নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ মঞ্জু রানী (৩০) নামের এক সংখ্যালঘু গৃহবধূর চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে বাউফলের দাশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত ওই গৃহবধূকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, মঞ্জু রানীর ভাই অমল কৃত্তনিয়ার সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশি কাঞ্চন খলিফার ছেলে দুলাল খলিফার বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে দুলাল খলিফা ও তার স্ত্রী রুনু বেগম ওই বাড়ি থেকে লাকড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় মঞ্জু রানী বাধা দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে দুলাল খলিফা তাকে লাঠি দিয়ে এলোপতাড়ি ভাবে পেটাতে থাকে। একপর্যায় তার স্ত্রী রেনু বেগম মঞ্জু রানীকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে দেয়।
এরপর দুলাল খলিফা একটি বাঁশের সুচারু কঞ্চি দিয়ে মঞ্জু রানীর ডান চোখ খুচিয়ে উপরে উপরে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় ডাক চিৎকার শুনে মঞ্জু রানীর মা মনিকা রানী বড় ভাইর স্ত্রী শিপ্রা রানী এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। ঘটনার সময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক ছিলনা। তারা ওই সময় কালাইয়া হাটে ছিলেন। খবর পেয়ে
অমল কৃত্তনিয়া ও তার ছোট ভাই কমল কৃত্তনিয়া বাড়ি এসে আহত মঞ্জু রানীকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার চোখের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। অমল কৃত্তনিয়া জানান, তার বোন মঞ্জু রানী দুই মেয়ে নিয়ে প্রায় এক মাস আগে তাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। মঞ্জু রানীর স্বামীর নাম লিটন ঘরামী। বাকেরগঞ্জ উপজেলার
নীলগঞ্জ গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি।