স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষনের দায়ে দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম.এল.বি. মেছবাহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে ফারুক (৩৩) ও রাজেন্দ্রপুর পূর্ব টেক এলাকার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৩২)।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মীর রাকিবুল হক ও ওই আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এ.বি.এম. আফফান জানান, ২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে গাজীপুরে শ্রীপুরের মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় রূপালী প্রজেক্টের কাছে ওই দুই আসামিসহ আরো অজ্ঞাত পরিচয়ের দু’জন মিলে এক বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে (১২) ধর্ষন করে। পরে শিশুটি প্রজেক্টের কেয়ারটেকারের বাড়িতে এসে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। কান্নার শব্দ শুনে ওই প্রজেক্টের কেয়ারটেকার মোঃ নাফিউল তার স্ত্রীকে নিয়ে দরজা খুলে শিশুটির হাত ওড়না দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাতের বাঁধন খুলে দেন। এসময় শিশুটির কাছে ঘটনা শুনতে চাইলে আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকা ওই দুই ধর্ষককে দেখিয়ে দেয়। এসময় আরো দুইজন পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ধর্ষনকারী ফারুক ও বাদশা মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ধর্ষনকারী অপর দুইজনকে পুলিশ সনাক্ত করতে পারেনি। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ আদালত রবিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ফারুক ও বাদশা মিয়াকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
রায়ে যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি আসামি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামীরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।