বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ এর অতিরিক্ত অংশ হিসেবে গেজেট হওয়া ‘পোষা পাখি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২০’ খাঁচায় পাখি লালন-পালন নিয়ন্ত্রণের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু এই আইনের বিধিমালাটি খাঁচায় জন্ম নেওয়া বিদেশি পাখির জন্য প্রয়োগ না করার দাবি জানিয়েছে পোষা পাখি পালনকারী তিনটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান এভিয়ান কমিউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে বন্য পাখি যেমন সবুজ টিয়া, চন্দনা টিয়া, ময়না, তিলা ঘুঘু, মুনিয়া, দোয়েল, শালিক ইত্যাদি পাখির লালন-পালন অবৈধ। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় পাখি পালনে যে বিধিমালা করা হয়েছে, তার চেয়ে আরও কঠোর বিধিমালাকে আমরা সমর্থন করি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে খাঁচায় জন্ম নেওয়া পাখি লালন পালন ও প্রজনন করানো সম্পূর্ণরূপে বৈধ। বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখি বিভিন্ন মূল্যমানের হলেও বাংলাদেশের পাখি পালকেরা গড়ে ২০০-১০০০ টাকা মূল্যের পাখি পালন করে। আর সেখানে ১০টির বেশি পাখি পালনের জন্য ১০ হাজার টাকা লাইসেন্স ফি, প্রতি পাখির জন্য ২০০০ টাকা পজিশন ফি, পাখির জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, ব্যয়বহুল পাখির রিং, অস্বাভাবিক খাঁচার মাপ, পদে পদে অজামিনযোগ্য জেল-জরিমানা এবং আমদানির চেয়ে রফতানি মূল্য বেশি ইত্যাদির মাধ্যমে বন মন্ত্রণালয় এমন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করেছে যা একজন সৌখিন পাখি পালন সম্ভব নয়।
তাই খাঁচায় জন্ম নেওয়া পাখির ক্ষেত্রে এ বিধিমালা কার্যকর না করার দাবি জানাচ্ছি। আর এ বিষয়ে আমরা বন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠিও পাঠিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে এক্সোটিক বার্ডস ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাজেদুল হক, এভিকালচারাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ড. আমজাদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।