ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

adbilive
adbilive
ঢাকার জনগণকে সাথে নিয়ে থানা ঘেরাও হবে: ইশরাক হোসেন

ঢাকার জনগণকে সাথে নিয়ে থানা ঘেরাও হবে: ইশরাক হোসেন

প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র পারভেজ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে, তবে কেউ যদি এখনও থেকে থাকে, তাকেও দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি কোথাও থেকে প্রশাসনকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে ঢাকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট থানাগুলো ঘেরাও করব। এই বক্তব্য তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল হামাস!

যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিল হামাস!

ইসরাইলের বিরুদ্ধে চলমান সশস্ত্র লড়াই বন্ধে হামাসকে ২০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছে সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও মাতৃভূমির প্রশ্নে কোনও আপোষে রাজি নন তারা— এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে হামাসকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়, যদি তারা গাজায় চলমান লড়াই বন্ধ করে এবং সব ধরনের অস্ত্র সমর্পণ করে, তবে বিনিময়ে তারা পাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ, নিরাপদ আশ্রয়, বিলাসবহুল জীবনযাত্রা এবং বিদেশে পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ। তবে এসব লোভনীয় প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস নেতৃত্ব। সংগঠনের নেতারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রশ্নে কোনও রকম আপোষ করবেন না। ওয়াইনেট নিউজ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'আল আরাবি আল জাদিদ'-এর বরাত দিয়ে জানায়, হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের শীর্ষ নেতাদের সামনে এই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। এদের মধ্যে ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ভাই মোহাম্মদ সিনওয়ার, মোহাম্মদ শাবানে এবং গাজা সিটি ব্রিগেডের কমান্ডার আল হাদ্দাদ। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এই নেতারা জানিয়েছেন, অঢেল সম্পদের আশ্বাসে তারা মাতৃভূমির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে প্রস্তুত নন। হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, ইসমাইল হানিয়া এবং মোহাম্মদ দেইফের মতো নেতারা অতীতেও সীমিত সামর্থ্য নিয়ে ইসরাইলের বিপরীতে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছেন। আজকের এই সিদ্ধান্ত যেন সেই ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা— “মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু” এই আদর্শেই অনড় হামাস। ইসরাইলের আধুনিক সমরাস্ত্রে বারবার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা, কিন্তু থামেনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে চলা প্রতিরোধ। হামাসের সর্বোচ্চ নেতারা আবারও প্রমাণ করলেন, টাকার বিনিময়ে স্বাধীনতার লড়াই বিক্রি হয় না। ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/PChZ_W1B_qk?si=AZKposcJK9G9gD2O

রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারের। দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ধীরে ধীরে বেড়েই চলছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ রয়েছে ২১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন বা দুই হাজার ৬৭৩ কোটি ডলার। তবে আইএমএফ হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন বা দুই হাজার ১৩৯ কোটি ডলার। এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে জানানো হয়। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের ‘বিপিএম-৬’ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ বের হয়। রিজার্ভের ইতিবাচক ধারায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স। চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে ১০৫ কোটি ২৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে। গত মার্চ মাসে রেমিটেন্স আহরণে নতুন ইতিহাস রচিত হয়। মার্চে রেমিটেন্স এসেছে তিন দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। এক মাসে এর চেয়ে বেশি পরিমাণ রেমিটেন্স আগে কখনো আসেনি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিটেন্স এসেছে। পরের মাস আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এরপর নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার ও মার্চে সব রেকর্ড ভেঙে ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে দেশে। যার প্রভাবেই চাঙা রয়েছে রিজার্ভ। বাইরের অর্থ পরিশোধও বেড়েছে ॥ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ ২৫ বিলিয়নে পৌঁছালেও এ সময়ে বৈদেশিক ঋণ ও সুদের অর্থ পরিশোধ কমেনি, বরং বেড়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদেশী ঋণ পরিশোধ হয়েছে দুই দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে মূল ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে এক দশমিক ৯৬২ বিলিয়ন ডলার (৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং সুদ বাবদ ৯৪৪ মিলিয়ন ডলার (১৭ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি)। একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ ও অনুদান মিলিয়ে চার দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক তিন শতাংশ কম। অর্থাৎ, রিজার্ভ বৃদ্ধির পেছনে ঋণ পরিশোধ কমার ভূমিকা নেই, বরং চাপ আরও বেড়েছে। তবে ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েকটি চীনা এবং বহুপাক্ষিক ঋণের কিস্তি পুনঃসমন্বয়ের উদ্যোগ নেয়, যার ফলে তাৎক্ষণিক বৈদেশিক অর্থপ্রবাহের চাপ কমে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, সুদ ও ঋণ পরিশোধের একটি অংশ দ্বিতীয় প্রান্তিকে সরিয়ে আনার ফলে রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের কঠোর অবস্থান ও প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ ॥ রিজার্ভ ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পেছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত হস্তক্ষেপ ও প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবাসী আয় বাড়ানো ও আমদানি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কার্যকর নীতিগুলোই রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নিয়েই রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে কঠোর অবস্থান নেন। হুন্ডি দমনে মোবাইল কোর্টের মতো ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবাসী আয় দেশে আনতে বাড়ানো হয় প্রণোদনা। বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমদানি ব্যয়ের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় নজরদারিমূলক ব্যবস্থা। পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় আস্থা ফেরাতে চালু করা হয় নিরীক্ষা কার্যক্রম। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘রপ্তানি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এতে ডলারের বাজারে চাপ কমেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশৃঙ্খল ডলার ব্যবস্থাপনাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, এখনই বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেবে না। রিজার্ভের পরিস্থিতি আরও উন্নতি হলে পুরোপুরি বাজারের দিকে যাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজার। এছাড়া জুন নাগাদ দাতা সংস্থা (আইএমএফ) রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংক পূরণ করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি। তা হলেই আইএমএফের দেওয়া ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি এক সঙ্গে পাওয়া যাবে।