওই গাছ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা গাছের সারি অংশ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মতি চৌকিদার ও রহমান হাওলাদারসহ ১৪/১৫ জন প্রভাবশালী গাছ কেটে নিয়ে গেছে। আমতলী বন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আকন বলেন, গাছ কাটার খবর আমি জানিনা। এখনই খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখছি। পটুয়াখালী ডিএফও আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তদন্তপূর্বক দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×