বার বার চালু করেও ঢাকা থেকে প্রয়োজনীয় শ্রমিক নিতে পারছে না মালয়েশিয়া। সিন্ডিকেটের দাপট আর সময়সীমার জটিলতায় গত ৩১ মে-এর মধ্যে যেতে পারেননি সব শ্রমিক। সকল প্রক্রিয়া শেষ করেও ১৭ হাজারের বেশি কর্মী আটকা পড়ায় বড় ধরনের কেলেঙ্কারির মুখে পড়ে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জোর তৎপরতায় মালয়েশিয়ায় আরও শ্রমিক নিতে রাজি হয়। এবার নেওয়া হবে বিপুলসংখ্যক কৃষি শ্রমিক। কিন্তু নানা আশঙ্কা আবারও দেখা দিয়েছে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ায়। তবে এবার আর সিন্ডিকেট হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন বায়রা নেতা ফখরুল ইসলাম।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকার এবারও সময় বেঁধে দিয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এসব শ্রমিকদের পাঠাতে হবে। বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের চালু হওয়ায় যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি উদ্বেগও দেখা দিয়েছে মাত্র আড়াই মাসে প্রত্যাশিত সংখ্যায় শ্রমিক পাঠানো নিয়ে। বায়রার প্রতিনিধিরা এবারও চিন্তিত যে, এ সময়ের মধ্যে খুব বেশি শ্রমিক পাঠানো যাবে না। ফলে আগের মতোই মুখ থুবড়ে পড়বে এবারের উদ্যোগও। গত বছর বিমানের টিকিটের সংকটে আটকা পড়েছিল ১৭ হাজার জন। এবারও ঠিক তেমনটি ঘটতে পারে। ভিসা থাকার পরও যদি টিকিট সংকট দেখা দেয়, তাহলে অনেকেই আটকা পড়তে পারেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৯২ হাজার ৯০৬ জন। ২০১৮ সালে শ্রমবাজারটি বন্ধের চার বছর পর ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। সে বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন। এর গত মে মাসে বন্ধ হয়ে যাবার আগে আরও কর্মী গেছে।
জানা গেছে, নতুন ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে কৃষি শ্রমিকদের। যারা দক্ষ ও পেশাদার, তাদের প্রথম দফায় ওই সময়ের মধ্যে যেতে হলে এখনই জোর চেষ্টা চালাতে হবে।