স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ নীলফমারীর জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায় (৪৫) কোন বিরোধের ঘটনায় হত্যার শিকার হয়নি। তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির জঙ্গীদের একটি কিলিং দল গুলি করে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনার ৯ মাস পর শনিবার রাতে নীলফামারী ডিবি পুলিশের হাতে আটক চার জেএমবি সদস্যদের মধ্যে জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ঘাটেরপাড় এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৭) নামের এক জঙ্গী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ক্লিনিং মিশনের এই জঙ্গী আজ রবিবার বিকালে নীলফামারী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। অপর তিন জঙ্গী বিভিন্ন ক্লিলিং মিশনে সহায়তা করে থাকে বলেও আদালতে জবানবন্দী দেয়। এই তিনজন হলো জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিলাই গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে বজলুর রহমান ওরফে বজলু (৩০), ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের পাটোয়ারী পাড়ার বজলুর রশীদের ছেলে সাইফুর রহমান (৩৭) এবং ডিমলা উপজেলার সোনাখুলি চাপানীহাট এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে কারী মো. মীর কাশেম (৩০)।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়,২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট সকাল ৯টায় জলঢাকা উপজেলা শহরের বাসভবন থেকে একটি ইজিবাইকে স্কুলে যাচ্ছিলেন শিক্ষক মানব চন্দ্র রায়। এ সময় ওই ইজিবাইকে অপরিচিত আরো চারজন লোক এসে উঠে। ইজিবাইকটি স্কুলের অদুরে ঘাটের পার মমিনুরের ডাঙ্গায় এলে ইজিবাইকে থাকা যাত্রীবেশী জঙ্গীরা প্রকাশ্যে মাধব চন্দ্রের পেটে ও মাথা লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এরপর জঙ্গীরা আগে থেকে সেখানে অপেক্ষামান দুইটি মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে নীলফামারী ডিবি পুলিশের ওসি বাবুল আকতারের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে ও ভোরে জেলা জলঢাকা ডোমার ও ডিমলা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের অভিযান চালিয়ে এই চার জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গী গোষ্ঠীর অভিযোগ মাধব মাষ্টার ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছিল বলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, আটককৃতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম গত বছরের ৯ আগস্ট এ জলঢাকার গোলমুন্ডা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাধব চন্দ্র হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।