ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

international standard university
international standard university
কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে লংমার্চ

কুমিল্লা-৯ সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে লংমার্চ

কুমিল্লা-৯ (সদর দক্ষিণ) সংসদীয় আসন এলাকা পুনর্বহালসহ ১১ দফা দাবিতে রবিবার ‘ঐক্য সংহতি পরিষদ’ ব্যানারে কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এদিন  বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিলুপ্ত ওই সংসদীয় এলাকার যুক্তিখোলা বাজার হতে এ লংমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলাসহ মহানগরের দক্ষিণাঞ্চলের নানা শ্রেণিপেশার প্রতিবাদী জনতার ঢল নামে। পাঁচ শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে লংমার্চে নেতৃত্ব দেন প্রবীন রাজনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি-হুইপ মনিরুল হক চৌধুরী। দুপুরে কুমিল্লা নগরীর ফৌজদারি মোড় এলাকায় প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। দাবিগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন না করা হলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট নাজমুস সা’দাত, ড. শাহ মো. সেলিম, অ্যাড. আখতার হুসাইন, আহসান হাবিব দুলাল, ওমর ফারুক চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, ইসমাইল হোসেন মজুমদার, ওমর ফারুক সুমন, আবুল বাশার, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, আমান উদ্দিন আহমেদ, সাহিদুর রহমান তামান্নাসহ দুই উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। পরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।

বেইলি ব্রিজটি এখন মরণফাঁদ

বেইলি ব্রিজটি এখন মরণফাঁদ

বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তরাঞ্চলের জনগুরুত্বপূর্ণ জনপদের মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বেইলি ব্রিজ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। লোহার তৈরি ওই বেইলি ব্রিজের নাট-বল্টু খুলে লক্কড়-ঝক্কড় অবস্থায় নুইয়ে পড়েছে, এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে ওই সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলছে ভারী ও যাত্রীবাহী যানবাহন। টনক নড়ছে না যথাযথ কর্তৃপক্ষের। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলা থেকে উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম ও রৌমারী উপজেলাগামী এই মহাসড়কের সংযোগস্থল নয়াপাড়া মোড় থেকে নঈম মিয়া বাজার, সারমারা বাজার, ভায়া তারাটিরা বাজার হয়ে সানান্দবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার সড়কের অবস্থান। ২০১৯ সালের ভয়াবহ বন্যায় ওই সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে অস্থায়ীভাবে এখানে বিকল্প ব্যবস্থায় নির্মাণ করা হয় সারমারা টালিয়াপাড়াগামী ওই বেইলি ব্রিজ। উত্তরাঞ্চলের বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত সানন্দবাড়ী, তারাটিয়া, সারমারা ও নঈম মিয়া বাজারের একমাত্র প্রবেশদ্বার হচ্ছে এই সড়কটি। একদিকে ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে এঁকে-বেঁকে চলছে যানবাহন, অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ণ একমাত্র এই বেইলি ব্রিজের জন্য দুর্ঘটনার আশঙ্কা শতভাগ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত ৫ বছর আগে বন্যায় ভেঙে যাওয়া পাকা ব্রিজকেই ব্যবহার করা হয়েছে। ওপর দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিকল্প বেইলি ব্রিজের খুঁটি। পরিত্যক্ত পাকা ব্রিজের ওপর দিয়েই বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করায় উঁচু হয়েছে দুইপাশ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এটা যেন মরণফাঁদ। স্থানীয় এলাকাবাসী ও যানবাহন চালকরা জানান, উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক এলাকার একমাত্র জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির এমন বেহাল অবস্থা সংশ্লিষ্টদের কোনো নজরেই আসছে না। জামালপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস জানান, টালিয়াপাড়া-বেপাড়ীপাড়ার এই বেইলি ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। যোগ্য কোনো ঠিকাদার না পাওয়ায় কাজটি করতে পারিনি। অতি শীঘ্রই আবারও একটি দরপত্র প্রস্তুত করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো

বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে অ্যাটলেটিকো

অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১১ ম্যাচে জয় পায় ডিয়েগো সিমিওনের দল। তাই শনিবার স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেও ফেভারিটের ট্যাগ গায়ে মাখানো ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের। কেননা, চলতি মৌসুমের শুরুটা দুর্দান্ত করলেও হ্যান্সি ফ্লিকের দল হঠাৎ করেই যে খেই হারিয়ে ফেলে। তারই ধারাবাহিকতায় বছরের শেষ ম্যাচেও হেরে গেছে কাতালান ক্লাবটি। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে শনিবার ২-১ গোলে হেরে গেছে বার্সেলোনা। শেষ মুহূর্তের গোলে হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে হারিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থানটিও দখল করে নিয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। শুধু তাই নয়? দীর্ঘ ১৮ বছর পর বার্সেলোনার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে কাতালানদের মাঠে জয়ের দেখা পেয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। মাঝে ১৮ ম্যাচে জয়হীন ছিল তারা। যার মধ্যে ৫ ম্যাচে ড্র আর বাকি ১৩ ম্যাচেই হার নিয়ে বাড়ি ফিরেছিল অ্যাটলেটিকো। এবার বছরের শেষ ম্যাচ জিতে তাই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের উচ্ছ্বাস বেড়ে গেছে বহুগুণে।   যদিওবা নিজেদের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে বার্সেলোনাই আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ম্যাচের বয়স যখন ৩০ মিনিট তখন এগিয়েও গিয়েছিল স্বাগতিক শিবির। বক্সের মধ্যে ঢুকে গাভির সঙ্গে ওয়ান-টু পাসের পর নিচু শটে  প্রতিপক্ষের অভিজ্ঞ গোলকিপার জ্যান ওবলাককে পরাস্ত করেন পেদ্রি। স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই ম্যাচে ফেরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ৬০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে সফরকারীদের সমতায় ফেরান  রদ্রিগো ডি পল। এর পর নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কেউ গোল করতে পারেনি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ার স্বপ্ন বুনতে শুরু করে দুই দলের সমর্থকরা। কিন্তু না, ম্যাচের নাটকীয়তা যেন তখনো শেষ হয়নি। কেননা, দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটেই যে গোল করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে নাটকীয়ভাবে জয় এনে দেন দলের নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার সোরলথ। আর তাতেই স্বাগতিক সমর্থকদের স্তব্ধ করে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সফরকারী শিবির। দীর্ঘ দেড় যুগ পর প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম জয় বলে কথা। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সার দুর্গ জয় করে স্প্যানিশ লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরেও উঠে এসেছে ডিয়েগো সিমিওনের দল। মৌসুমের প্রথম ১৮ ম্যাচ থেকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৪১। যেখানে ১৯ ম্যাচে বার্সার সংগ্রহে ৩৮ পয়েন্ট। এই হারের পর পয়েন্ট টেবিলের তিনেও নেমে যেতে পারে ইয়ামাল-লেভানডোস্কিরা। কেননা ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করে রিয়াল মাদ্রিদ। রবিবার রাতেই ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেভিয়ার মুখোমুখি হয় কার্লো আনচেলত্তির দল। সেই ম্যাচে যদি রিয়াল মাদ্রিদ জিতে থাকে তাহলেই টেবিলের দুই নম্বর জায়গাটি দখল করে নেওয়ার কথা  টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ফলে বড়দিনের উৎসবে যাওয়ার আগে বার্সার জন্য এটা অনেক বড় হতাশার।

পতন হতে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর!

পতন হতে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডোর!

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা দেশের মূল্যস্ফীতি এবং আবাসন সংকটের কারণে দিন দিন কমছে। এই পরিস্থিতিতে তার সরকারকে সমর্থনকারী প্রধান শরিক দল এনডিপি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে সরকার পতনের জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২৭ জানুয়ারি শীতকালীন বিরতির পর পার্লামেন্টে এনডিপি এই অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করবে। বিরোধী দলের সমর্থনে ট্রুডোর সরকারের পতন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এনডিপি অভিযোগ করেছে, ট্রুডো সরকার করপোরেট স্বার্থে বেশি মনোযোগী। জনমত জরিপে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা তলানিতে পৌঁছেছে। মূল্যস্ফীতি, আবাসন সংকট এবং দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার কারণে ভোটারদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। ফলে তার দল নির্বাচনে বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে পারে। কনজারভেটিভ পার্টিও ট্রুডো সরকারকে হটাতে একধাপ এগিয়ে গেছে। তারা পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের জন্য গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের কাছে আবেদন করার পরিকল্পনা করছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইমন এ পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের আকস্মিক পদত্যাগ ট্রুডোর সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লিবারেল দলের ভিতরেই তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হচ্ছে, তবে তার মন্ত্রিসভা এখনও তাকে সমর্থন করছে।

সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি

সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি

প্রতিলিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর পরও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিক্রি হচ্ছে আগের মতো বেশি দামেই। পরিস্থিতির উত্তরণ না হলে আগামী রমজান মাসে সয়াবিন তেলের সংকট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে দ্রুত আমদানি ও বাজারে তেলের সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বাজার থেকে হঠাৎ করেই সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। চাহিদা অনুযায়ী, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সরবরাহ পাচ্ছেন না। ১০০ লিটার সয়াবিন তেলের চাহিদার বিপরীতে মিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১০ থেকে ২০ লিটার। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলেছেন, মিল মালিকরা নাকি সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে বাজারে তেলের সংকট বেড়েই চলছে। সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন, এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রমজানে ভোজ্যতেলের সংকট সমগ্র বাজারকে অস্থির করে তুলতে পারে। জানা গেছে, বিশ্ববাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম। সেই দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমন্বয় করতে না পারার কারণেই মূলত দেশে ভোজ্যতেল নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে সয়াবিনের দাম সমন্বয় না করা হলে সঠিক দাম পাওয়া যাবে না বলে উৎকণ্ঠায় আছেন ভোজ্যতেলের আমদানিকারকরা। লোকসানের কবলে পড়ার আশঙ্কায় আমদানিকারকদের অনেকে সয়াবিন তেল আমদানির এলসি খোলেননি। এতে করে আমদানি কমে যাওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যদিও আমদানিকারকরা তা অস্বীকার করে বলছেন, দেশে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট নেই, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে সয়াবিন তেলের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এর অংশ হিসেবে  ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমদানিতেও কর কমিয়েছে সরকার, বাজারেও তদারকি বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে টিসিবির মাধ্যমে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখারও চেষ্টা চলছে। প্রতি সপ্তাহেই সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় টিসিবির জন্য সয়াবিন তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হচ্ছে। ভোজ্য তেলের বড় ব্যবসায়ীরা বলছেন, নানা কারণে দেশে সয়াবিন তেলের আমদানি যে দিন দিন কমছে তা হয়তো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। তাদের অভিযোগ, সরকারের তদারকি সংস্থাগুলো এখন আমদানি সংক্রান্ত যেসব তথ্য দিচ্ছে, মূলত সেগুলো গত সাত-আট মাস আগের পুরোনো তথ্য। এতে দেশে সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত মজুত থাকার ‘ভুল’ মেসেজ যাচ্ছে। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের বিদ্যমান সংকট দেখিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা পাম তেল ১৬০ থেকে ১৬২ এবং সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। আর বোতল জাত সয়াবিন অনেক দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না। কিছু কিছু দোকানে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল মিললেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকায়। স্থানভেদে একই সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বিশ্ব মন্দা কাটিয়ে উঠতে না পেরে দেশের কয়েকটি গ্রুপ ভোজ্যতেলের বাজার থেকে সরে গেছে। ২০০৮ ও ২০১২ সালের বিশ্ব বাজারের অস্থিরতার ধাক্কা পড়েছে ভোজ্যতেলের বড় আমদানিকারক সিটি ও মেঘনা শিল্প গ্রুপের ওপর। তবে তাদের আরও ব্যবসা থাকায় ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। এক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকগুলোও তাদের সহযোগিতা করেছে। চলতি বছর সয়াবিন ও পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে এসব আমদানিকারক সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। এসব কোম্পানির একাধিক প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে সয়াবিন তেলের এই সংকট। সংকটের শুরু থেকে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার ও আমদানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে কিনা, সেদিকে সরকারের বড় নজরদারির দরকার ছিল। সেই সঙ্গে বিশ্ববাজার পর্যবেক্ষণ করে ব্যবসায়ীদের অভয় দেওয়াও যেত, যাতে তারা আমদানি স্বাভাবিক রাখেন। প্রয়োজনে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ভোজ্যতেল আমদানি করিয়ে সরকারি সংস্থা সংগ্রহ করতে পারত। উদাহরণ হিসেবে তারা অতীতে দেশে পেঁয়াজ সংকটের সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সহায়তার করার কারণে বাজার স্বাভাবিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা গিয়েছিল। তারা জানান, একাধিক কারণে বর্তমানে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির। দেশে ডলার সংকট এখনো চলমান রয়েছে। আমদানিকারকরা আগের মতো ভোজ্যতেল আমদানি করছেন না। বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। এসব কারণে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশের ইতিহাসে পাম অয়েলের দাম এবারের মতো আর বাড়েনি। মূলত ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদন সংকট, বায়োডিজেলে পাম অয়েল ব্যবহারের পরিমাণ ৫ শতাংশ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির বুকিং রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে। জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুইয়া বলেন, রমজানকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অনৈতিক মুনাফার আশায় নানা ধরনের ফন্দি আটছে। রমজানের সময় দাম না বাড়িয়ে রমজান শুরুর আগেই যদি স্বার্থটি হাসিল করা যায়, তাতে মন্দ কী? এখন থেকেই কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারিভাবে কেনাকাটার যেসব প্রস্তাব আমাদের কাছে আসছে-আমরা সহজেই তা অনুমোদন করে দিচ্ছি। টিসিবিকে কার্যকর রাখতে সয়াবিন তেল কেনাকাটার প্রস্তাবও পাস হচ্ছে। এখানে কোনো সংকট আছে বলে আমি মনে করি না। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। এ জন্য বাজারে মনিটরিং চলছে। আমদানি প্রক্রিয়ায়ও স্বাভাবিক। কাজেই দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে। আশা করছি, রমজানে ভোজ্যতেলের কোনো সংকট হবে না।

ডলার বাজার ফের অস্থির

ডলার বাজার ফের অস্থির

কয়েক মাস স্থিতিশীল থাকলেও আবারো ডলারের বাজারে চলছে অস্থিরতা। ব্যাংক থেকে খোলা বাজার ডলারের দেখা মেলা ভাগ্যের ব্যাপার। বিপাকে পড়ছে বিদেশে ভ্রমণ ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকে ১২২ টাকা দরে ডলার বিক্রির ড্যাস বোর্ডের ঘোষণা শুধুই কাগজেকলমে। বাস্তবে ডলার পাচ্ছেন না গ্রাহক। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে বিকল্প মুদ্রা সরবরাহ করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এদিকে ব্যাংকে ডলার না পেয়ে ডলার কিনতে অনেকে ঘুরছেন খোলা বাজারে। এই বাজারেও সংকট রয়েছে ডলারের। গ্রাহকদের ডলার পেতে গুনতে হবে অন্তত ১২৭ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। মানি এক্সচেঞ্জ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এস এম জামান জনকণ্ঠকে বলেন, ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের আয়ের প্রতি ডলার কিনছেন ১২৫ টাকার ওপর। বিপরীতে আইনের মধ্যে থাকতে হলে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে ডলার বিক্রি করতে হবে ১২১ টাকা দরে, যা বাস্তব নয়। তাই বাধ্য হয়েই অবৈধ পথে হাঁটতে হয় মানি একসচেঞ্জ হাউজগুলোকে। বর্তমানে নগদ ডলারের বাজার অস্থিরতা হওয়ার পেছনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুষলেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে বিনিময় হার বাড়ানো হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। তাই শর্ত নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ তাদের। এদিকে আইএমএফ ঋণের শর্ত হিসেবে ডলারের বিনিময় হার বাজার দরের ওপর ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দিয়েছিল। শর্ত মেনে বেঁধে দেওয়া বিনিময় হার থেকে সরে আসার চেষ্টা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রথমে ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়া হলেও পরে ক্রলিং পেগ ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত মে মাসে একবারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা। এর পর বেশ কিছুদিন ১২০ টাকার আশপাশে লেনদেন হয়। রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায় ডলারের দাম বাড়ার কারণে অনকটাই অস্থির হয়ে উঠছে খোলা বাজার।  অনেক ব্যাংক রেমিটেন্স কিনছে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকায়। ফলে, ঋণপত্র খুলতে প্রতি ডলারে গুনতে হয় ১২৬ টাকার বেশি। আর খোলাবাজারে লেনদেন হচ্ছে ১২৮ টাকা পর্যন্ত। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ক্রলিং পেগের কার্যকারিতা নিয়েও। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন,  ডলারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের কাছে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই এর সমাধান পেয়ে যাব।     বিশ্লেষকরা বলছেন, এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ। আইএমএফের শর্ত মেনে নতুন ক্রলিং পেগ বাস্তবায়নে ডলারের দাম বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা আরও কঠিন হবে। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাশরুর রিয়াজ জনকণ্ঠকে বলেন, ডলার বাজারে যে অস্থিরতা দেখছি, এটা কাম্য ছিল না। ৫ আগস্টের পর দেশ অস্থিরতার মধ্যে বিরাজ করছিল। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ বাংকের নতুন নেতৃত্ব ভালোই চলছিল কিন্তু হঠাৎ করে ডলারের দাম বৃদ্ধি আমাদের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ন্ত্রণে না এলে ‘ডেপ্রিসিয়েশন’ অবধারিত হবে। মূল্যস্ফীতি যেখানে ক্রমাগত বাড়ছে, সেখানে ১১৭ টাকার ক্রলিং পেগ বা মার্কেটে ১১৯-১২০ টাকা, সেটা যদি এখন যা আছে ১২৬-১২৭ টাকায় চলে যায় তা হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। মাশরুর রিয়াজ আরও বলেন,  মূলত তিনটি কারণে ডলারের দর বাড়ছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএফ) শর্ত অনুযায়ী বছর শেষে নির্ধারিত পরিমাণে রিজার্ভ সংরক্ষণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্বিতীয়ত, রমজান কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে গতি বেড়েছে। এতে আমদানি দায় পরিশোধের চাহিদাও বেড়েছে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ওভারডিউ (বকেয়া) হয়ে যাওয়া সব ঋণপত্রের (এলসি) দায় ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে কিছু ব্যাংক বেশি দামে ডলার কিনে হলেও এলসি দায় সমন্বয় করছে। এদিকে, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের নিট রিজার্ভ থাকতে হবে ন্যূনতম ১ হাজার ৫৩২ কোটি বা ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। এ শর্ত পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার কেনা বাড়ানোর বিষয়টিও মার্কিন মুদ্রাটির বিনিময় হার ঊর্ধ্বমুখী করে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, টানা দুই অর্থবছর আমদানি ঋণাত্মক থাকার পর চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) দেশের আমদানি ব্যয় হয়েছে ২২ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। নভেম্বর ও চলতি মাসে আমদানির এলসি খোলাও বেড়েছে। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে, তখন ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে করোনাপরবর্তী অর্থনীতিতে বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় ডলার বিক্রি করলেও দর ঠেকানো যায়নি। আবার অনেক ধরনের বকেয়া পরিশোধ না করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখার কথা বলে টানা তিন অর্থবছর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয় ৭৬২ কোটি বা ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছর তা আরও বেড়ে পৌঁছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়নে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয় আরও ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। টানা তিন অর্থবছর ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভে বড় ক্ষয় হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়নে)। সে রিজার্ভ এখন ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর নিট রিজার্ভ ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার রাখতে হবে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করেছেন। সেই সঙ্গে আইএমএফের শর্ত পূরণে বাজার থেকে ডলার কিনছেন। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ডলারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জোগান নিশ্চিত না করতে পারলে দাম বেড়েই যাবে। ডলারের দাম চাপিয়ে রেখে এটা ঠেকানো সম্ভব নয়। ডলারের দাম ঠিক রাখতে হলে তা বাজারের ওপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

উষ্ণতার অনুষঙ্গ

উষ্ণতার অনুষঙ্গ

শীতের হিমেল বাতাস বইছে চারদিকে। জীবন যাপনের হালচালেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। হিম শীতল দিনগুলো উষ্ণ করতে প্রয়োজন এখন ফ্যাশনেবল গরম কাপড়ের নানা অনুসঙ্গ। এরমধ্যে কান টুপি, হাত মোজা আর মাফলার না হলেই নয়। আজকাল তরুণ-তরুণীরাও ঠান্ডা থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য বেঁছে নেয় আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল গরম কাপড়। উষ্ণতা পেতে যেসব অনুষঙ্গ প্রয়োজন - টুপি : হালফ্যাশনে টুপি কেবল শীত নিবারণের জন্যই নয়, ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় নানাভাবে। বর্তমানে বিভিন্ন রকমের কান টুপি আছে বাজারে, যেমন- মাঙ্কি টুপি, মাফলার টুপি, ক্যাপের মতো টুপি, ঝোলা টুপি ইত্যাদি। শীত নিবারণের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় উলের তৈরি টুপি। এছাড়াও পুরনো ফ্যাশনের টুপির ভেতরে মোটা উলের টুপি, একসঙ্গে মুখ ও মাথা ঢাকার টুপিও আছে মার্কেটে। মুখের গড়ন ও পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টুপি পরলে দেখতে বেশ ভালো লাগে। যাদের চুল ছোট তারা সম্পূর্ণ চুল টুপির ভেতর রাখতে পারেন। তবে চুল একটু বড় হলে পাশ দিয়ে বের করেও রাখা যায়। আবার অনায়াসেই তা টুপির ভেতর গুঁজে রাখা যাবে। কালো, খয়েরি ও নীল রঙের টুপি মানিয়ে যায় যে কোনো পোশাকের সঙ্গে। উৎসবমুখর পরিবেশে লাল, সাদা অথবা সবুজ রঙের টুপিও পরা যেতে পারে। তবে সবসময় এমন টুপি বেছে নেওয়া উচিত যা একটু ঢিলে হবে। কারণ টুপিতে ব্যবহৃত ইলাস্টিক বা রাবার  কপালের কাছে আঁটসাঁট হয়ে থাকলে তা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি কপালে দাগও হতে পারে। মোজা : অতিরিক্ত ঠান্ডায় হাত অবশ থেকে শুরু করে নানা রকম চর্মরোগ হতে পারে। তাই শীত থেকে নিজেকে সুরক্ষার আরেকটি উপায় হচ্ছে হাত মোজা। হাত মোজা উলের তৈরি হওয়ায় এর মাধ্যমে ঠান্ডা হাতের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে হাতের ত্বক ভালো থাকে। বর্তমানে ফ্যাশনেবল বিভিন্ন পা মোজা রয়েছে মার্কেটে। ডিজাইনভেদে সব ঋতুতেই এগুলো পরা যায়। তবে ঠান্ডা নিবারণে যেসব মোজা পরা হয়, সেগুলো একটু মোটা উলের কাপড় দিয়ে তৈরি। তবে শীতের সময়ে পা মোজার ব্যবহার অনেক বাড়ে।    মাফলার : হালফ্যাশনে শীত নিবারণের আরেকটি অনুষঙ্গ হচ্ছে মাফলার। তরুণ কিংবা তরুণী সবার পছন্দের তালিকায় আছে এটি। উলের নেট মাফলার থেকে শুরু করে এন্ডি কটন এবং পশমি মাফলারসহ নানা রঙের চেক মাফলার পাওয়া যায় মার্কেটে। মাফলারের রয়েছে দুটি ধরন। শর্ট এবং লং। মেয়েদের মাফলারগুলো কিছুটা শর্ট থাকে ছেলেদের তুলনায়। লতাপাতা, গাছপালা, প্রজাপতি থেকে শুরু করে নানা রকমের কারুকাজ করা থাকে মাফলারগুলোতে। আর ছেলেদেরগুলো সাধারণত কিছুটা লং এবং চওড়া আকৃতির। শহরের তুলনায় গ্রামে মাফলার ব্যবহারের প্রচলন বেশি। দরদাম হাতে বোনা এবং চিকন উলের বিভিন্ন চেক মাফলার পাবেন ৩০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়াও স্টাইলিশ বিভিন্ন ধরনের মাফলার ৪০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। সিঙ্গেল পার্টের নরমাল মাফলার পাবেন ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই। হাত মোজা ও পা মোজার দাম ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। কান টুপির দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে। কোথায় পাবেন ফুটপাত ও রাস্তার অলিতে-গলিতেই পাওয়া যায় উষ্ণতার প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ। এছাড়াও নিউমার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি অথবা আপনার আশপাশের অভিজাত শপিংমলগুলোতেও পেয়ে যাবেন শীত নিবারণের জন্য পছন্দের নানা রকম উষ্ণ কাপড়। 

রঙ বাংলাদেশের ৩০ বছর

রঙ বাংলাদেশের ৩০ বছর

১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে পথ চলা শুরু হয়েছিল ফ্যাশন হাউস ‘রঙ’-এর। যে রঙ এখন নতুন রূপে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নামে পৃথিবীর মানচিত্রে নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নামক নতুন এক স্বাধীন রাষ্ট্রে। ডিসেম্বর মাসটি তাই ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর কাছে সব সময়েই অন্য এক আবেগের মাস। সেই আবেগ এই প্রতিষ্ঠানটিকে আরও বেশি উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করেছে বলে, মতামত ব্যক্ত করেছেন বর্তমানে ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর প্রধান নির্বাহী Ñ সৌমিক দাস। তিনি আরও বলেছেনÑ বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, রঙ বাংলাদেশের জন্ম মাস ডিসেম্বর এবং জুলাই চব্বিশ পরবর্তী এবারের ডিসেম্বর, সব যেন একই চেতনার সুতায় বোনা। সে চেতনা প্রিয় মাতৃভূমিকে বিশ্বের বুকে অনন্য এক স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার প্রত্যয়। যে চেতনা প্রতিটি নাগরিককে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করা। রঙ বাংলাদেশের ৩০ বছরের যাত্রাও সেই অঙ্গীকারেরই গল্প বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি সৌমিক দাস এ কথাও মনে করিয়ে দিতে চান যে, প্রথম অবস্থায় রঙ গড়তে প্রধান কারিগর ৪ জন হলেও আরও অনেকের অবদান এতে সংযুক্ত ছিল। যারা ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর প্রিয় বন্ধু-স্বজন। এখনো সবার ভালোবাসা, শুভকামনা ও সহায়তাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ এগিয়ে যাচ্ছে সেই একই চেতনায়। বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বুকে লালন করেই ছড়িয়ে পড়ছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ধন্যবাদ জানাই আমাদের সকলকর্মী, সহযোগী, বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের। সংবাদ মাধ্যমে যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, থাকবেন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সেইসব বন্ধুকেও। আপনাদের সবার শ্রম, সহযোগিতা, অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসার রঙে ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর ভবিষ্যৎ নিশ্চয়ই আরও রঙিন হয়ে উঠবে। সবাই ভালো থাকুন। দেশীয় শিল্পের পাশে থাকুন।