ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার ॥ প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ধর্মই মানবতার কথা বলে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ। এখানে আমরা সব ধর্মের মানুষ সহাবস্থানে বাস করি। বিশ্বের সকল খ্রিস্টভক্তকে জানাই বড়দিনের আগাম শুভেচ্ছা। আগামী ২০২১ সালের আগেই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। সোমবার গণভবনে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিনের সভাপতিত্বে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, আর্চ বিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদের সভাপতি বিশপ পল শিশির সরকার, বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের সভাপতি জয়ন্ত অধিকারী, বাংলাদেশ খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, নেত্রকোনা দুর্গাপুরের সুসং ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক রেমন্ড আরেং, ধোবাউড়া থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডেভিড রানা চিসিম ও নির্বাহী সদস্য সৌরিন আরেং সেং, জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল মানখিন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সভাপতি পিন্টু হাউই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন খ্রীস্টান এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক দীপক পিরিচ ও সাংগঠনিক সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী। বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাদ্য সঙ্কট অনেক আগেই কেটে গেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। বেড়ে গেছে মাথাপিছু আয়। বিশ্ব মন্দা সত্ত্বেও আমরা প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগে রাখতে সক্ষম হয়েছি। মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামেগঞ্জে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুত সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি কঠোর হস্তে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। খ্রীস্টান নেতৃবৃন্দ বলেন, আবহমান কাল থেকে এদেশের মানুষ ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে অনেক ভূমিকা রাখছে। মহান সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসার মাধ্যমে বিশ্বকে মানুষের শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করার লক্ষ্যে যুগে যুগে যেসব মহামানব পৃথিবীতে এসেছেন তাঁদের মধ্যে যিশু খ্রিস্ট অন্যতম। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার আহ্বান জানিয়েছেন, সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য লাভের পথ দেখিয়েছেন। খ্রীস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট বড়দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই ছিল যিশু খ্রিস্টের অন্যতম ব্রত। বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য মহামতি যিশু নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।
×