ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

Hotel ad
Hotel ad
নতুন দল নিবন্ধনে আবেদনের শেষ সময় ২০ এপ্রিল

নতুন দল নিবন্ধনে আবেদনের শেষ সময় ২০ এপ্রিল

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক নতুন দলগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইসি। সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বানের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে। আবেদন করা যাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। আগের আইন অনুযায়ীই নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা যাবে। গণবিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ৯০ক এর অধীন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করতে ইচ্ছুক এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮-এ উল্লিখিত শর্তাবলি পূরণে সক্ষম রাজনৈতিক দলসমূহকে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত নির্দেশিকা মোতাবেক বিধিমালায় সংযোজিত ফরম-১ পূরণপূর্বক আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিবন্ধীকরণে আগ্রহী রাজনৈতিক দলকে স্বীয় লেটার হেড প্যাডে দরখাস্ত করতে হবে এবং দরখাস্তের সঙ্গে নি¤œলিখিত আবশ্যকীয় দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে, যথা-(ক) দলের গঠনতন্ত্র; (খ) দলের নির্বাচনী ইশতেহার, যদি থাকে; (গ) দলের বিধিমালা, যদি থাকে; (ঘ) দলের লোগো এবং পতাকার ছবি; (৩) দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি বা সমমানের কমিটির সকল সদস্যের পদবিসহ নামের তালিকা; (চ) দলের নামে রক্ষিত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও ব্যাংকের নাম এবং অ্যাকাউন্টের সর্বশেষ স্থিতি; (ছ) দলের তহবিলের উৎসের বিবরণ; (জ) দলের নিবন্ধনের দরখাস্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুকূলে প্রদত্ত ক্ষমতাপত্র; (ঝ) নিবন্ধন ফি বাবদ অফেরতযোগ্য পাঁচ হাজার টাকা সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বরাবরে জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি (ট্রেজারিতে টাকা জমাদানের কোড নম্বর-১০৬০১০১১০০১২৫-১১০০০০০০০-১১০০১০০০-১৪২২২০৪)। (ঞ) এ ছাড়া দরখাস্ত দাখিলের দিন পর্যন্ত- (অ) বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন লাভের সমর্থনে প্রামাণিক দলিল; অথবা (আ) বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর হতে দরখাস্ত দাখিল করার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট লাভের সমর্থনে কমিশন বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র; অথবা (ই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ, উহা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর, অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর এবং অন্যূন একশতটি উপজেলা বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দপ্তর এবং উক্তরূপ প্রতি উপজেলায় বা, ক্ষেত্রমত, খানায় অন্যূন দুইশ ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল। কোনো রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উক্ত দলের অনুকূলে কমিশন ফরম-৩ এ একটি নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রদান করবে এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে। ২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন আইনি সংস্কার এনে নিবন্ধন প্রথা চালু করে। তাতে তিনটি নিবন্ধন শর্ত দেওয়া হয়। ভোটে নিবন্ধিত দলগুলোকেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সে সময় থেকে ধরে এখন পর্যন্ত ৫৪টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণে ব্যর্থ বা আদালতের আদেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত

মার্ক কার্নি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত

কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। স্থানীয় সময় রবিবার প্রধামন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা।  ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  রবিবার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে ৫৯ বছর বয়সী  মার্ক কার্নি বিপুল ভোটে (১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট) নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড (১১ হাজার ১৩৪ ভোট)। টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। এরপর তার উত্তরাধিকার বাছাইয়ের জন্য ৯ মার্চ দিন ধার্য করা হয়। মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কার্নি এমন এক সময় কানাডার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশটির দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। তাই কানাডায় শীঘ্রই একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি। এ হিসেবে মার্ক কার্নি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে, জয়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইঙ্গিত করে কার্নি বলেন, কেউ আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। কানাডার শ্রমিক, পরিবার এবং ব্যবসার ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। আমরা তাকে সফল হতে দিতে পারি না।

লা রিভ ফ্যাশন হাইসের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস

লা রিভ ফ্যাশন হাইসের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস

লা রিভ ফ্যাশন হাইসের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মন্নুজান নার্গিস ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন। কয়েক বছর চাকরিও করছেন। চাকরিকালীন আয়ের একটা অংশ সঞ্চয় করেন, যা দিয়ে পরবর্তীতে বিনিয়োগ করেন ব্যবসায়। পেয়েছেন পারিবারিকভাবে সম্পূর্ণ সহযোগিতা। জনকণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্নুজান নার্গিস। আপনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা আপনার পথচলা সম্পর্কে বলুন। মন্নুজান নার্গিস : আমি ২০০৬ সাল থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করি এবং পরিপূর্ণভাবে লা রিভের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০০৯ সালে। বাবা-মা ও স্বামী সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমি চাই ভবিষ্যতে বিশে^র অন্যান্য দেশেও যেন এটি গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে পারে সম্পূর্ণভাবে। আমি সম্পূর্ণভাবে এ কারণে বললাম কেননা বাইরের দেশে বাংলাদেশের পোশাকের মান নিয়ে রয়েছে তাচ্ছিল্য। সেক্ষেত্রে মেইড ইন বাংলাদেশ যেন ভালো প্রডাক্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করতে পারে। আমরা সেভাবেই এগিয়ে চলছি। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে লা রিভের আউটলেট আছে। এছাড়াও মালয়েশিয়া, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং ইউরোপের দুটি দেশে আমাদের পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি বাজার প্রায় ১০ হাজার ডলারের। কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা শহরে রয়েছে লা রিভের আইটলেট। বর্তমানে আমরা পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নিয়েও কাজ করছি। পোশাকের ক্ষেত্রে সংযুক্ত করেছি এআই প্রযুক্তি। যাতে গ্রাহকরা সহজেই দেখতে পাবেন তাকে কোন ড্রেসে কেমন লাগছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম আমরাই এটা শুরু করেছি। আপনাদের পোশাক তৈরির উপকরণ কি দেশ থেকে সংগৃহীত? মন্নুজান নার্গিস : না, আমাদের পোশাক তৈরির উপকরণ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। বাংলাদেশের তুলা তৈরির শিল্পকে আরও উন্নত করতে হবে। পাকিস্তানের কটন এ দেশের থেকে অনেক উন্নত। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে শুধু গবেষণার অভাবে। আমার আশা, একসময় বাংলাদেশ ভালো উপকরণ তৈরিতেও সক্ষম হবে। বর্তমানে দেশের খাদি কাপড় খুবই ভালো। তবে রিসার্চের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাপড় তৈরি করা সম্ভব। পোশাক শিল্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহের পেছনে কোনো কারণ রয়েছে? মন্নুজান নার্গিস : আমাদের তিন ভাই-বোনকে মা ছোট থেকে নিজেই পোশাক তৈরি করে দিতেন। মায়ের স্বল্প পরিসরে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও ছিল। তাই শৈশব থেকেই আমার এই শিল্পের প্রতি দুর্বলতা ছিল বললেও ভুল হবে না।   নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শ। মন্নুজান নার্গিস : যেসব নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে, তারা যদি আরও অর্গানাইজ হয়ে কাজ করতে পারে তাহলে খুব সহজেই সফলতা আসবে। ব্যবসার পলিসি, প্রোডাক্ট, মার্কেটিং সম্পর্কে পড়াশোনা থাকতে হবে। এতে চ্যালেঞ্জ হবে কম। নারীরা কি এখনো বৈষম্যের শিকার? মন্নুজান নার্গিস : নারীরা এখনো বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যের শিকার। অনেক নারী জানেই না যে তার কত মজুরি হওয়া উচিত। নারীদের কাজে থাকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে তাদের আগে সচেতন হতে হবে। নিজের কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।