অনলাইন ডেস্ক ॥ কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ বছর ভালো পেঁয়াজ হবে। আমরা খুবই আশাবাদী, অনেক এরিয়াতে পেঁয়াজ করা হয়েছে। আমরা যে পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করেছি সেটা মাঠ পর্যায়ে চাষাবাদ হলে ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে পেঁয়াজের সমস্যা থাকবে না। সেটা বারবারই বলছি। নতুন জাতের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ না হলেও কাছাকাছি হবে। ১০-১১ টন হতো প্রতি হেক্টরে, সেটা হবে ১৮-১৯ টন।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে পেঁয়াজ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবানে তিনি এ কথা বলেন । এর আগে কৃষিমন্ত্রী সফররত সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার অ্যাসিসট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) ক্রিস্টোফার উইলসন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় দেশটি। রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর দেশের পেঁয়াজ বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়।
পেঁয়াজ পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) ফরিদপুরে শিলাবৃষ্টি, ফাল্গুন মাসে শিলাবৃষ্টি-এমনটা কি চিন্তা করা যায়? সকাল থেকে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। পেঁয়াজের ভালোই ক্ষতি হয়েছে। পাতা নষ্ট হয়ে গেছে।’
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে পেঁয়াজ নামলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। দাম কমে যাবে, চাষিরা দাম পাবে না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ক্যাবিনেটে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী (বিষয়) তুলেছিলেন, আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় কী করছি? বলেছি, আমরা চাষিদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পেয়েছি। (পেঁয়াজ চাষের) আওতা যথেষ্ট বেড়েছে। আশা করি অসুবিধা হবে না।’
‘আমি ক্যাবিনেটেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে রিকোয়েস্ট করেছি, যখন হারভেস্ট শুরু হবে তখন যেন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়। ওই সময়ে ভারতের পেঁয়াজ এসে যেন বাজার ভাসিয়ে দিয়ে না যায়। যাতে আমাদের চাষিরা একটা ভালো দাম পায়।’
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ, তারা সতর্ক আছে।’