ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীর জেলে পল্লীতে হামলা ॥ আহত ৮

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

বাঁশখালীর জেলে পল্লীতে হামলা ॥ আহত ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম, ৬ জানুয়ারি ॥ বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জেলেপল্লীতে জায়গা দখল ও উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে দুই দফা হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিখেকোদের হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলা নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ৮জন। আহতদের বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জেলেপল্লীতে হামলার ঘটনায় থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। শনিবার সকালে সংঘটিত হামলায় বাঁশখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রদীপ গুহ প্রতিবাদ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, জেলেপল্লীতে হামলার খবর পাওয়ামাত্র পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কি কারণ জেলেপল্লীতে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা উদঘাটনে পুলিশের বিশেষ টিম মাঠে রয়েছে। তাছাড়া হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও তিনি জানান। জানা যায়, খানখানাবাদ ইউপির ১নং ওয়ার্ডে হিন্দ্র সম্প্রদায়ের শতাধিক জেলে পরিবারের বসবাস। ৯১ ঘূর্ণিঝড়ের সময় তিন শতাধিক জেলেপল্লীর লোক প্রাণ হারান। তাছাড়া ঘরবাড়ি সাগরে তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জেলেপল্লীর অসহায় মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য বাংলাদেশ নরওয়েজিয়ান সেন্ট্রাল খ্রীস্টান মিশনারী সংস্থা হতে ৮৪ পরিবারকে জায়গা ক্রয় করে দানপত্রমূলে রেজিস্ট্রি করে দেয়। সেই থেকে জেলেপল্লীর মানুষ ঐ এলাকায় বসবাস করে আসছিল। তবে কিছুদিন আগে ঐ জায়গার ওপর কুনজর পড়ে স্থানীয় মৃত নাগুর পুত্র মোঃ রফিক ও শামসুল আলমের পুত্র মোঃ সেলিমের। জেলেপল্লীর জায়গা দখল ও উচ্ছেদের নিমিত্তে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যুরা প্রথম দফায় বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় জেলেপল্লীর মানুষ বাধা দিলে পুনরায় সংগঠিত হয়ে শনিবার সকালে ২য় দফা হামলা ও লুটপাট চালায়। ভূমিদস্যুদের হামলা ও লুটপাটে ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে যায়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপরও এলোপাথাড়ি হামলা চালায় তারা। হামলায় বসতঘরের মহিলা সদস্যসহ আহত হয়েছে অন্তত ৮জন। এরা হলো প্রদীপ বালা জলদাস, রবা জলদাস, সুনিল জলদাস, সুভাষ জলদাস ও সুভ্রত জলদাস। এদিকে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও আবারও হামলার ভয়ে শতাধিক জেলে পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
×