অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে। ফলে ২০১০ থেকে ২০১৬- এই ছয় বছরে দেশের ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। কিন্তু এটাকে পুরাতন ডাটা বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্য নিয়ে বিশ্বব্যাংক পুরাতন ডাটা দিয়েছে। আপডেট ডাটা দিলে দারিদ্র্যের চিত্র আরও উন্নত হতে পারতো। কেননা, দারিদ্র্য বিমোচনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষি আধুনিক হচ্ছে। বাংলাদেশে ওয়ার্কিং পপুলেশনও শক্তিশালী।
সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ নামে বিশ্বব্যাংকের একটি রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রচেষ্টায় ২০৩০ সাল নাগাদ দারিদ্র্য থাকবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, এখন স্বাভাবিক নিয়মেই প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে। আমরা এতদিন অনেক বিনিয়োগ করেছি, বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে। অবকাঠামোর একটা ফিজিক্যালি ও অন্যটি ননফিজিক্যালি বিনিয়োগ।
ননফিজিক্যালি যেমন- শিক্ষাখাতে অনেক বিনিয়োগ করেছি। আমরা মানবসূচক উন্নয়নেও বিনিয়োগ করেছি। এসবের আউটপুট পেতে থাকবো। আমরা ফিজিক্যালি যেমন- পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছি। শুধু পদ্মাসেতু এক শতাংশ প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেবে। আমি আশ্বস্ত করেছি প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে পৌঁছাবে। ৮ দশমিক ৩০ থেকে ১০ শতাংশে যাবে প্রবৃদ্ধি। তখন দারিদ্র্য আরও কমবে।
তিনি এও বলেন, ইতোমধ্যে যারা দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন, তারা আর গরিব হবেন না। সে সুযোগ নেই। তারা সামনের দিকে এগোবেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা ১০০টি ইকোনমিক জোন করছি। ১০ বছরে ১০ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কঠোর হচ্ছে। আমরা শিক্ষায় বেশি নজর দিচ্ছি। বর্তমানে আমরা ৩১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২৮ সালে ২৭তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ মারিয়া ইউজেনিয়া জেননি, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ