ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজারে পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ডকে স্মারক লিপি

প্রকাশিত: ০২:৫৯, ২ জুলাই ২০১৮

কক্সবাজারে পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ডকে স্মারক লিপি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরামের (সিসিএনএফ) নেতৃত্বে স্থানীয় সুশীল সমাজ সংগঠন ও এনজিওর নেতৃবৃন্দ কক্সবাজারে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. টিম ইয়ং কিমের সঙ্গে হোটেল সায়েমানে সাক্ষাৎ করেন। সিসিএএনফের কোচেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সিসিএনএফ একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। যেখানে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশ ও মানবিক সাড়া প্রদানে কর্মরত স্থানীয় এনজিওসমূহের জন্য পৃথক তহবিলের দাবি জানান। স্মারকলিপি হস্তান্তরকারী দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইপসার টিম লিডার খালেদা বেগম, কোস্ট ট্রাস্ট এর পরিচালক মকবুল আহমেদ, মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার, নোঙরের নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ, ব্রাকের অজিত নন্দী, এসএআরপিভির প্রতিনিধি শামসুল হুদা, হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম, শেড এর প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান, একলাবের প্রতিনিধি সৈয়দ তারিকুল ইসলাম। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে স্মারকলিপি প্রদানের সময় সঙ্গের অন্য গুরুত্বপূর্ণ সফরসঙ্গীদেরও অনুলিপি প্রদান করা হয়। সফরসঙ্গীরা হলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ড. টিম ইয়ং কিম, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, জাতিসংঘ পপুলেশন ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. নাটালিয়া কানেম প্রমুখ। স্মারকলিপিতে মূলত ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। ক্রমহ্রাসমান আর্থিক সহায়তা পরিস্থিতির পরেও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় গ্রান্ড বারগেন প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবি করা হয়। যেখানে উন্নয়ন কাজের স্থানীয়করণ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে সামগ্রিক সমাজ এপ্রোচের কথাই মূলত বলা হয়েছে। বিশেষ করে জনগণের সম্মুখে ব্যবস্থাপনা, উৎস ও কার্যক্রমের ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়সহ সকল কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশ পুনরুদ্ধারে একটি মূল তহবিলসহ মানবিক সাড়া সংক্রান্ত তহবিলের একটি অংশ বরাদ্দ করতে হবে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক এনজিওসমূহে সহজ প্রবেশাধিকার বঞ্চিত স্থানীয় এনজিওদের জন্য উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনার জন্য পৃথক তহবিলের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সর্বোপরি জাতিসংঘ অবশ্যই রোহিঙ্গা গণহত্যা ও গোষ্ঠীগত উচ্ছেদের জন্য দায়ী মিয়ানমার সামরিক জান্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মুখোমুখী করে জবাবদিহি করবে, যাতে ভবিষ্যতে পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সিসিএনএফ এর কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরীর প্রশ্ন উত্তরে জাতিসংঘের মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পণায় স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় এনজিওদেরকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সমন্বিত পরিকল্পণা গ্রহণ করা হবে।
×