স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরে পুলিশের বিরুদ্ধে হোটেল কর্মচারিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। হাবিবুর রহমান নামেও ওই কর্মচারিকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক ও নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা ক্যাম্প পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত যুবকের পরিবার এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন নির্যাতিত যুবকের ছোট বোন ফারিয়া সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, হাবিবুর রহমানের পরিবার বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারে ফুটপাতের পাশে খাবারের হোটেল পরিচালনা করেন। দরিদ্রতার কারণে হাবিবুর ও তার পিতা-মাতা সকলেই ওই দোকানে কাজ করেন। তাদের দোকানের পাশের ফার্নিচার ব্যবসায়ী লিটনের কাছ থেকে তিন মাস আগে কম দামে পুরানো একটি সোফা সেট ক্রয় করেন। সোফা ক্রয়ের দিন রাতেই হঠাৎ খাজুরা ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম ফোন দিয়ে হাবিবুরের পিতা শহিদুল ইসলামকে ক্যাম্পে ডেকে পাঠান। ক্যাম্পে যেতে রাজি না হওয়ায় সে ফোনেই সোফা সেটটি নিয়ে নিচ্ছে বলে জানায় এবং এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। কিন্তু হাবিবুরের পিতা দোকান থেকে সোফা সেটটি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় এসআই রফিকুল ইসলাম। এরপর গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে খাজুরা বাজারের পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে হাবিবুর রহমানকে আটক করে এবং ক্যাম্পে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। পরের দিন সকালে ক্যাম্পে গেলে হাবিবুরকে ছেড়ে দিতে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারায় ৫০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান দেয়া হয় হাবিবুরকে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হাবিবুরকে মুক্তি দেয়ার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পিতা ও মাতা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিবুর রহমানের পিতা শহিদুল ইসলাম, মাতা পারুল বেগম, ভাই মাহাবুবুর রহমান ও জিসান হোসেন উপস্থিতি ছিলেন।