অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কুর্মিটোলা.য় ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে আটকের পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। সেই ব্যক্তি একজন অটোচালক বলেও জানা গেছে। এসময় গ্রেফতার যুবকের কাছে ছাত্রীর মোবাইল ফোন, চার্জার ও ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। বুধবার দুপুরের পর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সারোয়ার বিন-কাশেম বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখচেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। এরপর ওই ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় সহপাঠীরা।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ ও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে ঢাবি ক্যাম্পাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সবকটি ইউনিট ধর্ষককে খুঁজে পেতে একযোগে কাজ শুরু করে। এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন।
পরে মঙ্গলবার দিনগত রাতে র্যাবের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে র্যাবের নজরদারিতে রয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবারই (০৭ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা।