ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভোলায় দেরশতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্থ, আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১০ নভেম্বর ২০১৯

ভোলায় দেরশতাধিক ঘর বাড়ি বিধ্বস্থ, আহত ১৫

নিজস্ব সংবাদাতা, ভোলা ॥ ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলার কয়েকটি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত দের শতাধিক পাঁকা কাঁচা ঘর বাড়ি। বহু পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। আহত হয়েছে শিশু ও নারীসহ ১৫ জন। এছাড়াও ভোলার মেঘনা নদীতে ২০ জেলেসহ একটি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। ১৫ জেলে উদ্ধার হলেও এখনো ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,গত রাত ৯ টার পর থেকে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাসন উপজেলার উপর দিয়ে প্রবল বেগে জড়ো বাতাস ও দমকা হাওয়া বইতে থাকে। রাত সাড়ে ৯ টায়র দিকে লালমোহনের চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজারের বটতলা গ্রামে ৩০ থেকে ৫০ সেকেন্টের টনের্ডোর আঘাতে প্রায় ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে ১৭ ঘর সর্ম্পন বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় একই সময়ে লালমোহনের লডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারিমোহন গ্রামে ঘুর্নিঝড়ে ১০ ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। এ সময় অন্তত ১৫ জন ঘর চাপা পড়ে আহত হয়। এদেরকে ভোলা সদর,চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় লামোহন উপজেলা চেয়ারম্যন গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ,লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি লালমোহনের গজারিয়া বাজারের বটলতলা এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তারা বলেন,টনের্ডোর আঘাতে বটতলা এলাকার ৩০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ঘর একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাদেরকে ত্রান সামগ্রী চাল খাবার বিতরন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা করা হবে। অপর দিকে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় এক শত ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। যার কারনে জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আজ রবিবার দুপুর ১ টার দিকে চরফ্যাসনের আবদুল্লাহপুরের তোফায়েল মাঝির ২০ জেলেসহ একটি ট্রলার বরিশাল থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার পথে ভোলার ইলিশা রাজাপুর ইউনিয়নের কাছে মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এসময় ১৫ জন তীরে উঠতে পারলেও ৫ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো; রুহুল আমিন। তিনি আরো জানান,ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নগদ টাকা, শুকনো খাবার ও চাল বিতরন করা হচ্ছে। ভোলা নদী বন্দরের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান,দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে বরিশাল,ঢাকা,লক্ষীপুরসহ সারা দেশের সাধে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে
×