ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

জাতীয়
প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় উত্তরাতে বারবার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে শহিদদের চিহ্ন!

প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় উত্তরাতে বারবার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে শহিদদের চিহ্ন!

আবারও শুরু হয়েছে জুলাই। ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালিয়ে শেখ হাসিনা পালালেও দেশে রয়ে গেছে স্বৈরাচারের দোসররা। গণঅভ্যুত্থানে উত্তরা ছিল পাওয়ার হাউজ। ছাত্রলীগ যুবলীগ প্রশাসনসহ কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি উত্তরার ছাত্রজনতাকে। গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল ছাত্রজনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর উত্তরায় ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৯২ জন শহিদ হন। উত্তরাতে তাদের তালিকা প্রকাশ করে বিলবোর্ডে লাগায় ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’। সেই বিলবোর্ড থেকে শহিদদের ব্যানার ছিড়ে ফেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এর আগেও একবার তালিকা ঝুলানো হলে রাতের অন্ধকারে তা ছিড়ে ফেলা হয়। 

adbilive
adbilive
মিয়ানমারকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেয়েরা

মিয়ানমারকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মেয়েরা

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। আফঈদা খন্দকারের দল এখন বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলতে মুখিয়ে আছে। এজন্য বুধবার সবচেয়ে বড় বাধা  পেরুতে হবে। নিজেদের দ্বিতীয় গ্রুপ ম্যাচে টাইগ্রেসরা খেলবে স্বাগতিক মিয়ানমারের মেয়েদের বিরুদ্ধে। ম্যাচটি খুব কঠিন হলেও বাংলাদেশের মেয়েরা জয়ের আশা করছে। আর জিততে পারলে অনেকটাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপুটে ফুটবল খেলে বাহরাইনকে উড়িয়ে দেওয়া মেয়েদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। এই জয়ে স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়েও দারুণ আশাবাদী হয়ে উঠছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ। নিঃসন্দেহে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল মিয়ানমার। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা (৫৫তম) বাংলাদেশের (১২৮তম) থেকে অনেক এগিয়ে। পাঁচ বছর আগের সবশেষ দেখায় মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবারের মতো এবারও ম্যাচ ইয়াঙ্গুনের একই মাঠে। তবে এবার ভিন্ন গল্প লিখতে চান বাটলার। বাংলাদেশ কোচ বলেন, আমি মনে করি এই মিয়ানমারের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচগুলোই খেলতে চাইবেন। কারো প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না। কিন্তু আমি সবসময় বলেছি, এ ধরনের কঠিন ম্যাচ খেলতে চাই। বাহরাইন সম্প্রতি সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করে এসেছিল। বাটলার বলেন,  কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে। তারা টেকনিক্যালি দারুণ, সমর্থকদেরও পাশে পাবে। কিন্তু আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত। আমি মনে করি, আমরা প্রস্তুত। বাহরাইন ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। গোল করেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, কোহাতি কিসকু ও মুনকি আক্তারও। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্দান সফরে প্রত্যাশিত গোল না মেলায় যারা সমালোচনা করেছিলেন, তাদের প্রতিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাটলার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানি মানুষ অনেক সময় গোল না পাওয়ার কারণে সমালোচনা করে। কিন্তু আমি সবসময় জানতাম গোল আসবে। বিশেষ করে এই দলটায় তহুরা, শামসুন্নাহার (জুনিয়র), ঋতুপর্ণা, মনিকার মতো গতিময় খেলোয়াড় আছে।

ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর গুলি

ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর গুলি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন ফিলিস্তিনি। তাদের অনেকেই সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এদিকে রবিবার ভোর থেকে গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে চলা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭২ জন। বোমাবর্ষণের সময়টায় গাজা শহরের জেইতুন, সাবরা এবং আল-জাওইয়া বাজার এলাকার পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আহতদের ঢল নামে উত্তর গাজার আল-আহলি হাসপাতালে। সেখানে আলজাজিরার সাংবাদিক মুয়াত আল-কালহুত জানান, ‘হাসপাতালটিতে জায়গার অভাবে বহু মানুষ মেঝেতে পড়ে আছে। চিকিৎসাসামগ্রী নেই, বেড নেই, শিশুরাও মারাত্মক আঘাতে জর্জরিত।’ তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর আহত মানুষ এসেছেন, যাদের মধ্যে অনেক শিশু। পর্যাপ্ত বেড বা চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, অনেকেই মেঝেতে পড়ে আছেন। হাসপাতালটি চরম সংকটে রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, ইসরাইল পূর্ব গাজা শহরে লিফলেট ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে দক্ষিণে সরে যেতে বলছে। কিন্তু এসব সতর্কতার পরই শুরু হচ্ছে ভারি বোমা হামলা, যাতে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহর উত্তরে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা নিতে গিয়েছিলেন এমন পাঁচজন ফিলিস্তিনি রয়েছেন যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিতরণ কেন্দ্রগুলো বর্তমানে পরিচালনা করছে ব্যাপক সমালোচিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ), যাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল সমর্থন দিচ্ছে। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, জিএইচএফ গাজায় আংশিক সহায়তা বিতরণ শুরু করার পর (মে মাসের শেষদিক থেকে) ইসরাইলি সেনারা প্রায়শই এসব কেন্দ্রের আশপাশে অপেক্ষমাণ মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে, এতে এখন পর্যন্ত ৫৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং চার হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত আল-আকসা মর্টিয়ার্স হাসপাতালের প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়েছে। সোমবারের এই হামলায় তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলার আগে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরাইলি বাহিনী। প্রাঙ্গণে ত্রিপল টানানো যে অস্থায়ী ঘরগুলোতে বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল, সেগুলো লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়।   হামাসের সঙ্গে তুরস্কের বৈঠক ॥ গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে আলোচনা করেছে তুরস্ক। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করেছেন বলে জানা যায়। হামাসের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ইব্রাহিম কালিন। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে এএফপি।

অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন

অর্থবছরের শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন

বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ কার্যদিবস রবিবার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও শেষ চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। সেইসঙ্গে ৩২ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেনের ঘটনা ঘটে। টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেনের শেষদিকে বড় মূলধনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় সূচকের পতনের মাত্রা কমে আসে। এমনকি একপর্যায়ে সূচক পজিটিভও হয়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের লেনদেনে সূচক ঋণাত্মক হয়েই লেনদেন শেষ হয়। লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৫টির। আর ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৭২টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১১৮টির দাম কমেছে এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ৪২টির দাম কমেছে এবং ৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৪টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৯টির দাম কমেছে এবং ১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ সিপিডির

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ সিপিডির

২০৪১ সালের মধ্যে দেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার অন্তত ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। এজন্য তারা বিগত সরকারের আমলে নেওয়া ৩৭টি প্রকল্প ঢালাওভাবে বাতিল না করে পুনর্মূল্যায়ন ও ত্রুটি দূর করা এবং বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে চীনের বিদেশি বিনিয়োগের সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ: অগ্রগতির পথ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন আলোচকরা। সিপিডি ও বাংলাদেশ-চীন নবায়নযোগ্য শক্তি ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সিপিডির ফ্যালো ড. মুস্তাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষক আবরার আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও চাইনিজ ইনভেস্টর্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি হা কুন। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তীব্র জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতের সরবরাহে সংকট তৈরি হওয়ায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি বা সৌর বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে যোগান বাড়াতে বিগত সরকারের আমলে দেশে নতুন নতুন সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে রাজনৈতিক বিবেচনা এবং অনিয়মের অভিযোগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া তিন হাজার ২৮৭ মেগাওয়াটের বেশি সক্ষমতার ৩৭ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ১৪টি দেশের অর্থায়নের এসব প্রকল্পের মধ্যে চীনের চারটি, সিঙ্গাপুরের ৭টি এবং ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ১টি করে প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পে ছয় বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করছে দেশগুলো। এরইমধ্যে ব্যয় হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এ অবস্থায় প্রকল্প বাতিল করার সরকারি সিদ্ধান্তে চীন উদ্বিগ্ন বলে জানান সেই দেশের বিনিয়োগকারীরা, চেয়েছেন শান্তিপূর্ণ সমাধান। গবেষক আবরার আহমেদ বলেন, বিপিডিবি উন্মুক্ত দরপত্র এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। তবে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম এবং কাঠামোগত সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের দীর্ঘসূত্রতা, জমির অভাব, অস্বচ্ছতাসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রতিবেদনে এই খাতে চীনের বিনিয়োগের সমস্যার কথা তুলে ধরে দেশটির জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু এবং বিনিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানানো হয়। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যে সব সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে তা সমাধানে বিডাকে এগিয়ে আসতে হবে। বিনিয়োগের সব সুবিধা নিশ্চিতে বিডা সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে করে সময় বাঁচার সঙ্গে সঙ্গে টাকাও বাঁচবে। একাধিক লাইসেন্স জটিলতা নিরসনে সরকারকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটালের কথা বলা হলেও সত্যিকার অর্থে এর অর্ধেক ডিজিটাল হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করা এবং বিনিয়োগ সুরক্ষা না থাকায় বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা যাচ্ছে। অনেকে জমিতে বিনিয়োগ করেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ চাইলেও তার বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত নিতে পারছে না। এ সময় বিনিয়োগ বাড়াতে প্রণোদনার চেয়ে পদে পদে বাধা দূর করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতের ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর তাগিদ দেন আলোচকরা। চাইনিজ ইনভেস্টর্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি হা কুন বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এশিয়ায় প্রায় ৫৫ শতাংশ চীনা বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু, ২০৩০ সাল নাগাদ মোট বিদ্যুতের ২০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত থেকে উৎপাদনের যে লক্ষ্য বাংলাদেশ ঠিক করেছে তা উচ্চাভিলাষী বলে উল্লেখ করেন তিনি।