অনলাইন রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিমাণ হ্রাস করতে ও সড়ক ব্যবস্থা নিরাপদ করতে আগামী দশকে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ করতে হবে প্রায় ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমান প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার উপরে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখপাত্র মেহরিন-এ-মাহবুব স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুহার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে দ্বিগুণ। শিশু এবং কর্মক্ষম বয়সের মানুষ বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শিশু মৃত্যুর চতুর্থ বৃহত্তম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। ১৯৯০ সালে যা ছিল শিশু মৃত্যুর নবম বৃহত্তম কারণ।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিরাপদ সড়কে অবকাঠামোগত নকশায় নতুনভাবে ফোকাস করতে হবে। যাতে করে মানুষ, প্রাণী, পথচারী, সাইকেল, রিকশা, মোটরসাইকেল, মোটরযুক্ত তিন চাকার গাড়ি, গাড়ি, মিনিবাস, বাস, মিনি ট্রাক, ট্রাক, এবং কৃষি যানবাহন নিরাপদে চলাচল করতে পারে।
প্রতিবেদনে আঞ্চলিক বাণিজ্য করিডোরগুলিতে ফোকাস করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়। এতে দেখানো হয়, সারাদেশের সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহন এমনকি প্রাণী, পথচারী, সাইকেল, রিকশা, মোটরসাইকেল, মোটর চালিত তিন চাকার গাড়ি, গাড়ি, মিনিবাস, বাস, মিনি ট্রাক, ট্রাক এবং কৃষি যানবাহনের পর্যাপ্ত কোনো সড়ক সুবিধা নেই। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে টেকসই সড়ক সুরক্ষা কর্মসূচিতে বিনিয়োগের দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের রাস্তায় মৃত্যুহার বাড়তেই থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর জিডিপির তিন থেকে পাঁচ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ স্কেফার। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এখন শুধু মানবিক নয়, অর্থনৈতিক সমস্যা হয়েও দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের উচিত এখন সড়ক নিরাপত্তায় বেশি নজর দেওয়া। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি সড়ক নিরাপত্তা আইন মানার আহ্বান জানান।