ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে

বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে

বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন শেষে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশোধন আইন ২০২৪’ অনুমোদন বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।  ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলো ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।

পরমাণু বোমা তৈরির শেষ ধাপে ইরান ॥ আইএইএ

পরমাণু বোমা তৈরির শেষ ধাপে ইরান ॥ আইএইএ

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থার (আইএইএ) প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে ইউরেনিয়ামের মজুত ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে ইরান। ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ১৮২.৩ কিলোগ্রাম ইউরেনিয়াম জমা করে ফেলেছে ইরান। পরমাণু বোমা তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান। পরমাণু অস্ত্র নির্মাণে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম। অর্থাৎ পারমাণবিক বোমা তৈরির শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ইরান। খবর রয়টার্সের। গত আগস্ট মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর আরও ১৭ দশমিক ছয় কেজি ইউরেনিয়াম জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। আইএইএ প্রতিবেদনের দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়েও ৩২ গুণ বেশি বেড়েছে ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুত। পরমাণু শক্তিধর হয়ে উঠতে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে প্রস্তুতি চালাচ্ছিল ইরান। যদিও ইরান বলে আসছিল, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। পারমাণবিক বোমা তৈরিকে তারা সমর্থন করে না। তবে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ইরানের ওপর হামলায় পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনার হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান।  ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে লাগাম টানতে ২০১৫ সালে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি। তবে একাধিক দেশের সংঘাতের জেরে শেষ পর্যন্ত এই চুক্তি সাফল্যের মুখ দেখেনি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।  এরপর থেকে গোপনে পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে ইরান। পশ্চিমা আহ্বানকে উপেক্ষা করে নতুন কোনো চুক্তির বিষয়েও আগ্রহ দেখায়নি ইরান। উল্টো জানিয়ে দেয়, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তিতে যাবে না তেহরান। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে অশনি সংকেত দেখতে পশ্চিমারা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরান যদি কোনোভাবে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হয়, সেক্ষেত্রে শুধু মধ্যপ্রাচ্যই নয় বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।

ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা

ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা

এবার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ব্রিটিশ মিডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে তৈরি স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা করেছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দূরপাল্লার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র স্টর্ম শ্যাডো দিয়ে রাশিয়ার গভীরে আঘাত করে ইউক্রেন। তবে শুধু ব্লুমবার্গ নয়, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসও সূত্র উদ্ধৃত করে এবং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও দেখে একই খবর প্রকাশ করেছে। এদিকে সাময়িক বন্ধ থাকার পর যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভে তাদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে। বুধবার রাশিয়ার সম্ভাব্য বড় ধরনের বিমান হামলার হুমকির পর দিনের বেলা বন্ধ থাকলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দূতাবাসের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে আঘাত করার চেষ্টা করে ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অফিস জানিয়েছে, তারা এই রিপোর্ট নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না। রাশিয়াকে মোকাবিলা করতে যুক্তরাজ্য গত বছর ইউক্রেনকে স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছিল। কিন্তু শর্ত ছিল, তা ইউক্রেনের ভেতরেই ব্যবহার করতে হবে।

মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান 

মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান 

‘আলাদিনের দৈত্য নয়, মার্সেলেই স্বপ্ন পূরণ হয়’- এই স্লোগানে সারাদেশে চলছে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১। এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ কিনে একটি প্রাইভেট কার ফ্রি পেয়েছেন ঢাকার উত্তরখানের আনিসুর রহমান। উত্তরার চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় ছোট্ট একটি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে তার। সেই দোকানের জন্য মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আনিসুর।  উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১ এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা সিলিং ফ্যান কিনে গাড়ি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন ক্রেতারা। গত শনিবার আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেতা আনিসুর রহমানের হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।  সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো. মতিউর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক (উত্তর) ইনচার্জ কুদরত-ই খুদা সাফওয়ান, দক্ষিণের ইনচার্জ নূরুল ইসলাম রুবেল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ মোল্লা, মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘এমএইচ ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ। নিজের বিরিয়ানির দোকানে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখ মার্সেলের পরিবেশক শোরুম ‘এমএইচ ইলেকট্রনিক্স’ থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন আনিসুর। জানতেন না এক ফ্রিজেই ভাগ্য বদলে যাচ্ছে তার। কেনার পর ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মার্সেল থেকে তাঁর মোবাইল নম্বরে গাড়ি ফ্রি পাওয়ার একটি এসএমএস আসে। তার কাছে অবিশ্বাস্য লাগে ওই এসএমএসটি। পরে শোরুমে যোগাযোগ করে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন।

জুস-ড্রিংকস রপ্তানিতে মিলবে নগদ প্রণোদনা

জুস-ড্রিংকস রপ্তানিতে মিলবে নগদ প্রণোদনা

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস এবং ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এতে রপ্তানিকারকরা ১০ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পাবেন। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, কৃষিপণ্য (শাকসবজি/ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাত (অ্যাগ্রো প্রসেসিং) কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা সম্পর্কে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস এবং ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। নির্দেশনায় কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে জারি করা এ সংক্রান্ত এক সার্কুলারে ফল ও সবজি থেকে উৎপাদিত সব ধরনের পেস্ট, ফ্রুটবার, টিনজাত সামগ্রী, ডিহাইড্রেটেড সামগ্রী, জুস, ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।

সমন্বিত হিসাবের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে নতুন ‘প্ল্যাটফর্ম’

সমন্বিত হিসাবের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে নতুন ‘প্ল্যাটফর্ম’

দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের রক্ষিত অর্থ কনসোলিডেটেড কাস্টমার অ্যাকাউন্ট (সিসিএ) বা সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কঠোরতা আরোপ করা হলেও পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে থেমে নেই সিসিএ-এর অর্থ লোপাট কর্মকাণ্ড। এবার ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে একটি ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম’। বিনিয়োগকারীদের মতে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে অর্থ তছরুপ রোধ করতে বিএসইসি এই যে উদ্যাগ নিয়েছে, তা খুবই ইতিবাচক। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে সুশাসন নিশ্চিত করতে এই প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এরই মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই-সিএসই) নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। এর লক্ষ্য হলো- ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্রোকারেজ হাউসগুলো প্রতিদিন পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষে তাদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের তথ্য প্রদান বা আপলোড করবে। উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সেইসব তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। কোনো অসঙ্গতি পেলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে ব্রোকারেজ হাউসে পুঁজি ও সিকিউরিটিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিএসইসি এই উদ্যোগ নিয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে অর্থ ও সিকিউরিটিজ তছরুপের সম্ভাবনা থাকবে না। এতে সুপাভিশন ও মনিটরিং আরও জোরদার হবে। ফলে আগামীতে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে অর্থ বা শেয়ার লোপাটের সম্ভাবনা কমে যাবে। তবে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুনর্গঠত বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বধীন কমিশনের এ  উদ্যোগটি প্রশংসনীয় বলে দাবি করা হলেও সেটার বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম  বলেন, বিএসইসির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তবে দেশের প্রেক্ষাপটে এটির বাস্তবায়ন খুবই কঠিন। ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি থাকতে হবে। সেইসঙ্গে প্ল্যাটফর্মটি পরিচালনায় পর্যাপ্ত লোকবল ও সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি এ কাজে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সর্বিক সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। অংশীজনদের প্রচেষ্টার ঘটতি থাকলে এই প্ল্যাটফর্ম যে উদ্দেশে তৈরি করা হচ্ছে, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এদিকে বিএসইসি বলছে, ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির অগ্রগতি জানতে গত ৩১ অক্টোবর ডিএসই ও সিএসইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল ডিএসই ও সিএসইর সঙ্গে ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করার বিষয়ে বিএসইসির বৈঠক হয়েছে। পরবর্তীতে চলতি বছরের গত ৯ অক্টোবর ডিএসই ও সিএসইকে এই প্ল্যাটফর্ম তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরে আপনাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত ২০ কার্যদিবস অর্থাৎ ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। ইউনিফর্ম অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে অনুরোধ করা যাচ্ছে, বলা হয়েছে চিঠিতে।

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যিক আবহে চিরায়ত বাংলার রূপশৌর্যের যে সমাহার তা এই অঞ্চলের পরম বরমাল্য। শুধু কি ঋতু বদলের পালা? নাকি তার সঙ্গে আরও জুড়ে থাকে খাদ্য রসিক বাঙালির নানামাত্রিক ভোজনবিলাসের আড়ম্বর। আড়ম্বরই বটে। হেমন্ত কালের শুভাগমনে প্রকৃতি যেমন নব উদ্দীপনায় সাজসাজ রবে মুখরিত তাও এক অনন্য নৈসর্গিক দৃশ্যময়তা। বাংলার নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য থাকে আবহমান কালের বঙ্গ রমণীরা। যারা খাদ্য রসনার এক চিরায়ত, অনির্বাণ শিল্পী। শৈল্পিক বোধ আর উর্বর পলিমাটির সোঁদা গন্ধ যেন মিলে মিশে একাকার। তার সঙ্গে মিলনগ্রন্থিতে ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা শস্য শ্যামল এই সমৃদ্ধ বাতাবরণটি। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসটি যেন নতুন ধানের উৎসবে, আনন্দে মুখরিত সুফলা বঙ্গভূমির চিরন্তন আবেদন। হেমন্তের ঋতু উৎসব অন্য মাত্রার ভিন্ন সৌরভের। পরিপূর্ণ ও নতুন মন মাতানো ফসলের খেত যেন উপচেপড়া এক অনন্য বাংলার শাশ^ত গৌরব। পিঠাপুলির প্রাণ দোলানো আয়োজনে বঙ্গ রমণীদের যে দিনভর ব্যস্ততা, হরেক মাত্রার যে কর্মদ্যোতনা তাও এক অনির্বাণ দীপ্তি। এমন সব গৌরব সৌরভের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যিক রসসম্ভোগ পিঠাপুলির চমৎকার অভিনবত্ব। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পুরনো সম্ভার একেবারে শেষ হয়ে না যাওয়াও চিরায়ত বাংলার অনবদ্য শৌর্য।