ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ

বিএনপি নেতার উপর হামলার ঘটনাটি চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট: জেলা জামায়াত আমির

বিএনপি নেতার উপর হামলার ঘটনাটি চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট: জেলা জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আমির মাওলানা শাহিনুর আলম বলেছেন, উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার উপর হামলার ঘটনাটি ব্যক্তিগত ব্যবসা ও চাঁদাবাজি সংশ্লিষ্ট। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার অপচেষ্টা করা হচ্ছে, যা কাম্য নয়। রবিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের দরগাহ রোডস্থ জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা শাহিনুর আলম আরও বলেন, ১৭ এপ্রিল রাতে উল্লাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের ইজারা গ্রহীতা ও জামায়াত কর্মী হাফিজুল এবং তার সঙ্গে থাকা ৫-৭ জনকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মো. আজাদ রহমান প্রায় দেড় থেকে দুই শত লোকজন নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরদিন হাফিজুল ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের স্বজন ও এলাকাবাসী আজাদের উপর পাল্টা হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে, যা অবশ্যই ন্যাক্কারজনক। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজে হাফিজুলকে উল্লাপাড়া আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আইনের হাতে সোপর্দ করি—যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিরল। তিনি আরও বলেন, কিন্তু বিএনপি ঘটনাটিকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। বিক্ষোভ সমাবেশে জামায়াতকে জড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছে এবং মিছিলে "ধর ধর শিবির ধর", "ধইরা ধইরা জবাই কর"—এমন উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছে, যা ফৌজদারি আইনে অপরাধযোগ্য। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুস সালাম, সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, শহর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আলহাজ্ব আলী, শহর শিবিরের সভাপতি শামিম রেজা প্রমুখ।

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

রাজশাহীতে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই

রাজশাহীতে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে টাকা ছিনতাই

রাজশাহী নগরীর ঘোড়ামারা এলাকায় রিক্সাযাত্রী ব্যবসায়ীর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বেলা ১০টার দিকে প্রকাশ্যে থানা থেকে অন্তত ৪০০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম দিলীপ কুমার প্রমানিক। তিনি রিলায়েন্স অটো নামের একটি যন্ত্রাংশ বিক্রির দোকানের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। দিলীপ কুমার জানান, আগের দিনের বিক্রির প্রায় ১২ লাখ টাকা নগরের কুমারপাড়া এলাকায় মহাজনের বাসায় রেখেছিলেন। রবিবার সেই টাকা নিয়ে রিক্সায় করে দোকানের দিকে রওনা দেন। এ সময় পথে টাকা ছিনতাই করা হয়। দিলীপ কুমারের কর্মস্থলের মালিক বিপুল কুমার ঘোষ জানান, দিলীপ অনেকদিন ধরে তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। প্রতিদিনই তিনি টাকা নিয়ে যান। এদিকে ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরই বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করতে কাজ চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

শেরপুরে ভিজিএফের ৩ টন চাল জব্দ, মামলা

শেরপুরে ভিজিএফের ৩ টন চাল জব্দ, মামলা

শেরপুরে বিনামূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ভিজিএফ) প্রায় ২ হাজার ৮৭০ কেজি চাল জব্দ করেছে যৌথ বাহিনী। রবিবার দুপুরে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের হাতিআগলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওইসব চাল জব্দ করে যৌথবাহিনী। এ সময় তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি এলাকায় অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এ সময় বস্তায় ভর্তি বিনামূল্যে বিতরণের প্রায় ১ হাজার কেজি চাল বহনকারী দুইটি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা আটক করেন তারা। পরে অটোরিক্সার চালকদের জিজ্ঞাসাবাদে একই ইউনিয়নের হাতিআগলায় সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করা হচ্ছে এমন তথ্য পেয়ে সেখানেও অভিযান চালায় যৌথ বাহিনীর অপর একটি দল। সেখানে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালায় কয়েক যুবক। পরে সেখান থেকে ১ হাজার ৮৭০ কেজি চাল এবং সরকারি খাদ্য গুদামের খালি বস্তা জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল আহম্মেদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পশ্চিম হাতিআগলা গ্রামের শাহজাহান মিয়াসহ (৩৪) ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ওসি জুবায়দুল আলম জানান, হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরকারি পাটের বস্তা পরিবর্তন করে প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছিল। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে ওইসব চাল জব্দ করা হয়েছে।

সংস্কারের অভাবে অকেজো আট স্লুইসগেট

সংস্কারের অভাবে অকেজো আট স্লুইসগেট

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় অকেজো হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত ৮টি স্লুইসগেট। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে অকেজো স্লুইসগেটগুলো কাজে আসছে না উপজেলার কৃষকদের। এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মাধ্যমে ফসলহানির শঙ্কায় আতঙ্কিত রয়েছেন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১৮ হাজার কৃষক। তবে উপজেলার অকেজো স্লইসগেটগুলো সংস্কারে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকৌশলী এস এম তারেক। জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড আশির দশকের শেষ দিকে চাষাবাদের প্রয়োজনে উপকূলীয় এলাকায় এসব স্লুইসগেট স্থাপন করেছিল। ওই সময় এলাকার খালগুলো প্রতিবছর খনন করা হতো। নব্বই দশক পর্যন্ত এসব স্লুইসগেট রক্ষণাবেক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়িত্ব পালন করলেও পরবর্তীকালে নিয়োজিত জনবল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এর পর থেকে স্লুইসগেটগুলো হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন ও পরিত্যক্ত। সাগরের জোয়ারের পানি যাতে স্লুইসগেট অতিক্রম করে খাল দিয়ে লোকালয়ে আসতে না পারে, সে জন্য প্রত্যেকটি খালের মুখে জোয়ার নিয়ন্ত্রক স্থাপন করার কথা থাকলেও কোনোটিতে এসব স্থাপন করা হয়নি। প্রায় প্রতিটি স্লুইসগেট এখন লোহা চোরদের টার্গেট। যে যেভাবে পারছে লোহার পাত চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ,ছাড়া অকেজো এসব স্লুইসগেটের নিচের অংশ মাটিসহ অন্যান্য আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, সীতাকুন্ডের কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, মুরাদপুর, বাড়বকুন্ড,  সৈয়দপুর ও বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে নির্মিত স্লুইসগেটগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো রয়েছে। ফলে গত বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ রোপা আমন খেতে পচন ধরায় ফলন কম হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই যদি অকেজো স্লুইসগেটগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা না হয় তাহলে গত মৌসুমের মতো এবারও রোপা আমন ও আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে স্লুইসগেটগুলো অকেজো থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকার স্থানীয় কৃষকরা। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষক চাষ করতে পারে না। স্লুইসগেটগুলো সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীন মনোভাবের কারণে প্রতিবছর এ ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম তারেক জানান, সীতাকুন্ডের ৮টি স্লুইসগেট সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ পয়োজন তা আমাদের নেই। তবে অকেজো এসব স্লুইসগেট সংস্কার ও নতুন স্লুইসগেট নির্মাণের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অকেজো হয়ে পড়া স্লুইসগেটগুলো পুনরায় মেরামত করে চালু করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, সংস্কারের অভাবে অকেজো উপজেলার ৮টি স্লুইসগেট পুনঃসংস্কারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় খাল খনন শুরু হয়েছে।

যমুনা সারকারখানার এমডিসহ ৮ কর্মকর্তাকে আদালতের শোকজ

যমুনা সারকারখানার এমডিসহ ৮ কর্মকর্তাকে আদালতের শোকজ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীস্থ তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভিযোগ উঠেছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ৮ কর্মকর্তাকে  শোকজ করেছে আদালত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এন এন্টারপ্রাইজের মামলার প্রেক্ষিতে কেন অস্থায়ী ও অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করা হবে না মর্মে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত জামালপুর গত ১৭ এপ্রিল  কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে। মামলার বিবাদীরা হলেন- যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি আবু সালেহ মোহা. মোসলেহ উদ্দিন, মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন, সদস্য যথাক্রমে ডুয়েট যন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মইনুল ইমরান, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) ইকবাল হোসেন, উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) আব্দুল হামীম, জনতা ব্যাংক তারাকান্দি শাখার ব্যবস্থাপক এ আর এম রেদুয়ানুর রহমান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেড। কারখানা সূত্রে জানা যায়, টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর চলমান মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় কারখানার স্বার্থে আউটসোর্সিং টেন্ডার বাতিল করে প্রচলিত নিয়মে  জেএফসিএলের বিভিন্ন বিভাগ/শাখায় নানাবিধ কাজের জন্য সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে (কারখানা চলাকালীন ২৩৩ এবং কারখানা বন্ধকালীন ১৫৯ জন) বিভিন্ন ক্যাটাগরির দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক-কর্মচারী সরবরাহ করার জন্য গত ২০২৫ সালের ২৪ নভেম্বর দরপত্র আহব্বান করেন যমুনা কর্তৃপক্ষ। উক্ত দরপত্রের ভিত্তিতে ১২ ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মেসার্স এ এন এন্টারপ্রাইজ চরপাড়া, তারাকান্দি সরিষাবাড়ী, জামালপুর এর কমিশন/উদ্বৃত্ত রেট ১৬.০০ টাকা যা প্রাক্কলিত কমিশন/উদ্বৃত্ত রেটের সমান হওয়ায় দরপত্রটি কারিগরিভাবে মূল্যায়ন করা হয় এবং উক্ত দরপত্রটি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। অপরদিকে মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিঃ হাতিরপুল, ঢাকা ১২০৫ এর সিডিউলে উল্লিখিত শর্তানুযায়ী প্রয়োজনীয় দলিলপত্রাদি সঠিক থাকলেও প্রতিদিন জনপ্রতি ৮ ঘণ্টা কাজের জন্য কমিশন/উদ্বৃত্ত রেট সিডিউল মোতাবেক এক মাসের মূল বেতনের ওপর শতকরা পাঁচ পার্সেন্ট দাখিল করেছেন যা সিডিউলে উল্লিখিত কমিশন রেট অনুযায়ী যথাযথভাবে দাখিল করা হয়নি। একজন শ্রমিকের আট ঘণ্টা কাজের জন্য কমিশন রেট দাঁড়ায় ২৫ টাকা যা প্রাক্কলিত কমিশন রেটের চেয়ে ০৯ টাকা বেশি। এ বিষয়ে মামলার বাদী মেসার্স এ এন এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ রাশেদুজ্জামান লিটন জানান, সে উক্ত দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী দরপত্র দাখিল করে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কার্যাদেশ না দিয়ে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করিতে থাকে। সে গত ১০ এপ্রিল টেন্ডার কমিটিকে  কার্যাদেশ প্রদানের অনুরোধ করলে কমিটি  তাকে মৌখিকভাবে কার্যাদেশ  দেবে না বলে জানান।  এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন বলেন, শুরুতে আমাদের কিছু দুর্বলতা ছিল। এ কার্যাদেশের জন্য কর্মী সরবরাহের লাইসেন্স জমা দিতে হয়, কিন্তু মেসার্স এ এন এন্টারপ্রাইজ বাণিজ্যিক লাইসেন্স দিয়েছে, যা আমরা বুঝতে পারিনি। মেসার্স আল-মমিন আউটসোর্সিং সার্ভিসেস লিমিটেড অভিযোগ দাখিল করে। যা খোঁজ নিয়ে এবং সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করে এই প্রতিষ্ঠানকেই কার্যাদেশ প্রদানের প্রস্তুতি চলছিল। এরপর এ এন এন্টারপ্রাইজের মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার আদালতের শোকজ নোটিস পাই। বিষয়টি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

নড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা

নড়িয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা

শরীয়তপুরে নড়িয়ায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দুইটি গ্রুপ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরে নড়িয়ায় পদ্মা নদীতে ৬ এপ্রিল থেকে ৩০টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নড়িয়ার নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ও ফসলি জমি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। স্থানীয় বিএনপি’র একপক্ষ চায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাছ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হোক। এই পক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহম্মেদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি কর্নেল (অব) এস এম ফয়সাল, ঢাকার কলাবাগান থানা মহিলা দলের সভাপতি শামীমা জামান। আর দলটির অন্য পক্ষের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ ওরফে রয়েল ও তার অনুসারীরা। এ নিয়ে বিবদমান দুইটি গ্রুপের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন মাঝি বলেন, নড়িয়ার মানুষ নদীভাঙনের কথা শুনলে আঁতকে ওঠেন। নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এক পক্ষ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। আরেক পক্ষ ওই স্থানে ওই সময় বিক্ষোভ ডেকেছে, যা আমাদের জানানো হয়নি। দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি করলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিলে কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই আমরা এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি।