ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
গণপিটুনিতে দুজন হত্যার ঘটনায় যা বললেন হাসিনাপুত্র জয়

গণপিটুনিতে দুজন হত্যার ঘটনায় যা বললেন হাসিনাপুত্র জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ালেও কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ওই ঘটনায় একটি পোস্ট দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশের সেরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেরে ফেলার আগে খুনিরা তাকে ভাত খাইয়েছে। আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যতদূর জানা গেছে, তাকে প্রকাশ্যে তিন দফায় মারা হয়। সবশেষ, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জায়গা প্রক্টর অফিসের সামনে নিয়ে খুনিরা তাকে হত্যা করে।’ এ ঘটনায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লিখেন, সব খুনিদের ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩২) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত খারাপ পদক্ষেপ

ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত খারাপ পদক্ষেপ

বিরাজনীতিকরণ কোনো সমস্যার সমাধান না বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের খারাপ পদক্ষেপ। শনিবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে অন্ধকারের মানুষরা লাভবান হবে। এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার লম্বা সময়ব্যাপী থাকতে পারে না। এটা কেউ চাইলে ভুল সিদ্ধান্ত নেবে এবং এটা কখনোই কাজে দেবে না। এটা করলে দেশে আরেক বড় রকমের সমস্যা তৈরি হবে। কী সমস্যা হবে, এটা তো এখন বলা যাবে না। তবে দেশের মানুষ এটা মানবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি থাকতে হবে, রাজনীতিকে গ্রহণ করতে হবে। মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলে দিলে সমস্যার সমাধান হবে না। যেখানে সমস্যা, সেখানে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছাত্র সংগঠনগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে আমি এটাতে একমত যে, ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করা যাবে না।

আইএমএফ প্রতিনিধি দল আসছে ৩০ সেপ্টেম্বর

আইএমএফ প্রতিনিধি দল আসছে ৩০ সেপ্টেম্বর

নতুন করে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার পর্যালোচনা করতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলটি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সফর করবে। ছয় দিনের এ সফরে ঢাকায় অবস্থানকালে ঋণের বিষয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করবে প্রতিনিধি দলটি। অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইএমএফ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কার্যক্রম চলমান, যার শর্ত পূরণে সংস্কার কার্যক্রম চলছে। তিন কিস্তিতে এ পর্যন্ত ২৩০ কোটি ৮২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাকি অর্থ আরও চার কিস্তিতে পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে নতুন করে আরও ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়েছে।

৩ মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৪৭ হাজার হিসাব বন্ধ

৩ মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৪৭ হাজার হিসাব বন্ধ

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) ব্যক্তি আমানতকারীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমছে। স্বাভাবিক নিয়মে দিনে দিনে আমানতকারীর সংখ্যা বাড়ার কথা থাকলেও উল্টো বিদ্যমান আমানতকারীরাই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছেন। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে সাড়ে ৪৭ হাজারের বেশি আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের হিসাব বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন। তবে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীর ওপর ভর করে সার্বিক খাতে মোট আমানতে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।  সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আস্থাহীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং বন্ডে সুদহার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কিছু ক্ষুদ্র আমানতকারী তাদের হিসাব বন্ধ করেছেন। তবে বড় আমানতকারীদের অংশগ্রহণে সার্বিক আমানত কমেনি। তথ্য বলছে, ২০২২ সাল থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমছে আমানতকারীর সংখ্যা। সর্বশেষ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন সময়ে ৪৭ হাজার আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন আমানত সংগ্রহের চেয়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের কারণে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষও এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত রাখতে ভয় পান। যার কারণে প্রতি মাসেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যেভাবে তদারকি করার দরকার ছিল, সেটাও হচ্ছে না। এখন গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।