অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি বিপ্লবের এ শতাব্দীতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের রাজত্বই বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে কমছে প্রিন্ট মিডিয়া বা ছাপানো পত্রিকার চাহিদা। বিশ্বজুড়ে ছাপানো পত্রিকার আয়ও কমছে ক্রমশ। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক নামকরা ছাপানো পত্রিকা।
‘ভবিষ্যৎ’ ভেবে ব্রিটেনের বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ’ এবং ‘দ্য সানডে টেলিগ্রাফ’ও বিক্রি করে দিতে চাইছে মালিকপক্ষ।
শনিবার সেখানকার সংবাদমাধ্যম জানায়, পত্রিকা দু’টি ‘দ্য টেলিগ্রাফ মিডিয়া গ্রুপ’র (টিএমজি)। এই গ্রুপের মালিক স্যার ফ্রেডেরিক বার্কলে ও স্যার ডেভিড বার্কলে। দুই ভাই পত্রিকা দু’টির ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বছর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত অর্থবছরে টিএমজির লাভের অংক ছিল নয় লাখ পাউন্ড, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ৯৪ শতাংশ কম। লাভ কমে যাওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে আসছিলেন টিএমজি গ্রুপের পরিচালকরা।
বার্কলে যমজ ভাই গ্রুপটি কিনেছিলেন ২০০৪ সালে। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় সেটি বিক্রির গুজব ছড়াচ্ছিল। তবে বার্কলে ভাইদ্বয় বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছিলেন।
গত কয়েকবছর ধরে ছাপানো পত্রিকা বিক্রির পরিমাণ আশংকাজনকভাবে কমছে।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ ও দ্য সানডে টেলিগ্রাফের দৈনিক প্রচারিত সংখ্যা যথাক্রমে গড়ে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৮৬ কপি ও দুই লাখ ৪৪ হাজার ৩৫১ কপি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পত্রিকা দু’টির মালিকানা বিক্রির জন্য তাড়াহুড়ো করছেন না বার্কলে ভাইদ্বয়। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে তা হতে পারে।
এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো উপদেষ্টা নিয়োগ দেননি তারা। তবে, ধারণা করা হচ্ছে, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ আগে বিক্রি হতে পারে।
ছাপানো পত্রিকা দু’টির প্রচারিত সংখ্যার পরিমাণ দিনদিন কমতে থাকায় ৮৪ বছর বয়সী বার্কলে ভাইদ্বয়ের ছেলে অ্যাইডান বার্কলে (৬৩) ও হাওয়ার্ড বার্কলে (৫৯) পরিবারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পেছনে অন্যতম কারণ, ভবিষ্যতে ছাপানো পত্রিকা ব্যবসায় লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি।
১৮৫৫ সালে প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা। দ্য সানডে টেলিগ্রাফ প্রচারিত হচ্ছে ১৯৬১ সাল থেকে। তবে দিনদিন প্রচারের সংখ্যা ও লাভ কমছে ব্রিটেনের একসময়ের বিখ্যাত পত্রিকা দু’টির।