ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে উপজেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন- ২০২৪, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদল কর্তৃক ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা ছাত্রদলের এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।    প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি এ কে এম মুসা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. লিয়াকত আলী ফরিদ, পৌর বিএনপির আহবায়ক এমদাদুল হক সাইদ, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. সালে মুসা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. হারুনুর রশিদ, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেড এইচ শুকড়ি সেলিম, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রুহুল আমিন সরকার রাজিব। ছাত্র সমাবেশে মো. সাইদুর রহমান সাঈদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ।  

ইমরুলের বিদায়ী সংবর্ধনা

ইমরুলের বিদায়ী সংবর্ধনা

ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে শনিবার ক্যারিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ইমরুল কায়েস। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন খুলনা বিভাগের হয়ে খেলতে নামার আগে সতীর্থরা তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছেন। ইমরুলকে সঙ্গ দিয়েছেন জাতীয় দলের সতীর্থ তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ আশরাফুল।  খুলনা বিভাগীয় দল ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ  (কোয়াব) থেকে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা, ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে। এদিন অবশ্য পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম দিনই প্রথম ইনিংসে খুলনা ১৭২ রানে গুটিয়ে গেছে। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ৯৪ বলে ১২ চারে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। ডানহাতি পেসার সুমন খান ৬ উইকেট নেন। ওয়ানডাউনে নেমে ১৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু প্রথম দিনের খেলা শেষে ইমরুলের সঙ্গে দেখা করে বিসিবির পরিকল্পনা কিছুটা জানিয়েছেন। বিদায়ী সংবর্ধনায় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদসহ বোর্ড পরিচালকরা থাকবেন। ম্যাচশেষে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে। সবেমাত্র প্রথম দিনের খেলা শেষ। দিনশেষে ঢাকা প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৫৮ রান তুলেছে। খুলনা এগিয়ে আছে ১১৪ রানে।

খেজুর আমদানিতে  শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ

খেজুর আমদানিতে শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের সুপারিশ

বর্তমানে আজওয়া আমদানিকৃত সব খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয় কেজিতে ৪ ডলার। কোনো ব্যবসায়ী ২ ডলারে খেজুর কিনলেও ৪ ডলার শুল্কায়ন মূল্য ধরেই শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আগামী রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠিয়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে খেজুর আমদানিতে আগাম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ, আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি বাতিল এবং আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে মোট শুল্কের পরিমাণ ৭৩.৬০ শতাংশ। অতিরিক্ত আমদানি শুল্কের কারণে আমদানি হয়ে আসা খেজুর চড়া দামে কিনতে হয় ভোক্তাকে।  প্রতি বছর প্রায় ১ থেকে ১.১০ লাখ টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে দেশে। এর মধ্যে ৫০-৬০ হাজার টন খেজুর ব্যবহার হয় শুধু রমজানেই। এ কারণে প্রতি বছরই রমজানের আগে খেজুরের আমদানি যাতে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন হয়, সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, শুল্ক স্টেশন কর্তৃক নির্বাহী আদেশে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কায়ন মূল্য ত্রুটিপূর্ণ। এজন্য যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রকৃত বিনিময়মূল্যকে ভিত্তি ধরে শুল্কায়ন করার সুপারিশ করেছে কমিশন। বর্তমানে আজওয়া, মরিয়ম, মেডজুল, মাবরুম ও রেফার কন্টেনারে আমদানিকৃত সব খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয় কেজিতে ৪ ডলার। কোনো ব্যবসায়ী যদি এই খেজুর ২ ডলারেও কেনেন, তারপরও তাকে ৪ ডলার শুল্কায়ন মূল্য ধরেই শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। ব্যবসায়ীরা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরেই এটাকে প্রকৃত মূল্যে শুল্কায়ন করার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন সরকারের কাছে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খেজুর আমদানি হয়েছিল ৮৬ হাজার ৫৮১ টন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছে ৮০ হাজার ৯১০ টন। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতি কেজি খেজুরের গড় আমদানিমূল্য ছিল যথাক্রমে ৩৩৬ টাকা ও ৪৯৭ টাকা (শুল্ক-কর ছাড়া)। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত খেজুর আমদানি হয়েছে মাত্র ২৮৯ টন, প্রতি কেজি খেজুরের গড় মূল্য পড়েছে ৪৩৩ টাকা। বাংলাদেশে মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিশিয়া, মিসর, জর্ডান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে বেশিরভাগ খেজুর আমদানি হয়। গত ৬ নভেম্বর ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে খেজুর আমদানিকারকদের নিয়ে একটি সভা হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ ফ্রেশ ফুডস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কাস্টমসের ফিক্সড শুল্কায়ন মূল্যে ও ‘অযৌক্তিক’ কিছু শুল্ক-করের কারণে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের চেয়েও অনেক বেশি দাম দিয়ে খেজুর বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয় পক্ষই ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে যৌক্তিক শুল্কায়ন জরুরি বলে মন্তব্য করেন সিরাজুল ইসলাম। খেজুর আমদানিকারক নুরুদ্দীন বলেন, ব্যাংকগুলো শতভাগ মার্জিন ছাড়া ঋণপত্র (এলসি) না খোলায় খেজুর আমদানির ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা

ডিএসইতে মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা

চলতি সপ্তাহে সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। তাতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ২ হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সবকটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৩ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২০ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ। তবে সূচকের উত্থানের পরও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২৫৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৬০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা। তাতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৫১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৮টি কোম্পানির, কমেছে ২০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ বাড়ছে

সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ বাড়ছে

চলতি অর্থবছরের শুরু (জুলাই) থেকে ইতিবাচক ধারা ফিরে আসে জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে। অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরেও সে ধারা অব্যাহত ছিল। এ সময়ে মানুষ সঞ্চয়পত্র ভাঙার চেয়ে কিনেছেন বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের অধিকাংশ সময়েই যেটা নেতিবাচক ধারায় ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ সালের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। এ মাসে আগের সুদ-আসল পরিশোধ করেও ৪ হাজার ১০৯ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। আর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-আগস্ট-সেপ্টেম্বর) আগের আসল-সুদ পরিশোধ করেও ৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা ইতিবাচক দেখা গেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির ধারা ছিল নেতিবাচক। ওই সময়ে বিক্রির চেয়ে আগের সুদ-আসল বাবদ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছিল ১৪৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। একই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিক্রির চেয়ে আগের সুদ-আসল বাবদ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছিল ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টেও সঞ্চয়পত্র বিক্রি ইতিবাচক ধারায় ছিল। ওই মাসে আগের সুদ-আসল পরিশোধ করেও ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। এমনকি চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও সঞ্চয়পত্র বিক্রি ছিল ইতিবাচক ধারায়। ওই মাসে আগের সুদ-আসল পরিশোধ করেও ২ হাজার ১৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ইতিবাচক ছিল। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি (ঋণাত্মক) ৩ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিক্রির চেয়ে আগের সুদ-আসল বাবদ ৩ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানুষ এখন সঞ্চয়পত্রকে বেশি নিরাপদ মনে করছেন। কিছু ব্যাংক গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত দিতে না পারায় এমনটা হয়েছে। এ কারণে মানুষ বাড়তি টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১২ মাসে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় হয়েছে। গত অর্থবছরের ১২ মাসে আগের আসল ও সুদ বাবদ ২১ হাজার ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বিক্রির চেয়ে আগের সুদ-আসল বাবদ বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্র বিক্রির ধারা ইতিবাচক ছিল। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে টানা নেতিবাচক ধারায় চলে যায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি। যেটা অর্থবছরের শেষ মাস জুন পর্যন্ত চলে। তথ্যমতে, গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৫ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ইতিবাচক ছিল। এরপর থেকে টানা নিট বিক্রি ঋণাত্মক হতে থাকে। গত অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে ঋণাত্মক হয় ১৪৭ কোটি, অক্টোবরে ১ হাজার ৪০ কোটি, নভেম্বরে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি, ডিসেম্বরে ২ হাজার ২০৪ কোটি, জানুয়ারিতে ১ হাজার ২৮৭ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৫৪১ কোটি, মার্চে ৩ হাজার ৬৫৩ কোটি, এপ্রিলে ২ হাজার ১০৩ কোটি ও মে মাসে ৩ হাজার ৯৪ কোটি টাকা ঋণাত্মক হয়। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমবে, তা আন্দাজ করেই সরকার ঋণ নেওয়া কমিয়ে দেয়। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। আর সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছিল। ওই পুরো অর্থবছরের শেষে নিট বিক্রি ঋণাত্মক হয়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। আর চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

দুর্বল ব্যাংক পেল তারল্য সহায়তা

দুর্বল ব্যাংক পেল তারল্য সহায়তা

তারল্য ঘাটতি মেটাতে দুর্বল ৭ ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে সবল ১০ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গ্যারান্টি সহায়তা দিয়ে যে কোনো ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। সহায়তার পাশাপাশি ঋণ আদায়ে তাদের (ব্যাংকের) নিজস্ব কৌশল থাকা উচিত। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাত ব্যাংকে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে সবল ১০ ব্যাংক। এসব ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এসব ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। সবল সাত ব্যাংক থেকে ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সবল ছয় ব্যাংক থেকে পেয়েছে এক হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক সবল ছয় ব্যাংক থেকে পেয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংক ৯২০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৭০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ৪০০ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ২৯৫ কোটি টাকা। যেসব ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে। আমানতকারীদের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টি সহায়তা দিয়ে যে কোনো ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। সহায়তার পাশাপাশি ঋণ আদায়ে তাদের (ব্যাংকের) নিজস্ব কৌশল থাকা উচিত। কিছু ব্যাংক ঋণ আদায়ে খুব ভালো করছে। তাদের মতো অন্যদেরও উদ্যোগী হতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তার আশায় থাকা ঠিক হবে না। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ইসলামি ধারার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে নগদ অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলোতে শুরু হয় তারল্য সংকট। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, গ্রাহকরা ২০ হাজার টাকাই তুলতে পারছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে গভর্নর সবল ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকের নগদ টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করলে সবল ১০ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্মতি দেয়।