ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

waltonbd
waltonbd
Sopno
Sopno
Ad Plus /adfinix
Ad Plus /adfinix
SomajVabna
জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না

জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি বলেছেন, সরকার আমাদের দলে একটা বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে, সরকারের এটা করা উচিত না। আমাদের দল ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না। মঙ্গলবার জাপার বনানী কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি তা সংসদে বিস্তারিত বলেছি। আইআরআই বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের আগেই আমি সংসদে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। নির্বাচন ইস্যুতে খবরের কাগজে নিবন্ধও লিখেছি। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দলের কিছু লোক কথা বলে না। তাই দীর্ঘদিন ধরেই দল হিসেবে আমরা সংসদে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কারণ, সরকার আমাদের দলের মাঝে একটা বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। সরকারের এটা করা উচিত না। আমাদের মতো দল ধ্বংস হয়ে গেলে, সরকারও সুখে থাকবে না।  জি এম কাদের আরও বলেন, দেশের সকল ক্ষমতা যদি জনগণের হয় তাহলে তারাই নির্বাচন করবে জনপ্রতিনিধি। দেশের মানুষের কি ভোটাধিকার আছে? আমরা বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ চেয়েছিলাম, যেখানে সবার জবাবদিহিতা থাকবে। কেন জিনিসপত্রের দাম কমছে না? কেন প্রতিদিনের লাগা আগুন বন্ধ করতে পারছে না? কেন ভেজাল বন্ধ করতে পারছে না? কারণ হচ্ছে, কোথাও জাবাবদিহিতা নেই।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সাভার স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, আমরা সন্তানহারা মায়ের কান্না থামাতে পেরেছিলাম। আমরা স্বামীহারা, বোনহারা স্বজনহারাদের ব্যথা একটি পর্যায় কাটিয়ে দেশের দিকে তাকিয়ে এই স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে দুঃখ-কষ্ট যন্ত্রণা আমরা সেদিন নিরসন করতে না পারলেও এই স্বাধীনতায় অত্যন্ত আপ্লুত ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ ছিল। ক্রমান্বয়ে আজকে ৫৩ বছর পর আমরা কী দেখছি? আমরা দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, সেই কারণটি এখনো বলবৎ। গয়েশ্বর বলেন, এখনো দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে। আকাশচুম্বি জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা। আজকে এই প্রাঙ্গণ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমাদের কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।

মসজিদে মসজিদে খতম তারাবি

মসজিদে মসজিদে খতম তারাবি

মূলত রমজানের চাঁদ দেখার পর তারাবি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে শুরু হয় মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। পবিত্র রোজার মাস চলছে এখন। ইতোমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অর্ধেকের বেশি রোজা পালন করেছেন। মসজিদে মসজিদে তারাবি নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে রোজা রাখেন মুসল্লিরা। এ ক্ষেত্রে রাজশাহীর মসজিদসমূহেও হাজার হাজার মুসল্লি তারাবি নামাজ আদায় করেন।  রাজশাহী নগরের বেশির ভাগ মসজিদেই খতম তারাবি নামাজ আদায় হয়। একেবারে পাড়ার ওয়াক্তিয়া কিছু মসজিদ ছাড়া সব মসজিদের খতম তারাবি আদায় হয়। রাজশাহী নগরীর বেশিরভাগ মসজিদে ২০ রাকাত খতম তারাবি হয়। কিছু মসজিদে ৮ রাকাত আর ১২ রাকাত নামাজও আদায় হয়। তবে কেবল ২০ রাকাত নামাজ যেসব মসজিদে আদায় হয় সেগুলোতেই খতম তারাবি হয়ে থাকে। অন্য মসজিদসমূহে হয় সুরা তারাবি। যুগ যুগ ধরেই এই রীতিতে চলছে তারাবি নামাজ। রাজশাহী নগরীর প্রধান মসজিদ হজরত শাহ মখদুম (রহ.) জামে মসজিদ। এ মসজিদের ঐতিহ্য রয়েছে দেশের সবখানে। রয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। রাজশাহী নগরীর এ মসজিদে শুরু থেকে খতম তারাবি নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। স্থানীয় মুসল্লি ছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে আসেন। তারাবি আর জুমার নামাজে মানুষের ঢল নামে এ  মসজিদে।   বুধবার রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) জামে মসজিদে গিয়ে দেখা হয় এখানকার খাদেম হাফেজ মোহাম্মদ হাবিবুল্লার। তিনি জানান, এ মসজিদে যুগ যুগ ধরেই খতম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সূরা তারাবি কখনো হয়েছে বলে তিনি জানেন না। তিনি বলেন, তারাবির নামাজের শুরুর ৮ রাকাতে যত মুসল্লি থাকে শেষ পর্যন্ত তত থাকে না। তারপরও বেশিরভাগ মুসল্লি শেষপর্যন্ত ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ থাকে মুসল্লিদের আগমনে।

IFIC
IFIC
দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বাংলাদেশী আমেরিকানদের পরিশ্রম

দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বাংলাদেশী আমেরিকানদের পরিশ্রম

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশী আমেরিকানদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড লু এ কথা বলেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, ‘তাদের শক্তি ও অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে।

দেশে ১ কোটি ৪১ লাখ টন খাবার বছরে নষ্ট হয়

দেশে ১ কোটি ৪১ লাখ টন খাবার বছরে নষ্ট হয়

বাংলাদেশে বছরে এক কোটি ৪১ লাখ টন খাবার নষ্ট হয়। এক্ষেত্রে  একজন মানুষ বাড়িতে বছরে আনুমানিক ৮২ কেজি খাবার নষ্ট করেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৭৩ কেজি), নেদারল্যান্ডস (৫৯ কেজি) এবং জাপানের (৬০ কেজি) মতো ধনী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। জাতিসংঘের এক সমীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।  নাইরোবিভিত্তিক জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) থেকে প্রকাশিত ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ কোটি ৪১ লাখ টন খাবার নষ্ট হয়। গত বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  খাবার নষ্ট করার এ বাজে পরিস্থিতি অতীতের অনুমানের তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২১’ অনুসারে, বাংলাদেশীরা বছরে ৬৫ কেজি খাবার বাড়িতে নষ্ট করেছেন। যার ফলে দেশে মোট ১০.৬২ মিলিয়ন টন গৃহস্থালি খাদ্য নষ্ট হয়েছে। মানুষের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে সরিয়ে ফেলা খাবার এবং অখাদ্য অংশকে এ প্রতিবেদনে ‘খাদ্য বর্জ্য’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ‘খাবার’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যে কোনো দ্রব্য যেটি প্রক্রিয়াজাত, আধা প্রক্রিয়াজাত বা কাঁচা অবস্থায় মানুষ খেতে পারে। এর মধ্যে পানীয় এবং অন্যান্য দ্রব্য যেগুলো খাদ্য তৈরি, প্রস্তুতি বা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় সেগুলোকেও খাদ্য হিসেবে প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে।

দেশের অর্থনীতিতে নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে ॥ আতিউর রহমান

দেশের অর্থনীতিতে নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে ॥ আতিউর রহমান

বাংলাদেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটে গেছে। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে একজন রিক্সাচালক থেকে শুরু করে ভিক্ষুকরাও ব্যাংকে হিসাব খুলে লেনদেন করতে পারছেন। সহজেই সকল মানুষ ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১২ লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিদেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে আয় করছেন। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলেই এসকল কিছু সম্ভব হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী  ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক সময় কুড়ে ঘরে বসবাস করত, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন মানুষ বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করছেন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশে এখন অর্থনীতিক বিপ্লব ঘটেছে।  দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়েছে।  সেই তুলনায় রপ্তানি বাড়েনি। যার ফলে বেশি দামে পণ্য আমদানি করায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার কমানো, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও নিয়মিত কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করেন খ্যাতিমান এই অর্থনীতিবিদ।  নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সংগঠক, নারীনেত্রী অধ্যাপক রাশেদা খালেকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং বর্তমান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রধান হাসান ঈমাম সুইটের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মো. আনসার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, আইকিউএসির পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।