নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ ১১ সালে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়ে ছিল। এ বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় নিপা ভাইরাসে মুত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে করে এই নিপাভাইরাস নিয়ে আতংক ছড়াচ্ছে লালমনিরহাটের সব গ্রামে। সচেতন হতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মাঠ কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছে। খেঁজুর রস কাঁচা খাবেন না। বাদুড়ে খাওয়া বা ঠোকরানো ফল খাবেন না। নিপাভাইরাস বাঁদুড়ের লালা থেকে ছড়ায়। নিপাভাইরাস সর্ম্পকে সচেতনা হলেই, প্রাণহানি থেকে শতভাগ রক্ষা পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে খেঁজুরের রস ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেতে হবে। বর্তমানে দেশের বাজারের দেশীয় নানা ফল বড়াই, পেয়ারা, পেঁপে, তেঁতুলসহ নানা ফলমুল পাওয়া যাচ্ছে। ফল কেনার সময় বাদুড়ে খাওয়া বা ঠোঁকরানো ফল কিনবেন না স্বাস্থ্য বিভাগ সাবধান করে দিচ্ছে। এধরণের বাঁদুড়ে খাওয়া ফলে নিপাভাইরাস থাকতে পারে। এছাড়াও নিপাভাইরাসের সাথে মিল আছে জাপানিজ ইন ক্যাপাল্যাসিজ রোগের। এই রোগটিও লালমনিরহাট জেলা সদরের হারাটিতে ধরা পড়েছিল ৯৫ সালে। এই রোড়ে ৬ জনর প্রাণহানি ঘটে ছিল। এই রোগটি মশাবাহিত। স্বাস্থ্য বিভাগ এই রোগ হতে মুক্তি পেতে মশারি টানিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিচ্ছে। এই নিপা ও জাপানিজ ইন ক্যাপাল্যাসিজ গরম মৌসুমে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। শীতমৌসুমে জীবন্ত হয়ে উঠে। প্রাণি ও মশার দেহ হতে প্রাণি ও মশার দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। একটু অসচেতন হলে বাঁদুড় ও মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়ায়। যথাসময়ে দ্রুত রোগ সনাক্ত করা না গেলে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। বাঁদুড় ও মশা নিপা ও জাপানিজ ইন ক্যাপাল্যাসিজ ভাইরাসের বাহক। তাই পৃথিবী থেকে এই রোগ নির্মূল সম্ভব নয়। হবে সচেতন হলে প্রতিরোধ শতভাগ সম্ভব।