ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জাতীয়
নতুন ইসি গঠন

নতুন ইসি গঠন

নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দেশের চতুর্দশতম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীন। এর আগে বুধবার নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব দেয় সার্চ কমিটি। সিইসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি সদয় হয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দান করেছেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব তাহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি চার কমিশনারকে নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অপর প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন বিসিএস (প্রশাসন) ১৯৭৯ ব্যাচের নিয়মিত একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সচিব পদে কর্মরত ছিলেন।  ওই সময়কাল পর্যন্ত তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান। নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নাসির উদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশা আল্লাহ! এ দায়িত্ব যখন আসছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে। গত ৩১ অক্টোবর ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে সরকার। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ছয় সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। নাম প্রস্তাব করার জন্য কমিটিকে ১৫ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে আইন অনুযায়ী, গত ২৯ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি তালিকা বুধবার রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠায়। রাষ্ট্রপতি তাদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং চারজনকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন। এদিকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন গত ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন। এর পর থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস নির্বাচন কমিশন শূন্য ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্র্বর্তী সরকার। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করব- সিইসি ॥ নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা করব, ইনশা আল্লাহ্! এ দায়িত্ব যখন এসেছে, আমাদের সুষ্ঠুভাবে তা পালন করতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার নতুন সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বিচারপতি এম ইদ্রিস। তার মেয়াদকাল ছিল ৭ জুলাই ১৯৭২ থেকে ৭ জুলাই ১৯৭৭ পর্যন্ত। বিচারপতি একেএম নূরুল ইসলাম ৮ জুলাই ১৯৭৭ থেকে ১৭ মে ১৯৮৫ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদের মেয়াদকাল ছিল ১৭ মে ১৯৮৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ পর্যন্ত। বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি আব্দুর রউফের মেয়াদকাল ছিল ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ পর্যন্ত।

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
শীঘ্র নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে

শীঘ্র নির্বাচনের রোডম্যাপ না দিলে অনাস্থা তৈরি হতে পারে

শীঘ্র নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পথ-নকশা না দিলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর জনগণের অনাস্থা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয়’ প্রস্তাব ১০০ দিনে কতটা বাস্তবায়ন হলো’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন এক প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি নামের একটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ সংগঠনের সদস্য। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০৮ এর পরে আর কার্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ থেকে হাসিনার সরকার ছিলেন মেয়াদোত্তীর্ণ সরকার বা অনির্বাচিত সরকার। সুতরাং আমরা মনে করি, নির্বাচন ব্যবস্থার মধ্যে যে ধস নেমেছিল, সেটি মেরামত বা সংস্কার করতে হবে। সেটা সংস্কার করে যথাযথভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের কাঠামো তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য বলেন, অনেকগুলো সংস্কার আছে, যা দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার, তা নির্বাচিত একটি স্থায়ী সরকার ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে অনেকগুলো ভিত্তি তৈরি করতে পারে এ সরকার। বিভিন্ন কমিশন হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে তৈরি হবে। সেই প্রক্রিয়াটা চলতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে একটি প্রস্তুতি বা পথ-নকশা বা উদ্যোগ, কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, কী কী পদ্ধতিতে তারা অগ্রসর হবে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। যথাযথভাবে এ ঘোষণা না এলে, এটি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে একটি অনাস্থা বা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তা থেকে বাঁচার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ বা পথ-নকশা ঘোষণা করা উচিত বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কতদিনের মধ্যে নির্বাচন চাই, সেই তারিখ তো নির্দিষ্ট করে আমরা বলতে পারব না। আমরা মনে করি, সব কাজই আপনি যদি গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং দক্ষতার সঙ্গে করেন তা হলে যত সময় লাগবে, গুরুত্বের সঙ্গে না নিলে তার থেকে বেশি সময় লাগবেই। আমি মনে করি, সরকার গুরুত্বের সঙ্গে এটি নেবে এবং যথা শীঘ্র সম্ভব, সে বিষয়ে জনগণকে পরিষ্কার বক্তব্য দেবে। নইলে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, অনাস্থা তৈরি হওয়ার শঙ্কা আছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি। সেগুলো যাতে বন্ধ হয়। সে জন্য সরকারের এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আরেক প্রশ্নে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন গোষ্ঠী তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে উপস্থিত হচ্ছে। তাদের দাবি-দাওয়াগুলো খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। কারণ, বহু বছরে মানুষের মধ্যে বঞ্চনা আছে, মানুষের মধ্যে অনেক রকমের ক্ষোভ আছে, অনেক রকম সমস্যা আছে। সেগুলো সরকারের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। জোর-জবরদস্তি কিংবা ধরপাকড় কিংবা কেউ আন্দোলন করলে তাকে ট্যাগ লাগানো এ প্রবণতা, যেটা অতীতের সরকারের সময়ে ছিল, এটা যেন অব্যাহত না থাকে। যেমন অটোরিক্সা বলেন, কিংবা অন্যান্য পেশাজীবী বলেন, তাদের জোর-জবরদস্তি করে তো সমস্যার সমাধান হবে না। এটা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে, সমাধানের পথে যেতে হবে। এর আগে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আশু করণীয়’ নিয়ে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। 

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

আগামী ২৯ নভেম্বর মাঠে গড়াবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ১১তম আসর। ৮ দল নিয়ে এবারের আসরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। গত বছর এই আসরে প্রথমবার শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। এবার শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ একেবারে নতুন করে গড়ে ওঠা দলটির। সফল কোচ নাভিদ নাওয়াজের অধীনে বেশ গুছিয়ে উঠেছে তারা। বৃহস্পতিবার এই আসরের জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪৯ দল ॥ আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহঅধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বাসির রাতুল, দেবাশিষ সরকার দেবা, রিজন হোসেন, মো. আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, মো. রাফি উজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, মো. আশরাফুজ্জামান বরাণ্য ও সা’দ ইসলাম রাজিন। স্ট্যান্ডবাই ॥ কালাম সিদ্দিকী এলিন (ট্রাভেলিং রিজার্ভ), শাহারিয়াল আজমির, ইয়াসির আরাফাত ও সানজিদ মজুমদার।

মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান 

মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি পেলেন ঢাকার আনিসুর রহমান 

‘আলাদিনের দৈত্য নয়, মার্সেলেই স্বপ্ন পূরণ হয়’- এই স্লোগানে সারাদেশে চলছে জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১। এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ কিনে একটি প্রাইভেট কার ফ্রি পেয়েছেন ঢাকার উত্তরখানের আনিসুর রহমান। উত্তরার চেয়ারম্যান বাজার এলাকায় ছোট্ট একটি বিরিয়ানির দোকান রয়েছে তার। সেই দোকানের জন্য মার্সেল ফ্রিজ কিনে গাড়ি ফ্রি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আনিসুর।  উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেন সিজন-২১ এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিন অথবা সিলিং ফ্যান কিনে গাড়ি ফ্রি পেতে পারেন ক্রেতারা। এ ছাড়াও আছে লাখ লাখ টাকার নিশ্চিত উপহার। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন ক্রেতারা। গত শনিবার আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেতা আনিসুর রহমানের হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান।  সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের হেড অব বিজনেস মো. মতিউর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক (উত্তর) ইনচার্জ কুদরত-ই খুদা সাফওয়ান, দক্ষিণের ইনচার্জ নূরুল ইসলাম রুবেল, ব্র্যান্ড ম্যানেজার উদ্দাম হোসেন মৃধা, স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ মোল্লা, মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘এমএইচ ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ। নিজের বিরিয়ানির দোকানে ব্যবহারের জন্য চলতি মাসের ২ তারিখ মার্সেলের পরিবেশক শোরুম ‘এমএইচ ইলেকট্রনিক্স’ থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন আনিসুর। জানতেন না এক ফ্রিজেই ভাগ্য বদলে যাচ্ছে তার। কেনার পর ফ্রিজটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই মার্সেল থেকে তাঁর মোবাইল নম্বরে গাড়ি ফ্রি পাওয়ার একটি এসএমএস আসে। তার কাছে অবিশ্বাস্য লাগে ওই এসএমএসটি। পরে শোরুমে যোগাযোগ করে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হন।

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

পিঠাপুলির আয়োজনে দিলারা খান

ষড়ঋতুর বৈচিত্র্যিক আবহে চিরায়ত বাংলার রূপশৌর্যের যে সমাহার তা এই অঞ্চলের পরম বরমাল্য। শুধু কি ঋতু বদলের পালা? নাকি তার সঙ্গে আরও জুড়ে থাকে খাদ্য রসিক বাঙালির নানামাত্রিক ভোজনবিলাসের আড়ম্বর। আড়ম্বরই বটে। হেমন্ত কালের শুভাগমনে প্রকৃতি যেমন নব উদ্দীপনায় সাজসাজ রবে মুখরিত তাও এক অনন্য নৈসর্গিক দৃশ্যময়তা। বাংলার নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য থাকে আবহমান কালের বঙ্গ রমণীরা। যারা খাদ্য রসনার এক চিরায়ত, অনির্বাণ শিল্পী। শৈল্পিক বোধ আর উর্বর পলিমাটির সোঁদা গন্ধ যেন মিলে মিশে একাকার। তার সঙ্গে মিলনগ্রন্থিতে ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা শস্য শ্যামল এই সমৃদ্ধ বাতাবরণটি। কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসটি যেন নতুন ধানের উৎসবে, আনন্দে মুখরিত সুফলা বঙ্গভূমির চিরন্তন আবেদন। হেমন্তের ঋতু উৎসব অন্য মাত্রার ভিন্ন সৌরভের। পরিপূর্ণ ও নতুন মন মাতানো ফসলের খেত যেন উপচেপড়া এক অনন্য বাংলার শাশ^ত গৌরব। পিঠাপুলির প্রাণ দোলানো আয়োজনে বঙ্গ রমণীদের যে দিনভর ব্যস্ততা, হরেক মাত্রার যে কর্মদ্যোতনা তাও এক অনির্বাণ দীপ্তি। এমন সব গৌরব সৌরভের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যিক রসসম্ভোগ পিঠাপুলির চমৎকার অভিনবত্ব। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পুরনো সম্ভার একেবারে শেষ হয়ে না যাওয়াও চিরায়ত বাংলার অনবদ্য শৌর্য।