স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিন বছরের মেয়ে বৃস্টিকে কোলে নিয়ে মা টুনটুনি আক্তার(২৫) চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ সোমবার সকালে নীলফামারী জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের দারোয়ানী রেলষ্টেশন এলাকায়। তারা দারোয়ানী রেলস্টেশন সংলগ্ন ধনীপাড়া গ্রামের তারেক মিয়ার স্ত্রী ও সন্তান। সৈয়দপুর জিআরপি পুলিশ দুপুরে এসে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়েছে। এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে তারেক মিয়া।
ঘটনার পর গৃহবধু টুনটুনির বাবা জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কয়া গোলাহাট মহল্লার বুদারু মাহমুদ ঘটনাস্থলে অভিযোগ করে জানায় তার মেয়ের ৫ বছর আগে বিয়ে দেন উক্ত গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে তারেক মিয়ার সঙ্গে। তারেক ঝালমুড়ি,বাদাম বুট ফেরিকরে বিক্রি করে। তাদের ৩ বছরের একটি মাত্র মেয়ে বৃস্টি। কিন্তু তারেক মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। মাদকের টাকার জন্য সে স্ত্রী টুনটুনির কানের সোনার দুল চুপ করে বিক্রি করে দেয়।
গ্রামবাসী জানায়, ঘটনার আগের দিন রাতে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বচসা সৃস্টি করে তারেক বেধরক মারপিট করে স্ত্রী টুনটুনিকে। শারিরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আজ সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আন্তুঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি যাচ্ছিল সে সময় টুনটুনি তিন বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে দারোয়ানী রেলস্টেশনের উত্তর সাইডে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আতœহত্যা করে।
সৈয়দপুর জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ তারেকের বিরুদ্ধে আতœহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করতে চাইলে মামলা গ্রহন করা হবে। আমরা মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরন করেছি।