ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
শীঘ্র নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে

শীঘ্র নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে

শীঘ্র নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পথ-নকশা না দিলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয়’ প্রস্তাব ১০০ দিনে কতটা বাস্তবায়ন হলো’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি নামের একটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ সংগঠনের সদস্য। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০৮ এর পরে আর কার্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে হাসিনার সরকার ছিলেন মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার বা অনির্বাচিত সরকার। সুতরাং আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে যে ধস নেমেছিল, সেটি মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। সেটা সংস্কার করে যথাযথভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য বলেন, অনেকগুলো সংস্কার আছে, যা দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার, তা নির্বাচিত একটি স্থায়ী সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে অনেকগুলো ভিত্তি তৈরি করতে পারে এ সরকার। বিভিন্ন কমিশন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে তৈরি হবে। সেই প্রক্রিয়াটা চলতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে একটি প্রস্তুতি বা পথ-নকশা বা উদ্যোগ, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, কী কী পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হবে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। যথাযথভাবে এ ঘোষণা না এলে, এটি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে একটি অনাস্থা বা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তা থেকে বাঁচার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পথ-নকশা ঘোষণা করা উচিত বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কতদিনের মধ্যে নির্বাচন চাই, সেই তারিখ তো নির্দিষ্ট করে আমরা বলতে পারব না। আমরা মনে করি, সব কাজই আপনি যদি গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং দক্ষতার সঙ্গে করেন তা হলে যত সময় লাগবে, গুরুত্বের সঙ্গে না নিলে তার থেকে বেশি সময় লাগবেই। আমি মনে করি, সরকার গুরুত্বের সঙ্গে এটি নেবে এবং যথা শীঘ্র সম্ভব, সে বিষয়ে জনগণকে পরিষ্কার বক্তব্য দেবে। নইলে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, অনাস্থা তৈরি হওয়ার শঙ্কা আছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি। সেগুলো যাতে বন্ধ হয়। সে জন্য সরকারের এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আরেক প্রশ্নে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। তাদের দাবি-দাওয়াগুলো খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, বহু বছরে মানুষের মধ্যে বঞ্চনা আছে, মানুষের মধ্যে অনেক রকমের ক্ষোভ আছে, অনেক রকম সমস্যা আছে। সেগুলো সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। জোর-জবরদস্তি কিংবা ধরপাকড় কিংবা কেউ আন্দোলন করলে তাকে ট্যাগ লাগানো এ প্রবণতা, যেটা অতীতের সরকারের সময়ে ছিল, এটা যেন অব্যাহত না থাকে। যেমন অটোরিক্সা বলেন, কিংবা অন্যান্য পেশাজীবী বলেন, তাদের জোর-জবরদস্তি করে তো সমস্যার সমাধান হবে না। এটা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে, সমাধানের পথে যেতে হবে। এর আগে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয়’ নিয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। 

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যিক আবহে চিরায়ত বাংলার রূপশৌর্যের যে সমাহার তা এই অঞ্চলের পরম বরমাল্য। শুধু কি ঋতু বদলের পালা? নাকি তার সঙ্গে আরও জুড়ে থাকে খাদ্য রসিক বাঙালির নানামাত্রিক ভোজনবিলাসের আড়ম্বর। আড়ম্বরই বটে। হেমন্ত কালের শুভাগমনে প্রকৃতি যেমন নব উদ্দীপনায় সাজসাজ রবে মুখরিত তাও এক অনন্য নৈসর্গিক দৃশ্যময়তা। বাংলার নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য থাকে আবহমান কালের বঙ্গ রমণীরা। যারা খাদ্য রসনার এক চিরায়ত, অনির্বাণ শিল্পী। শৈল্পিক বোধ আর উর্বর পলিমাটির সোঁদা গন্ধ যেন মিলে মিশে একাকার। তার সঙ্গে মিলনগ্রন্থিতে ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা শস্য শ্যামল এই সমৃদ্ধ বাতাবরণটি। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসটি যেন নতুন ধানের উৎসবে, আনন্দে মুখরিত সুফলা বঙ্গভূমির চিরন্তন আবেদন। হেমন্তের ঋতু উৎসব অন্য মাত্রার ভিন্ন সৌরভের। পরিপূর্ণ ও নতুন মন মাতানো ফসলের খেত যেন উপচেপড়া এক অনন্য বাংলার শাশ^ত গৌরব। পিঠাপুলির প্রাণ দোলানো আয়োজনে বঙ্গ রমণীদের যে দিনভর ব্যস্ততা, হরেক মাত্রার যে কর্মদ্যোতনা তাও এক অনির্বাণ দীপ্তি। এমন সব গৌরব সৌরভের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যিক রসসম্ভোগ পিঠাপুলির চমৎকার অভিনবত্ব। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পুরনো সম্ভার একেবারে শেষ হয়ে না যাওয়াও চিরায়ত বাংলার অনবদ্য শৌর্য।