নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ ॥ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ফরহাদ মুন্সী (৩০) নামে আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার বাড়ি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ননী গোপালপুর গ্রামে। ওই বাড়িসহ আশপাশের ৬টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় তিনজন করোনা রোগী সনাক্ত হল।
এছাড়াও জেলার মুকসুদপুর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যের করোনা সনাক্ত হওয়ায় থানার ওসিসহ ৩৫ পুলিশ-সদস্যকে হোম-কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোঃ আসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, গত ৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে ফরহাদ মুন্সী নিজ বাড়িতে আসে। পরে ৯ এপ্রিল শারিরীক অসুস্থ বোধ করলে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠায়। সেখান থেকে রিপোর্ট এলে তার শরীরে করোনা পজেটিভ জানা যায়। এরপর তার পরিবার ও আশপাশের আরও ৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মোঃ আসলাম খান জানিয়েছেন, জেলার মুকসুদপুর থানায় কর্মরত পুলিশ-সদস্য কনস্টেবল মহিউদ্দিনের জ্বর হলে ছুটি নিয়ে গত ৬ এপ্রিল নিজ বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বীরবাশাইল গ্রামে যান। পরে সেখানে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হলে করোনা সনাক্ত হয়। বর্তমানে ওই পুলিশ-সদস্য মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ কারণে মুকসুদপুর থানার ওসিসহ ৩৫ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ওসি মির্জা আবুল কালাম আজাদ সহ ৭ জনকে থানা-কম্পাউন্ডের একটি ভবনে হোম-কোয়ারেন্টাইনে এবং বাকী ২৮ জনকে মুকসুদপুর সরকারি কলেজের একটি ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ওই পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছেন এমন ১২ জন পুলিশ-সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।