ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

adbilive
adbilive
তবুও অনুশীলনে সিরিয়াস টাইগাররা

তবুও অনুশীলনে সিরিয়াস টাইগাররা

সম্প্রতি যুদ্ধের দামামা শুরু হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ- ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানা ও অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। ফলে দুই ক্রিকেটারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাদের নিরাপদে রাখতে সব ধরনের যোগাযোগ করছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাংলাদেশের আসন্ন আমিরাত ও পাকিস্তান সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও শুক্রবার থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছে লিটন দাসের দল। যেখানে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছিলেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা।   ইতোমধ্যেই পিএসএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। আর গতকাল রাতে আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল রিশাদ-নাহিদের। শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক গত মঙ্গলবার থেকে দুই দেশের মধ্যে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে পার্শ¦বর্তী দেশ হিসেবে এটা আমাদের উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আপনারা জানেন আমাদের দুজন জাতীয় দলের খেলোয়াড় পাকিস্তানে একটা ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলছে। সেই টুর্নামেন্ট থেকে যখন আমরা খবর পেয়েছি তখন ক্রিকেট বোর্ড, ক্রিকেট অপারেশন্স থেকে শাহরিয়ার নাফিস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেছে। আমি আমার ব্যক্তিগত  উদ্যোগে পিএসএল-এর সিইও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, ফোনেও কথা বলেছি।’ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমি পিসিবির সভাপতিকেও মেসেজ পাঠিয়েছি। নিয়মিত তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের মধ্যে ছিলাম। আপনারা জানেন সবাইকে একসময় একসঙ্গে করা হয়েছিল, এখানে শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটারই ছিলেন না অনেক বিদেশী ক্রিকেটার ছিল। সম্মিলিত প্রচেষ্টা করছিলেন কিভাবে এটার সমাধান বের করা যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে তারা আজকে চেষ্টা করবে যাতে এখান থেকে নিরাপদ কোনো জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি বোর্ড থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’ এই দুই বাংলাদেশী ক্রিকেটার  ছাড়াও সেখানে সংবাদ কাভার করতে অবস্থান করছেন দুই সাংবাদিক। তাদেরকে নিয়ে ভাবছেন বোর্ড সভাপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দুজন ক্রীড়া সাংবাদিক আছেন। আমরা দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছি এবং উনাদের দুজনের নাম দুটো যেন উল্লেখ করা হয়। তারা পেশাদার দায়িত্ব পালনে গেছেন এবং ক্রিকেট বোর্ড মনে করেন আমাদের এখানেও একটা দায়িত্ব আছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদেরও যেন একসঙ্গে বের করে নিরাপদ কোনো জায়গায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে সরিয়ে নেওয়া হয়।’ এদিকে, চলতি মাসের শেষের দিকে পাঁচ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। কিন্তু পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম এলাকায় গত (৮ মে) ভারতীয় ড্রোন হামলার পর সফরটি নিয়ে বড় ধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। তবে অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে এই সফরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।’ পাকিস্তান সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ দলের ১৪ মে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার কথা এবং ২১ মে পাকিস্তানে পৌঁছানোর আগে দুবাইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি যুক্ত করেছিল বিসিবি। বর্তমানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সফর পিছিয়ে গেলে বা স্থগিত হয়ে গেলে লিটন-সৌম্যদের আমিরাত সফরও পড়ে যাবে অনিশ্চিয়তায়।

নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব ॥ গভর্নর

নীতির ধারাবাহিকতা থাকলে মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব ॥ গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির ধারাবাহিকতা ও সরকারি প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে দেশে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নারী উদ্যোক্তাদের সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ। গভর্নর বলেন, ‘আমরা যদি একদিকে টাকা ছাপি আর অন্যদিকে বলি মূল্যস্ফীতি কমছে নাÑ তা হলে তো হবে না। আমাদের কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। মূল্যস্ফীতি কমছে, তবে সময় লাগছে। ধীরে ধীরে এটি আরও কমে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১৪ শতাংশ, এখন তা নেমে এসেছে সাড়ে ৮ শতাংশে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি, এখন তা প্রায় ৯ শতাংশ। আমরা আশাবাদী সঠিক নীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি আরও কমানো সম্ভব।’ নারীদের অগ্রগতির প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘নারীদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। ঋণ নিতে গিয়ে তারা এখনো নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়েন। নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের মা-বোনদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হতো, এখন তা সময়োপযোগী নয়। নারীদের রান্নাঘর থেকে বের করে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত করতে মানসিকতার বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ নারীদের হাতে যাচ্ছে, এটি যথেষ্ট নয়।’ নারীদের ঋণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘ঋণ দিতে হবে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে। শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফান্ড বাড়িয়ে নয়, বরং নারীদের অধিকার বিবেচনায় নিয়েই উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি, তাদের আর্থিক সচেতনতা বাড়ানোও জরুরি।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা। উল্লেখ্য, সিএমএসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এই চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মেলা চলবে ১১ মে পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৮ জন নারী উদ্যোক্তা পণ্য নিয়ে অংশ নিয়েছেন। শেষ দিনে ছয়জন নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হবে।