নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) পরিচালনা পর্ষদ এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতা ইলিয়াস উদ্দিন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ওইসময় ব্যাংকের অন্যান্য ঋণগ্রহীতা এবং তাদের পরিবারের ভুক্তভোগি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুরু থেকেই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা স্থানীয় শাখার অসাধু কতিপয় কর্মকর্তা সু-কৌশলে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে ঋণ অনুমোদন করে সেখান থেকে প্রায় অর্ধেক পরিমান টাকা নিজেরা ঘুষ বা কমিশন নিয়ে বাকি অর্ধেক টাকা গ্রাহকের হাতে তুলে দেয়। ফলে নির্দিষ্ট অংকের টাকা না পেলেও ব্যবসা করতে গিয়ে ওই টাকার উপর ঋণের বোঝা নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে লাভের মুখ দেখতে না পাওয়ায় ঋণ গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ ভাগই এখন খেলাপী হয়ে পড়েছেন। অথচ তাদেরকে সহায়তা না করে উল্টো ঋণের পরিমাণের চেয়ে বেশি টাকা দাবি করে দেশের বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার ও অর্থঋণ আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এজন্য সুদবিহীন মূল টাকা ন্যূন্যতম ১০ বছর মেয়াদে কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকের ঋণ গ্রাহক ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম সেলিম, আব্দুল মোতালেব, ফরহাদ আলী, আব্দুর রউফসহ প্রায় ২ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন স্মারকলিপি গ্রহণ করে জানান, বিধি মোতাবেক এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।