স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট।। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বাগেরহাটের লোকজন ফিরে আসার খবরে এ জেলায় সব ধরনের যন্ত্রযান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কাউকে ঢুকতে বা বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না। শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ওইসব জেলায় কর্মরত বাগেরহাটের বাসিন্দারা এলাকায় ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, যে যেখানে আছে তাকে সেখানে থাকতে হবে। সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে।
“বাগেরহাটকে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখার জন্য জেলার সব সীমান্ত পথ দিয়ে সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।”
জেলা প্রশাসক বলেন, এ জেলায় ঢোকার মূল পথ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের নওয়াপাড়া ও বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের মহিষপুরা এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া সব সময় মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে। ৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছে। গত ১০ দিনে এ জেলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অপরাধে প্রায় তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে খুলনা ট্যাংকলড়ী মালিক সমিতির উদ্যোগে ৪৫ টি ট্যাংকলড়ি দিয়ে বাগেরহাটের জীবানু নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী মোড় থেকে তিনদিন ব্যাপি এ জীবানুনাশক স্প্রে কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়।এ সময় ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, খুলনা সিটি কর্পোরেশন প্যানেল মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না, বাগেরহাট পৌরসভা মেয়র খান হাবিবুর রহমান, ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ পারভিন, বাংলাদেশ ট্যাংক লড়ি মালিক সমিতির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন, সাংগঠিনক সম্পাদক খালিদ আহম্মেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফিরোজুল ইসলাম, শেখ সলিম আহম্মেদ, মোঃ মেরাউল ইসলামসহ ট্যাংকলড়ি মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। করোনা সংক্রমন রোধে জেলার ফকিরহাট ,মোল্লাহাট ,চিতলমারী ,বাগেরহাট সদর ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে এ জীবানুনাশক স্প্রে করা হবে।