অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম নভেল করোনাভাইরাস। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা গোত্রের নতুন এই ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডেই এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৪২৫ জনের, বিশ্বজুড়ে এ সংখ্যা ৪২৭। আর আক্রান্ত ২০ হাজার ৬৭৬ জন; যার মধ্যে ৬৬৪ জন সুস্থও হয়েছেন।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে গোটা চীন জুড়ে বিরাজ করছে এখন অন্যরকম এক পরিস্থিতি। সেখানে চীনের এক নারী সম্ভাব্য ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচেছেন সম্ভাব্য ধর্ষককে করোনাভাইরাসের ভয় দেখিয়ে। ইয়ি নামের ওই নারী যখন বুঝতে পারেন তিনি ধর্ষণের কবলে পড়তে যাচ্ছেন তখন তিনি আক্রমণকারীর সামনে কাশি দিতে শুরু করেন। তিনি চিৎকার করে এও বলেন যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, তার বাড়ি উহানে এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তিনি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা থাকছেন।
চীনের এই উহান শহর থেকেই প্রথম ছড়ায় নভেল করোনাভাইরাস। বলা হচ্ছে উহানের একটি সিফুড মার্কেট থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। ঠিক কী থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে তার নিশ্চিত খোঁজ এখনও পাওয়া না গেলেও সন্দেহ করা হচ্ছে বাঁদুড় থেকে ছড়িয়েছে নভেল করোনা। এরআগে এই বাঁদুড় থেকেই ছড়িয়েছিল সার্স ভাইরাস। সার্স ও নভেল দুটিই করোনা গোত্রেরই ভাইরাস।
ধর্ষণ থেকে বাঁচার এই ঘটনাটি ঘটেছে গেল শুক্রবার, জিংশান নামে উহানের কাছের এক শহরে। ইয়িকে যে যুবক নির্যাতন করতে উদ্ধত হয়েছিল পুলিশ বলছে ওই যুবকের নাম জিয়াও। শুক্রবার রাতে জানাল ভেঙে ওই তরুণীর ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন ওই যুবক।
পরে ইয়ি যখন বুঝতে পারেন জিয়াও তাকে ধর্ষণ করতে পারেন তখন তিনি তাকে করোনাভাইরাসের ভয় দেখান। এতে ওই যুবক ভয় পেয়ে তার কাছে আর আসেনি তবে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ইয়ির কিছু টাকা লুটে নিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার বিস্তারিত দিয়েছে জিংশান পুলিশ সিকিউরিটি ব্যুরো।
ইয়ি তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই যুবকের খোঁজে মাঠে নামে। তবে ওই যুবকের খোঁজে মাঠে নেমে পুলিশকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয় কারণে সেখানে সবাই এখন করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার করছেন।
পরে জিয়াও নিজেই তার বাবাকে সাথে পুলিশের কাছে ধরা দেয়। এখন তিনি পুলিশের হেফাজতেই রয়েছেন। তিনি নিজের দোষ স্বীকারও করেছেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল