ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

বাংলাদেশ

অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেছেন, গত ১৫ বছরে যারা অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদান করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ইউসুফগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন ১ নম্বর সেক্টর এলাকায় পূর্বাচলের ১৭টি মৌজার মধ্যে মাইজগাঁও মৌজার খতিয়ান বিনামূল্যে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাজউক চেয়ারম্যান জানান, অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের অভিযোগ তদন্তের জন্য হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অবৈধভাবে বরাদ্দ পাওয়া প্লটগুলো যাচাই-বাছাই করছে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যাদের নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাদের তথ্য, প্লট নম্বরসহ আমাদের দিন। আমরা তা যাচাই-বাছাই করব। তবে মনে রাখবেন, বরাদ্দকৃত প্লট রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে তা বাতিল করতে উচ্চ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয়।’ উপস্থিত অধিবাসীদের দাবি প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা যেসব দাবি তুলে ধরেছেন, তা যথাযথভাবে কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হবে। অনিয়মের মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ হয়ে থাকলে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ এ সময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পূর্বাচল অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয় কমিটির আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দুলাল হোসেন বলেন, ‘পূর্বাচলের প্লটবঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্ত অধিবাসীদের পুনর্বাসন, মসজিদের জমি বাড়ানো, বিদ্যালয়ের মাঠের সংযোজন, এবং নিরাপদ নগরায়ণ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে বরাদ্দকৃত সব প্লট বাতিলের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজউককে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমাদের আশা, বর্তমান সরকার এই দাবি বাস্তবায়ন করবে।’ পূর্বাচল প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে রাজউকের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অধিবাসী ও প্লটবঞ্চিতদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আশায় তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ বিভাগের সব খবর

সব দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের সংলাপ জরুরি

সব দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের সংলাপ জরুরি

জাতীয় ঐকমত্য ধরে রাখতে গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সংলাপ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটিকে পুঁজি করে অনেকে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে । শনিবার  দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন একথা বলেন। ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। কাউন্সিল উদ্বোধন করেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। এর পর জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা উত্তোলন করে শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো হয়। গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণফোরাম নেতা মোস্তফা  হোসেন মন্টু। সম্মেলন উদ্বোধন করেন শহিদুল ইসলাম ভূইয়া। ড.কামাল হোসেন বলেন, বিগত ১৬ বছর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নির্লজ্জ দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। এই সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ  তৈরি করতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও দেশের জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে সংস্কার সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে যে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখা প্রয়োজন। এজন্য গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সংলাপ জরুরি বলে আমি মনে করি। গণফোরাম নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ঐক্যকে আরও সুসংহত করবেন। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়েই যা কিছু অর্জন আমরা করতে পারি। এই ঐক্য না হওয়াটাই অতীতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার যে ঐক্য গড়ে উঠেছে সেটাকে সুসংহত করে ঘোষিত লক্ষ্যগুলো আমরা যেন অর্জন করতে পারি। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে গণফোরাম ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখেছেন এক স্বাধীন ও নতুন বাংলাদেশের। এই অর্জন সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারসহ  বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে নেতাকর্মীরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, গণফোরাম জন্মলগ্নে বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল। তা ৩১ বছর পর আরও তীব্র সংকট রূপে আবির্ভূত হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও  স্বৈরাচারের কবলে পড়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অবাধে লুটপাট, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশ শাসনের ফলে সর্বত্র ভয়াবহ সংকট ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে ছাত্র-জনতার এক অবিস্মরণীয় গণজাগরণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন , আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িক সমস্যা  নেই, সেটা আমি কিন্তু বলব না। এটা ব্যতিক্রম, এটাকে যেভাবে দেখিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সেটা তো বাংলাদেশ নয়। কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস ভাঙছে, বিভিন্ন দেশে যে প্রতিক্রিয়া হয়- এই অস্থিরতা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু অস্থির করছে না, সেই প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। অন্যরা যেটা করছে, সেটা বাংলাদেশে করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সাবধান থাকতে হবে- সতর্ক থাকতে হবে; এর মাধ্যমে আগামী বাংলদেশ গড়ার যে স্বপ্ন সেটা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, শান্তিপূর্র্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেন আমরা ফিরে যেতে পারি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আপনারা দেখেছেন, বিভিন্ন ঘটনাবলী যেটা ১৫-১৬ বছরে ছিল না, এখন দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী, বিভিন্ন সংস্থা নামছে, একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে, এসব দাবি-দাওয়ার পেছনে অন্য শক্তি কাজ করছে, কারা এটা Ñ আমাদের বুঝতে হবে। এই শক্তির উৎস কোথায় তা জানতে হবে। ইদানীং যে ঘটনাগুলো ঘটছে ধর্মের নামে, আসলে কি ধর্মের নামে যে দাবি-দাওয়াগুলো, সেগুলো বোঝার জন্য আরেকটু গভীরভাবে দেখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা  করার দরকার  নেই, সংস্কার আমরা করব। আমীর খসরু বলেন,  স্বৈরাচারের দোসররা কিন্তু বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বিভিন্নভাবে শুরু করেছে। কখনো আনসারের বিদ্রোহ, কখনো সংখ্যালঘু, কখনো অটোরিক্সার মাধ্যমে, প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।  স্বৈরাচারকে সরিয়েছি, আজকে কিন্তু আমাদের ঐক্যকে অটুট রাখতে হবে। জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে একটা কারণে; মানুষের প্রত্যাশা, আকাক্সক্ষা পূরণ করতে হলে আপনাকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধটা হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। আমরা সম্মিলিতভাবে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়ে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন  সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি এবং আমরা সেটা করতে চাই এই কারণে- এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর  ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনে যেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে পারি; এটা আমাদের লক্ষ্য। সংস্কারের কথা যারা বলে, তার বহু আগে ৩১ দফা সংস্কারের কথা এক বছর আগে তুলে ধরেছি। সেই ৩১ দফার মধ্যে আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সবকিছু আছে। সেটা আমরা করব। আগামীদিনে নির্বাচনের পরে যে সরকার হবে, সেটা হবে জাতীয় সরকার এবং সেই জাতীয় সরকার এই ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। এটা আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণফেরামের জাতীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা  মোহসীন মন্টু বলেন, দেশ ও জাতি আজ কঠিন সময় পার করেছে। একটি দুষ্ট চক্র দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চায়। ভারত সরকারও ওই দুষ্ট চক্রকে উস্কানি দিচ্ছে। বর্তমান ভারত সরকার সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে চলছে। ভারতের এই সরকারই সে দেশের গান্ধীকে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, চিন্ময়কে কেন্দ্র করে ভারত বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়েছে। বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা করেছে।

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৮ কোটি টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৮ কোটি টাকা

ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর খোলা হয়েছে। শনিবার সকালে খোলা এই দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গণনা শেষে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া  গেছে। তা ছাড়া এবার মনোবাসনাসহ নানা বিষয়ে লেখা বেশকিছু চিঠি মিলেছে দানবাক্সে। টাকার বস্তাগুলো প্রথমে মসজিদের দোতলার মেঝেতে নিয়ে ঢালা হয়। পরে টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন সেনা সদস্য, ১৭ জন পুলিশ সদস্য, ৯ জন আনসার সদস্য, মাদ্রাসার ২৮২ জন শিক্ষার্থী, ৩৬ জন শিক্ষক ও স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছে। পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান গণমাধ্যমকে জানান, এবার তিন মাস ১৪ দিন পর মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদের দোতালায় নিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়।  সর্বশেষ গত ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ২৬ দিনে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গিয়েছিল। এই মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এ ছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে। মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যায় বাবা ও ভাইয়ের মামলা

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যায় বাবা ও ভাইয়ের মামলা

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় শুক্রবার মধ্যরাতে পরিবারের পক্ষে তার পিতা ও বড় ভাই কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করেছেন। ঘটনার তিনদিন পর এসব এজাহার দায়ের হলো। এর আগে মঙ্গলবার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে নাকচ হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণ ও সন্নিহিত এলাকাজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে একদল দুর্বৃত্ত দফায় দফায় কোপায়। মুর্মূষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরদিন বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর পর পরিবারের পক্ষ থেকে সাইফুলের পিতা ও ভাই আলাদাভাবে শুক্রবার রাতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। সাইফুলের পিতা জামাল উদ্দীন সুনির্দিষ্ট ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তার এই মামলায় অজ্ঞাতনামা রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন। অপরদিকে, সাইফুলের বড় ভাই খানে আলম ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা রয়েছে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ জন। এ নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও প্রায় ১৪শ’ জনকে আসামি করে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আইনজীবী হত্যা ও আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হামলার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানা পুলিশ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত নন অথচ মামলায় আসামি হয়েছে এমন বিষয় নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করে অভিযান চালাবেন। এ ছাড়া আসামিদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের অহেতুক হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসামিদের এমন অনেকে আছেন, যারা ঘটনার সময় ছিলেনও না, অনেকে ছিলেন চট্টগ্রামের বাইরে। তাদের মতে, শত্রুতাবশত তাদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত দায়ের করা পাঁচটি মামলার কোথাও চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীকে আসামি করা হয়নি। নিহত সাইফুলের বাবা মামলায় উল্লেখ করেছেন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। সাইফুলের পিতা জামাল উদ্দীনের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলেন কোতোয়ালি থানার বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির,  সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস, রাজীব ভট্টাচার্য। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন আসামি রয়েছে।  এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চারশ’ থেকে পাঁচশ’ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী আলিফের বড় ভাই খানে আলম। এ ১১৬ জনের তালিকা পুলিশ জানাতে পারেনি।  সার্বিক বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, হত্যার ঘটনায় ৯ জনসহ এ পর্যন্ত মোট ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুলের পিতা জামাল উদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, ছেলে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।  সিএমপির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাইফুলের বাবার দায়ের করা হত্যা মামলায় অধিকাংশ আসামিই বান্ডেল সেবক কলোনির বাসিন্দা। তাদের পেশা পরিচ্ছন্নতাকর্মী। হত্যাকা-ের ভিডিও দেখেই পুলিশ আইনজীবী হত্যার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্যদের সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইফুলের পিতার দায়ের করা এজাহারে যা আছে ॥ গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ  জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। আদেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসামিপক্ষের ইসকনপন্থি আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ করে অশালীন ভাষায় বিভিন্ন আজেবাজে মন্তব্য করে এবং আদালতে হট্টগোল সৃষ্টি করে। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজনভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা  দেন।  প্রিজন ভ্যানের সামনে ও পিছনে শুয়ে পড়ে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা আদালত প্রাঙ্গণে জটলা বাধিয়ে রাখে। তখন আসামিরা জয় ধ্বনি, শঙ্খ বাজিয়ে, জয় শ্রীরাম, ধ্বনিসহ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক স্লোগান দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ  ফোর্স, আনসার ও বিজিবি এসে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে  দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে ত্রাস সৃষ্টি করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তারা আদালত চত্বর ত্যাগের সময় মসজিদসহ আইনজীবী ও সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে।

৭৫ বছর বয়সেও সব ভাতাবঞ্চিত আজিজ শেখ

৭৫ বছর বয়সেও সব ভাতাবঞ্চিত আজিজ শেখ

জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভুলের জন্য ৭৫ বছর বয়সেও সকল ধরনের ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামি গ্রামের আব্দুল আজিজ  শেখ। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলেও শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল তথ্যের জন্য  থেমে আছে তাঁর ভাতার সকল কার্যক্রম। ১৯৪৯ সালের ২০মে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল আজিজ শেখ। পিতা মৃত তাছির  শেখ ও মাতা ফুলি  বেগম দম্পতির সন্তান তিনি। আব্দুল আজিজ  শেখ জানান, আমি লেখাপড়া  তেমন একটা জানি না। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র করার সময় ভুল তথ্য দিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। এজন্য আমি মুক্তিযোদ্ধা ও বয়স্ক ভাতা  থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। নির্বাচন অফিসে অনেকবার গিয়েছি তবু আমার পরিচয়পত্র তারা সংশোধন করে  দেয়নি। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা  মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা  নেই। তবে ওই ব্যক্তি আমাদের কাছে যথা নিয়মে আবেদন করলে তার পরিচয়পত্র সংশোধন করে  দেওয়া হবে।

কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিক দানব

কক্সবাজার সৈকতে প্লাস্টিক দানব

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্লাস্টিক দানব তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে নির্মাণ করা হয়েছে দানবটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মিত হয়েছে আকাশছোঁয়া একটি দানব। এই দানব প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির বিরূপতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। জেলা প্রশাসন কক্সবাজার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে প্রদর্শন করা হবে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি এ দানব ভাস্কর্যের। জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়িতে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে ভয়ংকর এক দানব। যে দানবটি রক্ত-মাংসহীন প্রতীকী হলেও যার হিংস্র থাবায় প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত মানবদেহ, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য। সৈকতে ঘুরতে আসা যে কেউ এটি প্রথম দর্শনে মনে ভয় বিরাজ করলেও কাছে যেতেই সে ভয় কেটে যাবে। আর জানবে দানবটির দেহে বয়ে বেড়ানো প্লাস্টিক দূষণে প্রাণ-প্রকৃতির ক্ষতির মাত্রা। আয়োজক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি দিনই সমাগম ঘটে লাখো পর্যটকের। যারা সৈকতের বালিয়াড়ি ও সাগরের পানিতে ফেলছে প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রীর বর্জ্য। এতে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে দূষণ এবং হুমকির মুখে পড়ছে সামুদ্রিক জীব ও মানবজীবন। আর প্রাণ-প্রকৃতির দূষণ রোধে এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি নিয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি দানব ভাস্কর্যের প্রদর্শনীর মত ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগের। ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক জানান, গত প্রায় ১ মাস ধরে কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করেছে অন্তত ১০ টন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করেছেন এই ‘প্লাস্টিক দানব। গত ৭ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের জন্য ‘প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোর’ ও স্থানীয়দের জন্য ‘প্লাস্টিক এক্সেঞ্জ মার্কেট’ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর ও শিল্পী আবীর কর্মকার জানান, বিদ্যানন্দের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী। এতে তারা প্লাস্টিক বর্জ্যরে পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন কাঠ, পেরেক ও আঁটা (গাম) সহ আরও কয়েকটি উপকরণ। ভাস্কর্য শিল্পীদের দাবি, এটি এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ প্লাস্টিক দানব। এদিকে শুক্রবার বিকেলে প্লাস্টিক বর্জ্যে নির্মিত এ দানবটি দেখতে ভিড় করেছেন সৈকতে ঘুরতে আসা হাজারো পর্যটক। তারা বলেছেন, এটি দেখতে এসে মানুষ দৈত্য-দানবের ভয়ংকর রূপের মত প্লাস্টিক বর্জ্যরে ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হবেন। পাশাপাশি নিজেরাও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সজাগ  থাকবেন।

দুদকে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

দুদকে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ 

রামগঞ্জে জেলা পরিষদ মালিকাধীন মার্কেট জিয়া শপিং কমপ্লেক্সে নকশা বহির্ভূত দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দিয়ে, মার্কেটের নাম পরিবর্তন করে ও সংস্কার কাজে দুর্নীতির মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মার্কেটে ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটি সদস্য মাসুদ আলম এসব অভিযোগের চিঠি দেন। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর একই অভিযোগে জেলা পরিষদের প্রশাসকের নিকট চিঠি দিয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক  জাকির হোসেন হেলাল। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজান নিজের আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সৈকত মাহমুদ শামছু, পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ, উপজেলা সমবায় সমিতিরি সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ভূইয়া ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সায়েম হোসেনসহ কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজশে ২০২২ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত নকশা বহির্ভূত  মার্কেট ভবনের ৩য়তলার  কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ৮৬টি দোকান নির্মাণ করেন।

দেড় বছরের প্রকল্পে ১৪ মাসে কাজ হয়েছে ১৪ শতাংশ

দেড় বছরের প্রকল্পে ১৪ মাসে কাজ হয়েছে ১৪ শতাংশ

১৮ মাসের সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ১৪ মাসে কাজ হয়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ; এতে বাড়বে ব্যয়ও। দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। ব্যবসাবাণিজ্য গুটিয়ে নেওয়ার উপক্রম আশপাশের কয়েকশ’ ব্যবসায়ীর। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। এমন চিত্র খুলনা নগরীর গল্লামারীতে ময়ূর নদের ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে। সঠিক ভাবেই কাজ এগোচ্ছে সওজ কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ প্রকল্পের ডিজাইনেই ভুল থাকায় তৈরি হয়েছে সংকট। খুলনা শহরের অন্যতম প্রবেশদার গল্লামারী। যেখান দিয়ে দক্ষিণ, পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের বড় অংশের মানুষ শহরে প্রবেশ করে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) তথ্যমতে সেই প্রবেশমুখ ময়ূর নদের ওপর ব্রিটিশ আমলে তৈরিকৃত একটি সেতু ছিল। সেতুটি জরাজীর্ণ ও শহরমুখী মানুষের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৫ সালে ছয় কোটি ৯০ লাখ টাকায় পাশাপাশি আরও একটি সেতু তৈরি করে সওজ বিভাগ। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ নকশার কারণে মাত্র ছয় বছরে মাথায় সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে আবার সিদ্ধান্ত হয় দুইটা সেতুই ভেঙ্গে ফেলে পাশাপাশি দুটি সেতু নির্মাণের।