ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অবশ্যই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে চাই ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২২:২৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

অবশ্যই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে চাই ॥ ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দৃশ্যত সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য দায়ী ইরান। তবে ওয়াশিংটন অবশ্যই তেহরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে চায়। সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন ট্রাম্প যখন অনেক বিশ্লেষকই আশঙ্কা করছিলেন, সৌদি আরবের দুই বৃহৎ তেলক্ষেত্রে তেহরানের হামলার অজুহাতে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, ইরানই এ হামলা চালিয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন কিনা? উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ মুহূর্তে অবশ্যই বিষয়টি তেমনই দেখাচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই জানি কারা এটি করেছে এবং এটি হচ্ছে ইরান। তবে ওয়াশিংটন আরও প্রমাণ সংগ্রহ করতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, কারা এই কাজ করেছে নিশ্চিতভাবেই আমরা তা খুঁজে বের করতে চাই। অদূর ভবিষ্যতে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। এদিকে সৌদি আরবের বৃহৎ দুই তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার নেপথ্যে ইরানের জড়িত রয়েছে দাবি করে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গোয়েন্দারা মনে করেন, ওই হামলায় তেহরান জড়িত। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো-র দুইটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর তেল উৎপাদন অর্ধেকে কমিয়ে আনে সৌদি আরব। হামলার পর ইরানকে দায়ী করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে প্রায় ১০০ হামলার পেছনে তেহরান জড়িত। উত্তেজনা হ্রাসের সব আহ্বানের মধ্যেও ইরান এখন বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহে ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে।’ ১৫ সেপ্টেম্বর টুইটারে দেওয়া পোস্টে এ ঘটনায় ইরানকে সরাসরি অভিযুক্ত করা থেকে বিরত ছিলেন ট্রাম্প। তবে এ সময় তিনি পরিচিত শত্রু দেশের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এর একদিনের মাথায় সোমবার যুদ্ধ এড়ানোর কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামলার ব্যাপ্তি ও গতিপথের কারণে হুথি বিদ্রোহীদের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে’। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা হামলা ও লক্ষ্যবস্তুর ১৯টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। যা ইয়েমেনের হুথিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা নয়, সৌদি তেল স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক। কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই হামলাটি উত্তর উপসাগর, ইরান বা ইরাকের কোনও ঘাঁটি থেকে চালানো হয়ে থাকতে পারে। যদিও ইরাক তাদের ভূখণ্ড থেকে সৌদি আরবে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। সিনিয়র একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি জানিয়েছে, ওই হামলার জন্য ইরান দায়ী এ ব্যাপারে পুরোপুরি একমত ট্রাম্প।
×