নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাবিবুল্লাহ (৩৫) নামে প্রতিবেশি এক রিক্সাচালকের ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থী। রবিবার প্রাথমিক সমাপনীর পরীক্ষা শেষে হাবিবুল্লাহ রিক্সা দিয়ে বেড়ানোর কথা বলে পাহাড়ে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রী উপজেলার শিমুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করে। তবে ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক হাবিবুল্লাহ পলাতক রয়েছে।
ধর্ষিতা শিশুর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পরীক্ষা চলাকালীন সময় কেন্দ্রে আনা-নেয়ার জন্য প্রতিবেশী রিকশাচালক হাবিবুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী হাবিবুল্লাহ প্রতিদিন ওই শিশুকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়ার কাজ করছিল। রবিবার বিকেলে প্রাথমিক সমাপনীর সর্বশেষ পরীক্ষা শেষে হাবিবুল্লাহ ওই শিশুকে পাহাড় দেখানোর কথা বলে পার্শ্ববর্তী মধুটিলা ইকোপার্কের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে এবং কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়। পরে বাড়ি ফিরে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মায়ের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে। এদিকে মেয়েটির প্রচ- রক্তপাত হওয়ায় তার পরিবার সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যায় এবং বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করে পুলিশ।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফ আহমেদ তৌফিক জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই শিশুকে শেরপুর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাছির আহমেদ বলেন, ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।