ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

adbilive
adbilive
বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। এ দায়িত্ব নিতে হবে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি নীলফামারী, রংপুর ও সৈয়দপুর জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনে সক্ষম হলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবো। কেননা আমরা দেশের ২০ কোটি মানুষের সঙ্গে কমিটমেন্ট করেছি। দেশের মানুষের কাছে নেতাকর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে ৩১ দফার কর্মশালার আলোচনা পৌঁছে দেবেন। তারেক রহমান ১/১১ সময়ের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা-জুলুম হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা জুলুম করবো না, প্রতিশোধ নেবো না। আমরা প্রতিশোধ নিতে চাই ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। আমরা দেশের জনগণের কাছে রাষ্ট্রের আগামী কাঠামো তুলে ধরবো। জনগণ যাতে আগামী দিনে বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারে, তাই জনগণের আস্থা ধরে রাখতে প্রতিটি বিএনপি নেতাকর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। এক পর্যায়ে তারেক রহমান নেতাকর্মীদের জিজ্ঞেস করেন তারা তার এই কথার সাথে একমত কি না এবং সবাইকে হাত তুলে সম্মতি জানাতে বলেন। সকলে সমর্থন জানালে তারেক রহমান সকলকে শপথ নিতে বলেন যে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এক কাতারে কাজ করবো। জনগণ আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা জনগণের উন্নয়নে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন, আমাদের সফলতা অর্জন করতে হলে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। আপনাদের অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যেকোনো মূল্যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা জনসমর্থনবিরোধী কাজ করবেন, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আমাদের অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। এর আগে তিনি ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের প্রশ্ন ও প্রস্তাবনা শুনে উত্তর দেন। এ সময় তারেক রহমান কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি লোক বেকার। তাই কারিগরি শিক্ষা, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি—এই তিনটি খাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকারদের জন্য ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নেবে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিকায়ন এবং কৃষকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। উদ্যোক্তা তৈরির জন্য বিএনপি যুবকদের পাশে থাকবে এবং উদ্যোক্তাদের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হবে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা যেমন মিটবে, তেমনি আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশ সুনাম অর্জন করবে। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি উক্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, ৩১ দফা বিএনপির একার দফা নয়। বিএনপি কী করবে ক্ষমতায় গেলে, সে প্রসঙ্গগুলো ৩১ দফায় বিস্তারিতভাবে আছে। সংস্কারের প্রশ্নে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ৩১ দফার বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এখনও থামেনি। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জবি উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, কেন্দ্রীয় ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাম্মী আক্তার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম. আলমগীর সরকার। কর্মশালায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের প্রায় ৬ শতাধিক নেতা অংশ নেন। কর্মশালায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরা হয় এবং মতামত গ্রহণ করা হয়।

ঘোড়াঘাটে সড়ক খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার বিপাকে মানুষ

ঘোড়াঘাটে সড়ক খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার বিপাকে মানুষ

ঘোড়াঘাট উপজেলায় এক কিলোমিটার রাস্তা খুঁড়ে বালু দেওয়ার পর কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার। খুঁড়ে রাখা মাটি ও বালু মিশে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কাজ বন্ধ করে সড়ক ফেলে রাখায় হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশু পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়াল থেকে চেচুরিয়া গ্রাম পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক পাকা করার জন্য রাস্তার মাঝ বরাবর মাটি কেটে বালু দেওয়া হয়েছে। এরপর গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানি জমে ওই মাটি-বালু কাদায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। লোকজন এর ওপর দিয়ে অতিকষ্টে চলাচল করছেন। উপজেলা সদরসহ হাট-বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক হওয়ায়, আশপাশের ৯টি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। চেচুরিয়া গ্রামের আবুল কাসেম বলেন, নয়টি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিকাজ করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। কয়েকদিন পরই ধান কাটা শুরু হবে। এই সড়ক দিয়ে ক্ষেত থেকে ধান আনা এবং হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। নয়টি গ্রামের মানুষ এই পথ দিয়ে আসা-যাওয়াসহ পণ্য আনা-নেয়া করে। সড়কটি ঠিক না করলে বিকল্প পথে অনেকটা ঘুরে যেতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে। এ জন্য আমরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাব না। পরিমল নামে আরেকজন জানান, এই সড়কের মাঝামাঝি একটি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসাসহ দু’টি প্রি-ক্যাডেট স্কুল আছে। রাস্তার বেহাল দশার কারণে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতাযাতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া সর্বত্র পানি জমা হয়ে থাকে। ভ্যানচালক জুয়েল ইসলাম বলেন, এই আস্তা (সড়ক) দিয়ে ভ্যান চালা যায়? গেইলেও পেছন থাকি একজন ঠ্যালা নাগে।

দশানী নদীর বুকে পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণ

দশানী নদীর বুকে পাল্টাপাল্টি বাঁধ নির্মাণ

বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নে ও পার্শ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের দশানী নদীতে পাল্টাপাল্টি কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা দশানী নদীটি। আর এ বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার ২৫ গ্রামের মানুষ বাঁধ নির্মাণের পক্ষে বিপক্ষে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন। এ কারণে নদী ভাঙনের কবলে পরেছে ১১টি গ্রামের মানুষ। মাদারেরচর খাপরাপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী ঘুঘরাকান্দি, চর আইরমারী, মুন্দিপাড়া, মুন্সিপাড়া, কলকিহারা ও বাঘাডুবা গ্রামের মানুষ দশানী নদীর ভাঙন রোধে ওই নদীর বুকে বাঁধ নির্মাণের দাবি করে আসছে।  খাপড়াপাড়া নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণের দাবিতে এবং নদী ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানোর পরও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় খাপড়াপাড়া গ্রামের মানুষ নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে ওই নদীর মাঝখানে বাঁধ নির্মাণ করে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।  মাদারেরচর খাপড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আখতারুজ্জামান জানান, এই নদী ভাঙন রোধে অনুদান চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। জিও ব্যাগ ও ব্লক ব্যবহার করে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকল দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছি। কিন্তু কোনো দপ্তরই আমাদের কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি। ইতোমধ্যে আমাদের গ্রামে ২০-২৫টি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, কবরস্থানসহ প্রায় সহ¯্র্রাধিক হেক্টর কৃষিজমি  নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।