ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো জনগণ ছুড়ে ফেলবে: মির্জা ফখরুল

অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো জনগণ ছুড়ে ফেলবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, কেউ যদি অপকর্মে লিপ্ত হন, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, "অপকর্ম বন্ধ করুন, না হলে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে ফেলবে।" মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের মোলানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক গণসংযোগ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির নেতাকর্মীরা যেন আওয়ামী লীগের মতো অন্যায়-অপকর্মে জড়িয়ে না পড়েন। এতে জনগণ বিরক্ত হয়, ভালোবাসা হারিয়ে যায়। দলের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করলে জেলার নেতাদের উচিত তাদের কঠোরভাবে দমন করা বা প্রয়োজনে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অনেকে ভয় পান, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসবে। অথচ তিনি ১৫ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পালানোর কথা ছিল না, তবু পালিয়েছেন। কারণ তিনি জনগণের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন যে তাকে পালাতে বাধ্য হতে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি দানব-ডাইনির হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। আওয়ামী লীগ এমন কোনো অন্যায় নেই যা করেনি। দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষকে হয়রানি করেছে মামলা-হামলা দিয়ে। এমন ফ্যাসিবাদী নেত্রী আর কখনো বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। জনগণই তাকে প্রতিহত করবে।” এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশ ও দেশের মানুষকে ভালোবাসলে কেউ পালাতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশ ও দেশের মানুষকে সত্যিকারের ভালোবাসলে কেউ পালিয়ে যেতে পারে না— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, জামায়াত নেতারা তা বাস্তবে প্রমাণ করেছেন। ফাঁসির রায় শোনার পরও তারা ছিলেন প্রশান্ত, ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-নিপীড়নের মুখেও তারা অটল ছিলেন। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ.: তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে বইটির লেখক আলী আহমাদ মাবরুর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শামীম সাঈদী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেনসহ আরও অনেকে। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাওলানা আব্দুস সুবহানের জীবন ছিল সে ধরনের নেতৃত্বের উজ্জ্বল উদাহরণ। দল-মত নির্বিশেষে তার ব্যক্তিত্ব সবাইকে মুগ্ধ করত।” তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি থাকা অবস্থায়ও মাওলানা আব্দুস সুবহান ভেঙে পড়েননি। বরং কারাগারে থেকেই তিনি অন্য বন্দিদের খোঁজখবর রাখতেন, সাহায্য করতেন। প্রকৃত নেতার মতো তিনি মানুষের দুঃখ-কষ্ট বুঝতেন। এমন নেতৃত্ব আজ বিরল হয়ে গেছে।” অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, “আব্দুস সুবহানকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতেই তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেই আওয়ামী লীগই আজ অপমানিত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।”

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে সৌদি আরব থেকে ফিরলেন ৭০ প্রবাসী

প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়ে সৌদি আরব থেকে ফিরলেন ৭০ প্রবাসী

সৌদি আরবে কাজের আশায় গিয়ে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন ৭০ জন বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক। তাদের অনেকেই সেখানে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ জেল খেটেছেন, আবার কেউ মাসের পর মাস কাজ করেও পাননি বেতন। কেউ কেউ মামলা করেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দেশে ফিরে আসা এক প্রবাসী জানান, “২২ মাস সৌদি আরবে কষ্ট করলাম, কিন্তু হাতে কিছুই নাই। না পাইছি বাড়ির টিয়া বাডাবার টাকা, না পাইছি বাবার দেয়া সহায়তা। আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য এই অভিজ্ঞতা ছিল বিভীষিকাময়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাচ্ছি যেন ভবিষ্যতে কাউকে এভাবে প্রতারণার শিকার হতে না হয়।” বলা হয়, এদের অধিকাংশই দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি ছিল ভালো বেতনের চাকরির, কিন্তু বাস্তবে তারা কাজ পাননি, বরং অনেককেই নেওয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল, কপি শপ, বা ফ্যাক্টরিতে – যেখানে দিনের পর দিন ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করিয়েও তাদের কোনো বেতন দেয়া হয়নি। যারা কাজ পাননি, তারা হোটেলে থাকতে থাকতে নিজের জমানো টাকাও শেষ করে ফেলেছেন। আরেক প্রবাসী জানান, “আমার কফিলের (নিয়োগকর্তা) কাছে ২৯ মাসের বেতন পাওনা ছিল – ৫৮,০০০ রিয়াল। আমি মামলা করেছিলাম। কিন্তু একদিন সকালে প্রশাসনের লোক এসে বলে থানায় যেতে হবে। থানায় নিয়ে গিয়ে আমার আকামা (আবসারের অনুমতিপত্র) বাতিল করে দেয় এবং দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মামলা, পাওনা সবকিছু হাওয়া হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “আমি বৈধভাবে সেখানে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাকে ‘হুরুব’ (অবৈধ ঘোষণা) করে দেয়া হয়। পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। জেলে ছিলাম ১০ দিন। দিনে একবার শুধু একটা রুটি খেতে দিত।” প্রবাসীরা জানান, সৌদি আরবে এখন ‘অটো হুরুব’-এর নামে একটি নতুন প্রতারণা চলছে। কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই অনেকের নাম হুরুব তালিকায় চলে আসে। চেকপোস্টে ধরা পড়লে তখন জানা যায়, তাদের আকামা বাতিল হয়েছে। ফলে জেল বা দেশে ফেরত পাঠানো ছাড়া আর কোনো পথ থাকে না। দেশে ফিরে আসা এক প্রবাসী বলেন, “২৫ বছর বিদেশে থাকার পর আমার পরিবার আজ এত কষ্টে আছে যে, এক মুঠো ভাত জোগাড় করতেও মানুষের দরজায় যেতে হয়। এর চেয়ে দুঃখের কিছু হতে পারে না।” তাদের দাবি, এই সংকট শুধু ব্যক্তিগত না; এটি একটি বড় ষড়যন্ত্র। সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। শ্রমিকেরা বলেন, বিষয়টি দ্রুত উচ্চপর্যায়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অসহায় প্রবাসীদের প্রশ্ন—যেখানে তারা তাদের ঘাম, শ্রম, সময় দিয়েছে, সেখানে ন্যায্য পাওনা চাওয়াটাই যদি অপরাধ হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে? বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের এই করুণ বাস্তবতা আবারও প্রমাণ করে—বিদেশে কর্মসংস্থানের আগে যথাযথ নিয়ম ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা কতটা জরুরি। তা না হলে হাজারো শ্রমিক এভাবেই প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে বাধ্য হবেন। ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/watch?v=d8ybrC2wVk4

বিনিয়োগের কৌশলে পাচার হয়েছে দেশের টাকা

বিনিয়োগের কৌশলে পাচার হয়েছে দেশের টাকা

বিনিয়োগের কৌশলে টাকা পাচার করেছে দেশের নামি-দামি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে একাধিক দেশী বিদেশী সংস্থার মাধ্যমে পাচারের টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, দেশে থেকে অর্থ পাচারের জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানকে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে।   প্রতিবেদনটি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যামেলকো অনুষ্ঠানে প্রচার করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত ১০টি কোম্পানি সুকৌশলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে টাকা বের করে নিলেও তা দেশে বিনিয়োগ না করে বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করে দিয়েছিল। ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী একাধিক সংস্থা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

চুলা বন্ধ করলাম তো? এই ৫ রাশির মানুষ সব সময় এই চিন্তায় ভোগে!

চুলা বন্ধ করলাম তো? এই ৫ রাশির মানুষ সব সময় এই চিন্তায় ভোগে!

বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশ খানিকটা পথ যাওয়ার পর হঠাৎ মনে হলো—“চুলা কি বন্ধ করলাম?” এই মুহূর্তের ছোট্ট আতঙ্ক অনেকেরই পরিচিত। কেউ কেউ আবার সেই চিন্তায় ফিরে যান বাড়িতে, কেবলমাত্র নিশ্চিত হতে। এই মানসিক উদ্বেগ আমাদের সবার মধ্যেই কমবেশি কাজ করে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, কিছু নির্দিষ্ট রাশির মানুষ এই উদ্বেগে ভোগেন অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন পাঁচটি রাশির জাতক-জাতিকারা এমন চিন্তায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন— ১) কর্কট (Cancer) কর্কট রাশির মানুষদের ঘর, পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি প্রবল ভালোবাসা এবং সুরক্ষাবোধ থাকে। তারা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সচেতন। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একধরনের শঙ্কা কাজ করে তাদের মধ্যে। এই কারণেই তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রায়ই চিন্তিত হয়ে পড়েন—চুলা, গ্যাস কিংবা দরজা ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে তো? নিরাপত্তার ব্যাপারে এই অতিরিক্ত মনোযোগ অনেক সময় তাদের বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য করে। ২) কন্যা (Virgo) নিয়ম-শৃঙ্খলা ও নিখুঁততায় বিশ্বাসী কন্যা রাশির মানুষেরা প্রতিটি কাজের আগে ও পরে মানসিকভাবে একটি চেকলিস্ট তৈরি করে নেন। তারা বাড়ি ছাড়ার আগে একাধিকবার গ্যাস, লাইট, তালা পরীক্ষা করেন। তবুও মনে মনে সন্দেহ কাজ করে—“সত্যিই কি সব ঠিকঠাক করলাম?” এই অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক চাপ বাড়ায়। তবে এটিই তাদের যত্নবান ও সচেতন স্বভাবের প্রকাশ। ৩) মীন (Pisces) মীন রাশির জাতক-জাতিকারা কল্পনাবিলাসী ও সংবেদনশীল হন। তারা প্রায়ই নানা দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকেন এবং বাস্তব থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। এই ভাবনার জগতে হারিয়ে গিয়ে তারা প্রায়ই ভুলে যান চুলা বন্ধ করেছেন কি না। এরপর শুরু হয় চিন্তা—“না জানি কি হয়েছে!” আর তখনই তারা নিরাপত্তার খাতিরে আবার ফিরতে পারেন বাড়ির দিকে। ৪) মিথুন (Gemini) চঞ্চল ও বহুমুখী চিন্তায় ভরা মিথুন রাশির মানুষেরা একসাথে অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই ব্যস্ততার ফাঁকে প্রায়ই কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন চুলা বন্ধ করা, খেয়াল থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। তারা হয়তো বেরিয়ে গিয়েই কয়েক মিনিট পরেই চিন্তায় পড়েন—“উফ! চুলা কি বন্ধ করেছি?” এটাই তাদের প্রাণবন্ত ও ভাবনাপ্রবণ স্বভাবের এক অনন্য দিক। ৫) মকর (Capricorn) জীবনে শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতাকে প্রাধান্য দেন মকর রাশির জাতক-জাতিকারা। তারা কোনো কিছুতেই অব্যবস্থা সহ্য করতে পারেন না। তাই চুলা, গ্যাস, তালা—সবকিছু একাধিকবার পরীক্ষা করেও মনে মনে অস্বস্তিতে ভোগেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তি পান না। ফলে প্রায়ই তারা ফিরে যান আবার যাচাই করতে। জ্যোতিষবিদদের মতে, এই উদ্বেগ বা বাড়তি সচেতনতা আসলে দুর্বলতা নয়, বরং সচেতন, যত্নশীল ও দায়িত্ববান মনোভাবেরই পরিচয়। তাই যদি কখনো দেখেন কেউ মাঝপথ থেকে ফিরে যাচ্ছেন চুলা পরীক্ষা করতে, তাহলে অবাক হবেন না। বরং নিজের দিক থেকেও একবার দেখে নিন, কারণ একটু বাড়তি সতর্কতা অনেক সময় বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।

সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ? মনোযোগ দিন এই ৭টি আচরণে

সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দেহ? মনোযোগ দিন এই ৭টি আচরণে

সম্পর্কে বিশ্বাস কেবল বড় বড় প্রতিশ্রুতি বা রোমান্টিক কথায় সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি প্রতিদিনের ছোট ছোট আচরণ ও অঙ্গভঙ্গির মধ্য দিয়ে প্রকৃত রূপ পায়। সঙ্গীর প্রতিশ্রুতি নিয়ে যদি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কিছু সূক্ষ্ম অথচ গুরুত্বপূর্ণ আচরণ খেয়াল করাই হতে পারে সঠিক পথ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সম্পর্কের গভীরতা যাচাইয়ের সাতটি লক্ষণের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গঠিত। এগুলো সম্পর্কে সচেতন হলে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার সঙ্গী সম্পর্ক নিয়ে কতটা সিরিয়াস। ১. সময় দেওয়ার আন্তরিকতা যে সঙ্গী সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সে ব্যস্ত সময়ের মাঝেও আপনাকে সময় দেবে। এটি প্রমাণ করে, আপনি এবং সম্পর্কটি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ২. নিজস্ব জীবন ধরে রাখা একজন সুস্থ মনের মানুষ নিজের শখ, বন্ধুত্ব এবং স্বাধীনতা বজায় রাখে। এমন সঙ্গী নিজের জীবনে স্বচ্ছ ও ভারসাম্যপূর্ণ হন, এবং আপনাকেও সেই সুযোগ দেন। ৩. অনুভূতির স্বচ্ছতা কঠিন সময়েও যদি সঙ্গী খোলামেলা ভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি সম্পর্ক নিয়ে আন্তরিক। পারস্পরিক আবেগ প্রকাশ সম্পর্ককে মজবুত করে। ৪. ধারাবাহিক ব্যবহার প্রতিদিনের ছোট ছোট যত্ন ও মনোযোগই প্রকৃত ভালোবাসার নিদর্শন। যে সঙ্গী প্রতিনিয়ত সম্মান ও সহানুভূতি দেখান, তিনি সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বশীল। ৫. স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সমর্থন একজন প্রতিশ্রুতিশীল সঙ্গী শুধু আপনাকে ভালোবাসেন না, বরং আপনার ভবিষ্যতের লক্ষ্য ও স্বপ্নে পাশে থাকেন। প্রয়োজনে উৎসাহ ও ত্যাগের মাধ্যমে আপনাকে সাহায্য করেন। ৬. ব্যক্তিগত সীমারেখার প্রতি সম্মান একজন সচেতন সঙ্গী আপনার স্বাধীনতা ও সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করেন। এটি বোঝায়, তিনি ভালোবাসার মাধ্যমে মুক্তি দিতে জানেন, দমন নয়। ৭. সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত সব সম্পর্কেই টানাপোড়েন থাকে। তবে যে সঙ্গী সমস্যার মুখোমুখি হতে রাজি, আলোচনা করে সমাধান খোঁজেন, তিনি সত্যিকারের দায়িত্ববান। মানসিক ও আবেগিক নিরাপত্তা পেতে এই আচরণগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। বড় শব্দের চেয়ে ছোট কাজগুলো অনেক বেশি বলিষ্ঠভাবে সম্পর্কের বাস্তবতা তুলে ধরে। সম্পর্কে বোঝাপড়া ও প্রতিশ্রুতির বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে লেখক ও বক্তা জাস্টিন ব্রাউনের একটি ভিডিও দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা ও গভীরতা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

কারা বেশি কানে শোনে? মেয়েরা নাকি ছেলেরা?

কারা বেশি কানে শোনে? মেয়েরা নাকি ছেলেরা?

আমরা অনেকেই ধারণা করি, শ্রবণ ক্ষমতার দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে সাম্প্রতিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে ১৩টি দেশে পরিচালিত এক সমীক্ষা জানাচ্ছে, নারীরা গড়ে পুরুষদের তুলনায় প্রায় দুই ডেসিবেল বেশি শব্দ শুনতে সক্ষম। অর্থাৎ, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় শব্দকে আরও স্পষ্টভাবে শুনতে পান। এই পার্থক্যের পেছনে মূল কারণ হিসেবে গবেষকরা চিহ্নিত করেছেন কানের ভেতরের ‘কক্লিয়া’ নামক সর্পিলাকৃতির এক অংশের গঠনগত ভিন্নতা। কক্লিয়া শব্দ তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তর করে তা মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়। নারীদের ক্ষেত্রে এই অংশের গঠন এমনভাবে তৈরি, যা শ্রবণ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও, হরমোনের পরিবর্তনের প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে ইস্ট্রোজেনের মতো নারীদের শরীরে থাকা হরমোনসমূহ শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে। তবে সবসময় এই অতিরিক্ত শ্রবণক্ষমতা সুবিধাজনক নাও হতে পারে। বিশেষ করে কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে অতিরিক্ত শব্দে নারীরা সহজেই বিরক্ত বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন। ঘুমের ব্যাঘাত থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ শব্দের পরিবেশে বসবাস হৃদযন্ত্রের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণায় আরও বলা হয়, শ্রবণ ক্ষমতা কেবল শারীরিক গঠন দিয়ে নির্ধারিত হয় না, এর সঙ্গে পরিবেশ, অভ্যাস ও জীবনধারারও সম্পর্ক রয়েছে। তাই গবেষকরা নারীদের জন্য শ্রবণ স্বাস্থ্যে আলাদা যত্ন ও সচেতনতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন।

শীর্ষ সংবাদ:

যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে: আমীর খসরু
জামায়াত নেতারা রাজাকার হলে পাকিস্তানে গাড়ি বাড়ি থাকতো : শামীম সাঈদী
এনসিপির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা নেই- উমামা ফাতেমা
‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটকদের অধিকাংশই ভারতীয় মুসলমান
ইয়েমেনে হামলা চালিয়েই সাগরে ডুবে গেল মার্কিন সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান
জামিন পেলেননা তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন
লন্ডনে আজ আর্সেনাল পিএসজি মহারণ
১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা, তালিকায় আছেন নুসরাত ফারিয়া-অপু বিশ্বাস-ভাবনাসহ অনেকেই
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ড্র অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বর্ণের দাম, রেকর্ড উচ্চতা থেকে পতনের পথে
কুমিল্লায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর চাকরির নামে প্রতারণা: দালালসহ ১৩ জন গ্রেফতার
১২ বছর বয়সী ছেলে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার