(শেষাংশ)
হিগস-মহাবিপর্যয়ের বর্ণনা দিতে হকিং বলেন যে (দি গ্র্যান্ড ডিজাইন) : ‘হিগসের আচরণগত বৈশিষ্ট্য হলো যে সে এক শ’ (বিলিয়ন) গিগাইলেকট্রনভোল্টের বেশি শক্তি অর্জন করতে সক্ষম এবং তার এই বৈশিষ্ট্যটিই আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার বড় কারণ হয়েছে। কারণ এই পরিমাণ শক্তি অর্জন করে হিগস-ক্ষেত্র ‘মেটাস্ট্যাবলন্ত’ নামক বিশেষ ধরনের ’স্থিতিশীল’ অবস্থায় চলে আসতে পারে (মেটাস্ট্যাবল স্থানীয়ভাবে স্থিতিশীল বটে কিন্তু চিরস্থায়ীভাবে নয়)। ... এর অর্থ বিশ্বব্রহ্মা- আকস্মিক বুদ্বুদসর্বস্ব শূন্যতায় (ভ্যাকুয়াম) ঢেকে যেতে পারে আর এমতাবস্থায় আলোর গতিবেগে সে সম্প্রসারিত হতে থাকবে। যে কোন সময় ঘটনাটি ঘটতে পারে, তবে অচিরেই ঘটবে বলে মনে হয় না।’
হিগস-ক্ষেত্রের শক্তি বুদ্বুদের ভেতরে প্রবলতর হবে কিন্তু পরিবেষ্টিত পরিবেশ থেকে কম হবে। বুদ্বুদের ভেতরে থাকাকালে-হিগস-ক্ষেত্রের শক্তির পরিমাণ যদি বর্তমানের পরিমাণের চেয়ে যৎসামান্যও প্রবলতর হয় তো পরমাণুকে সঙ্কুচিত করার জন্য যথেষ্ট হবে এবং ফলস্বরূপ পারমাণবিক কেন্দ্র খান খান হয়ে ভেঙ্গে যাবে, থাকবে কেবল হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ বিশ্বব্রহ্মা- (পদার্থবিদ জিয়ুডিসের ব্যাখ্যা- টেড টকে প্রদত্ত)।