অনলাইন ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার স্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানী টোকিও হোটেল নিউ ওতানিতে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বুধবার রাতে জানান, ‘নৈশভোজের সময় আবদুল হামিদ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া, তিনি শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, স্লোভাকিয়া প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।’ নৈশভোজে রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি রবিবার (২০ অক্টোবর) টোকিও পৌঁছেন এবং হোটেল নিউ ওতানিতে অবস্থান করছেন। তিনি জাপান ও সিঙ্গাপুরে ৮ দিনের সফরে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাপানের নতুন সম্রাটের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মঙ্গলবার বিকালে টোকিও’র রাজ প্রাসাদে ১৭৪টি দেশের দুই হাজার নেতা ও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাপানের ১২৬তম সম্রাট হিসেবে তার অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
৫৯ বছর বয়সী সম্রাট নারুহিতো গত ১ মে সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার রাজ প্রাসাদে জাপানের নতুন সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকো আয়োজিত ভোজসভায়ও যোগ দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি জাপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ইয়াকোহামা সফর করেন। সেখানে তিনি ইয়ামাসিতা পার্কের কাছে নোঙর করে রাখা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজ ‘হিকাওয়া মারু’ পরিদর্শন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে ১৯৩০ সালে হিকাওয়া মারু যাত্রা শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাহাজটি ভাসমান হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যুদ্ধের সময় জাহাজটি তিনবার মাইন আক্রান্ত হয়। কিন্তু ডুবে যাওয়া থেকে রেহাই পেয়ে যায়।
যুদ্ধের পর জাপানি সৈনিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এই জাহাজ ব্যবহার করা হয়। ২৫৪ বার প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়া এ জাহাজটি বর্তমানে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার স্ত্রী রাশিদা খানম এবং ছেলে রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক ছিলেন। এছাড়া, সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরাও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন।